আর্সেনাল না পিএসজি, ফাইনালের টিকিট পাবে কোন ‘হতভাগা’
Published: 7th, May 2025 GMT
দুর্ভাগ্য কি অযোগ্যতা—না পারাকে অনেক সময় ভাগ্যের পাল্লায় তুলে মাপা হয়। ‘ভাগ্য সহায় না হওয়ায় অল্পের জন্য হলো না’—ব্যর্থতাকে বৈধতা দিতে পরাজিতদের এমন কথা বলতেও প্রায়ই শোনা যায়! দুর্ভাগ্য বা অযোগ্যতা দৃশ্যত আলাদা মনে হলেও আসলে খুব দূরের কিছুও নয়।
কখনো কখনো দুটির মধ্যে পার্থক্য এত সূক্ষ্ম হয় যে আলাদা করাও কঠিন হয়ে পড়ে। আর ভাগ্যকে যখন ফুটবলের সবুজ মঞ্চে টেনে আনা হয়, সেটি অনেক সময় অযোগ্যতাকে ছাপিয়ে যায়। এমনকি তীব্র যন্ত্রণার কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
ফুটবলে উদাহরণ হিসেবে কেউ চাইলে টাইব্রেকার–ভাগ্য পরীক্ষার কথা বলতে পারেন। কিন্তু কখনো কখনো সেই দুর্ভাগ্য চিরকালীন এক ‘অভিশাপ’ও হয়ে ওঠে। ফুটবলে আর্সেনাল ও পিএসজি তেমনই দুই দুর্ভাগা দল। লম্বা সময় ধরে চেষ্টা করেও ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি।
চলতি মৌসুমে দুই দলের সামনে সুযোগ এসেছে দুর্ভাগ্যকে কবর দেওয়ার। এই দুই দলের অন্তত একটি দল আজ রাতে নিশ্চিত করবে মিউনিখের ফাইনাল। প্যারিসে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হচ্ছে পিএসজি ও আর্সেনাল। আর্সেনালের মাঠে প্রথম লেগে ১–০ গোলে জেতায় এই লড়াইয়ে এগিয়ে আছে পিএসজি।
আরও পড়ুনআর্সেনাল–পিএসজির উত্থান, নাকি বার্সা–ইন্টারের পুনরুত্থান১২ এপ্রিল ২০২৫ফুটবল–দুনিয়া আর্সেনালকে চেনে ‘অজেয়’ হিসেবে। ইংল্যান্ডের ফুটবল পরাশক্তির কথা বললে যে কয়েকটি নাম সামনে আসে, আর্সেনাল তার অন্যতম। অনেক বছর বড় কোনো শিরোপা না জিতলেও পরাশক্তির তকমাটা তাদের নামের সঙ্গে লেগে আছে আঠার মতো। কিংবদন্তি কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের হাত ধরে আধুনিক ফুটবলের বিবর্তনেও আর্সেনালের অবদান অসামান্য। ক্লাবটির রোমাঞ্চকর ফুটবলের প্রেমে পড়ে বিশ্বব্যাপী বিশাল এক সমর্থক গোষ্ঠীও তৈরি হয়েছে।
কিন্তু ঐতিহ্যের ভার টেনে চলা দলটির চ্যাম্পিয়নস লিগে সাফল্য বলতে ওয়েঙ্গারের অধীনে ২০০৫–০৬ মৌসুমের ফাইনাল খেলা। ফাইনালে সেবার বার্সেলোনার কাছে হেরেছিল ‘গানার’রা। সেই হতাশার পর আর কখনো ফাইনালে খেলা হয়নি। এবারও প্রথম লেগে ঘরের মাঠে হেরে কাজটাকে কঠিন করে ফেলেছে আর্সেনাল। কিন্তু গল্প বদলানোর জন্য ৯০ মিনিট সময় তো হাতে আছেই।
ফাইনালে যেতে পারবে পিএসজি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর স ন ল ফ ইন ল প এসজ ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
ফটিকছড়িতে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকদের সড়ক অবরোধ
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহারকে মনোনয়ন না দেওয়ায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে তাঁরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পুলিশের আশ্বাসে রাত আটটার দিকে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ফটিকছড়ি সদরের বিবিরহাটে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর নাজিরহাট ও হেঁয়াকোতে তিন দফায় বিক্ষোভ করেন কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা অবিলম্বে সরোয়ার আলমগীরকে প্রত্যাহার ও আজিম উল্লাহ বাহারকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।
এদিকে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে প্রায় দুই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশ করেন আজিম উল্লাহ বাহারের সমর্থকেরা। সমাবেশ শেষে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় তাঁর কর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। তিন শতাধিক কর্মী দুই স্থানে সড়কে বসে ছিলেন এবং টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে আমরা গিয়ে সবাইকে বোঝালে অবরোধ তুলে নেন।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ফটিকছড়িসহ ১৬ আসনের মধ্যে ১০টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ফটিকছড়ি আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীরকে দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজিম উল্লাহ বাহারসহ পাঁচজন।