ট্রান্সক্রিপ্ট, নম্বরপত্র ও সার্টিফিকেট সেবার মান উন্নয়নে যে যে পদক্ষেপ নিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 5th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ট্রান্সক্রিপ্ট, মার্কশিট ও সার্টিফিকেট প্রদানসংক্রান্ত সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশাসন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সংশ্লিষ্ট অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা তাঁদের সমস্যা বা অভিযোগ ই-মেইল ([email protected]) অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে (০১৭৯৭-৪৯০৫৭৫, শুধু খুদে বার্তার জন্য) যোগাযোগ করতে পারবেন। অভিযোগ পাওয়ার দুই কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ও ই-মেইলের মাধ্যমে নিয়মিত ট্রান্সক্রিপ্ট পাঠানো হয়। এ–সংক্রান্ত সার্ভিস চার্জ ৫০ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ১০ মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে, যা শুধু বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোয় ট্রান্সক্রিপ্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো নগদ টাকা গ্রহণ করা হয় না। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সোনালী ব্যাংক অথবা অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি প্রদান করতে পারেন। তবে অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্ষেত্রে এখনো অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়নি বলে জানা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিমধ্যেই অনলাইনে ট্রান্সক্রিপ্টের আবেদনপ্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। তবে ট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট ও মার্কশিটের সত্যায়ন এখনো অনলাইনে শুরু হয়নি। এ প্রক্রিয়াকে সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করতে প্রশাসন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং দুই মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অনলাইন সেবা আরও উন্নত ও সহজতর করা হবে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুনজাপানের মেক্সট বৃত্তি, মাসে ১ লাখ ১৭ হাজার ইয়েন, একাদশ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরও সুযোগ১২ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে দ্রুততম সময়ের মধ্যে (২ কার্যদিবসের মধ্যে) ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট উত্তোলনসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি ট্রান্সক্রিপ্টের হার্ডকপি দ্রুত পাঠাতে কুরিয়ার সার্ভিসের সহায়তায় একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আরও স্বাচ্ছন্দ্য দিতে ট্রান্সক্রিপ্ট বিভাগকে অপেক্ষাকৃত বড় কক্ষে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে তথ্যকেন্দ্রকেও আরও শিক্ষার্থীবান্ধব করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’