গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণীদের দক্ষ করে তুলতে ব্যতিক্রমী শিক্ষা কার্যক্রম ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল’ চালু হয়েছে। বই-খাতার পরিবর্তে কৃষকরা মাঠে হাতে-কলমে শিখছেন টেকসই ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আধুনিক কৌশল।

শ্রীপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মাঠভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষক-কৃষাণীরা শিখছেন পরিবেশবান্ধব চাষাবাদ, রোগ-বালাই দমন এবং পারিবারিক পুষ্টি নিশ্চিত করার উপায়। তারা অংশ নিচ্ছেন ধান, গম, তেলবীজ ও পুষ্টিকর ফসল চাষের মৌসুমভিত্তিক প্রশিক্ষণে। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ১০টি ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল’ পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি স্কুলের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি সাতটি চলমান রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের সম্মানী ভাতা ও মানসম্পন্ন নাশতা দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে কৃষকদের কৃষকসেবা কেন্দ্র ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনার পরিকল্পনাও রয়েছে।

আরো পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৪ জনের মৃত্যু

ধানের বাম্পার ফলনে ঈদ আনন্দ হাওর পাড়ের কৃষকের ঘরে

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা জানান, পিএফএসের মাধ্যমে কৃষকদের নিরাপদ, বিষমুক্ত ও রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এটি ভোক্তা এবং কৃষি শ্রমিক উভয়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ঢাকা/রফিক/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ষকদ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় ১১ লাখ ৯০ হাজার মানুষের

প্রতি বছরে বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ নিহত হয়। তাদের মধ্যে ৯২ শতাংশ মৃত্যু হয় নিম্ন ও মধ্যেম আয়ের দেশে এবং মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি পথচারী, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহী।

রেববার রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন সকলের জন্য প্রয়োজন' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেফটি প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান।

উপস্থাপনায় শারমিন রহমান জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনাকবলিত ১৮৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৬তম। সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও তার সঠিক প্রয়োগ ব্যতীত দেশে রোডক্র্যাশ কমানো বা রোধ করা সম্ভব নয়। সবার জন্য প্রয়োজন একটি সমন্বিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’।

সভায় সাংবাদিক শুভ্র দেবের সঞ্চালনায় নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়নের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক জামিউল আহ্ছান শিপু ও সাংবাদিক ইমন রহমান।

এ সময় আলোচকরা বলেন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এবং এর বিধিমালা মূলত সড়ক পরিবহন খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত কিন্তু সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এসব যথেষ্ট নয়। সড়ক অবকাঠামো ও যানবাহনের নিরাপত্তা, সড়ক ব্যবহারকরীর নিরাপত্তা, দুর্ঘটনার পরবর্তী ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এতে যথাযথ গুরুত্ব পায়নি। সুতরাং সড়কে সব ধরনের সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য পৃথক 'সড়ক নিরাপত্তা আইন' প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ও সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ মূলত পরিবহন সংক্রান্ত আইন। রোডক্র্যাশ কমাতে এই আইন ও বিধিমালা যথেষ্ট নয়। এ জন্যই জাতিসংঘ প্রস্তাবিত বর্ণিত ৫টি বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়ন জরুরি।

জাতিসংঘের প্রস্তাবের মধ্যে– বহুমুখী যানবাহন ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা; নিরাপদ যানবাহন; নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো; নিরাপদ সড়ক ব্যবহার এবং রোডক্র্যাশ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ করণ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ