দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ছেলে ক্রিস্টিয়ানো ডস সান্তোস অবশেষে পর্তুগালের জাতীয় দলের একাডেমিক কাঠামোয় প্রবেশ করলেন। প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন দেশটির অনূর্ধ্ব-১৫ দলে।
চলতি বছরের জুনে ১৫ বছর পূর্ণ করবেন জুনিয়র। এর আগেই পর্তুগালের কিশোর পর্যায়ের জাতীয় স্কোয়াডে তার নাম ঘোষণা—রীতিমতো বিশেষ অর্জন। ফুটবল দুনিয়ায় তার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা চলছিল বহুদিন ধরেই, আর এবার সেটি রূপ নিচ্ছে বাস্তবে।
জুনিয়রের জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলার দরজা খোলা ছিল মোট পাঁচটি দেশের। ইংল্যান্ড, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কেপ ভার্দের মতো দেশের হয়ে খেলার যোগ্যতা থাকলেও নিজের বাবার মতো পর্তুগালের পথেই এগোতে চলেছেন তিনি। তবে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ওঠার সুযোগ তার নেই। কারণ, মা জর্জিনা রদ্রিগুয়েজের সন্তান নন তিনি।
আরো পড়ুন:
হ্যারি কেইনের নজর এবার দ্বিতীয় ট্রফিতে
ইন্টার-বার্সা সেমিফাইনালে ফিরে আসছে ২০১০ সালের স্মৃতি
ছেলের এই সাফল্যে আবেগ আপ্লুত রোনালদো সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “তোমার জন্য আমি গর্বিত, বাবা।’’
এক সময় সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেছিলেন, একদিন ছেলের সঙ্গে একসঙ্গে মাঠে নামার স্বপ্ন তার মনে আছে। যদিও সেটি নিয়ে অযথা আশায় বিভোর নন, তবু স্বপ্নপূরণের সম্ভাবনায় বেশ উচ্ছ্বসিত।
এই মুহূর্তে সৌদি ক্লাব আল নাসরে খেলছেন রোনালদো, যেখানে জুনিয়রও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ক্লাবটির ইয়ুথ সিস্টেমে। সেখানেই তার ফুটবল প্রতিভা নজরে পড়ে যায় পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশনের। আর তারই ফল হিসেবে সুযোগ এসেছে জাতীয় দলের বয়সভিত্তিক স্কোয়াডে।
রোনালদোর ছেলের পথচলা শুরু হলো দেশের প্রতিনিধিত্ব দিয়ে—এখন দেখার বিষয়, ভবিষ্যতে বাবার ছায়া তিনি কতটা ছুঁতে পারেন।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল পর ত গ ল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে জনগণের সঙ্গে সুবিচার ও সদয় ব্যবহার করতে হবে: স্বরাষ্ট্রসচিব
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি বলেছেন, পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে জনগণের সঙ্গে সুবিচার ও সদয় ব্যবহার করতে হবে। অহংকার, লোভ, হিংসা, পরচর্চা ও অন্ধ আনুগত্য বর্জন করে আরও উদ্ভাবনী কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।
আজ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে রাজারবাগ পুলিশ মিলনায়তনে ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা’ শীর্ষক বিশেষ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব নাসিমুল গনি সুরা সোয়াদ-এর ২৬ নম্বর আয়াত উল্লেখ করে বলেন, ‘হে দাউদ, আমি তোমাকে পৃথিবীতে খলিফা বানিয়েছি, সুতরাং মানুষের মাঝে ন্যায়বিচার করো এবং ব্যক্তিগত খেয়ালখুশির অনুসরণ করো না, নইলে তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে দেবে।’
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসন্ন নির্বাচনকে দেশে-বিদেশে একটি দৃষ্টান্তে পরিণত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাজ্জাত আলী আরও উল্লেখ করেন, গত বছরে বিশেষ করে মহানগর পুলিশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একসময় যে ভঙ্গুর অবস্থায় পুলিশ চলে গিয়েছিল, তা থেকে এখন অনেকটাই পেশাদারত্বে ফিরে এসেছে। এই পেশাদারত্ব আরও উন্নত করে দেশ ও জাতির সেবা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে বক্তব্য দেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) ফারুক আহমেদ। অনুষ্ঠানে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদবির পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।