দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে ঝিনাইদহের রনি নিহত
Published: 7th, May 2025 GMT
দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতদের গুলিতে রবিউল ইসলাম রনি (৫০) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। নিহত রবিউল ইসলাম রনি ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুদিয়া গ্রামের গোলজার মোল্লার ছেলে।
সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রবিউল ইসলাম রনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নিহতের ভাইয়ের জামাতা তানভীর হোসেন জানান, ঘটনার সময় একটি ব্যাংকের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন রবিউল ইসলাম রনি। এসময় ডাকাতরা নিকটস্থ একটি ব্যাংক ডাকাতি করে এলোপাথাড়ী গুলি ছোড়ে। ওই সময় ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে প্রাইভেটকার যোগে বাড়ি ফিরছিলেন রবিউল ইসলাম রনি। ড্রাইভিং সিটে থাকা রনি ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
রনির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিউল ইসলাম রনি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে পরিবারসহ দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছেন। সেখানে তার ব্যবসাও আছে। আগামী বৃহস্পতিবার (৮ মে) রনির মরদেহ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন নিহত রনির ভাইয়ের জামাতা তানভীর হোসেন আদনান।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, “এমন কোন খবর এখনো পাইনি। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস