শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের স্মারকলিপি
Published: 5th, May 2025 GMT
শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থী স্বার্থ সুরক্ষায় ১২ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। এতে বর্তমানে প্রচলিত কোচিং বাণিজ্য বন্ধে শিক্ষা উপদেষ্টার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.
স্মারকলিপিতে শিক্ষাখাতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে কোচিং বাণিজ্য নিষিদ্ধ করা, শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন, শিক্ষাকে জাতীয়করণ, জবাবদিহিমূলক মনিটরিং কমিটি গঠন, ভর্তি নীতিমালা বাস্তবায়ন, মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা এবং বিতর্কিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাণিজ্য বন্ধ করার বিষয়ে বলা হয়েছে।
এছাড়াও আইডিয়াল, ভিকারুননিসা নূন ও মনিপুর হাইস্কুলের দুর্নীতি রোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রস্তাব রাখা হয়। পাশাপাশি, শিক্ষক-কর্মচারীদের নতুনভাবে যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়ন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় সংগঠনের সভাপতির বিরুদ্ধে দায়ের করা আইসিটি আইনের মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ক ষ উপদ ষ ট স ম রকল প উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
৪৩তম বিসিএসের গেজেট-বঞ্চিতদের প্রতি গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সংহতি
৪৩তম বিসিএসের গেজেট–বঞ্চিতদের ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। সোমবার চলমান কর্মসূচিতে কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে সংহতি জানান বলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মার্জিয়া প্রভা।
প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য হারুন অর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু, আইনজীবী মানজুর আল মতিন ও ছাত্রনেতা রাফিকুজ্জামান ফরিদ। অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।
গেজেটভুক্ত করে যোগদান নিশ্চিতকরণ এবং ‘সরকারি চাকরি ভেরিফিকেশন নীতিমালা’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে অনশন করছেন ৪৩তম বিসিএসের গেজেট–বঞ্চিতরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর এদের (আন্দোলনরতদের) সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তা একটা চরম বৈষম্য। সরকারের উচিত দ্রুত তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া।’
কারণ না দেখিয়ে চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কোনো রাষ্ট্রের নেই উল্লেখ করে আইনজীবী মানজুর আল মতিন বলেন, ‘আমরা একটা পুরোনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছি, লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি, যে ব্যবস্থায় রাষ্ট্র মানুষকে কেবল ফাঁকা আশ্বাস দেয়, কিন্তু মানুষের যৌক্তিক দাবিগুলোকে পূরণ করে না। এই সরকার সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসবে, এটা আমার বিশ্বাস।’
মানজুর আল মতিন আরও বলেন, ‘আপনাদের দীর্ঘ চার মাস ধরে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সরকার সেই আশ্বাস পূরণ করবে, এটাই প্রত্যাশা। আপনাদের গেজেটেভুক্ত করা হোক, এই দাবি জানাই।’
মানুষকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখে কীসের সংস্কার করা হচ্ছে—এমন প্রশ্ন তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসের নিয়োগটা ২০২০ সালের। এখন ২০২৫ সাল, এখনো তাঁদের চাকরিতে নিযুক্ত করা হচ্ছে না। এটা তো ওনাদের জন্য একটা অনিশ্চয়তা। এ রকম আরও বিভিন্ন সেক্টরের মানুষকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখা হচ্ছে।’