উদ্ভাবনী উদ্যোগ তথা স্টার্টআপ তহবিলে মূলধন বিনিয়োগের জন্য একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর নিট মুনাফা থেকে আলাদা করে রাখা ১ শতাংশ অর্থে এ কোম্পানি গঠন করা হবে। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ব্যাংকের এই কোম্পানিতে শেয়ার থাকবে। স্বতন্ত্র একটি পরিচালনা পর্ষদও গঠিত হবে। গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক স্টার্টআপ তহবিলকে উৎসাহিত করতে ২০২২ সালে এক নির্দেশনার মাধ্যমে প্রতিটি ব্যাংকের নিট মুনাফার ১ শতাংশ আলাদা করে রাখার নির্দেশ দেয়। আলাদাভাবে রাখা তহবিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকায়। সেই তহবিল দিয়েই এখন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠন করা হবে। এই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগে মূলধন বিনিয়োগ করবে। স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের মুনাফার অংশ পাবে এই কোম্পানি।

নীতিমালার আলোকে, সম্ভাবনাময় যেসব স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের বয়স ২ বছরের কম সেখানে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা যাবে। কোম্পানির বয়স ২ থেকে ৬ বছরের মধ্যে থাকলে ৫ কোটি টাকা এবং ৬ থেকে ১২ বছর হলে ৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা যাবে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি কোনো স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে পারবে না। তবে ব্যাংকগুলো চাইলে নিজস্ব উৎস কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংকে বিদ্যমান ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে ঋণ দিতে পারবে। পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের সুদহার হবে ৪ শতাংশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ট র টআপ তহব ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘মা, ক্ষুধা পেয়েছে’ বলে হারিয়ে যায় শিশু, দুই দিন পর লাশ উদ্ধার

‘মা, ক্ষুধা পেয়েছে, ভাত খাব।’ চার বছরের শিশু সত্যজিৎ চাকমার এটিই ছিল শেষ কথা। শুনে ছেলেকে বারান্দায় রেখে রান্নাঘরে ভাত আনতে যান মা সুরেশ বালা তঞ্চঙ্গ্যা। তবে দুই মিনিট পর ফিরে দেখেন, বারান্দায় ছেলেটি আর নেই।

ঘটনাটি ঘটেছে বান্দরবান শহরতলির সিনিয়রপাড়ায় এলাকায়। গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এভাবেই নিখোঁজ হয়েছিল সত্যজিৎ। দুই দিন পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে রেইছা বাজারসংলগ্ন রেইছা খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বান্দরবানে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে পাহাড়ি ঝিরি ও ঝরনা হঠাৎ স্রোতপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সিনিয়রপাড়ার সমীরণ চাকমার বাড়ির পাশে একটি ঝিরি আছে। শিশুটির বাবা সমীরণ চাকমার ধারণা, শিশুটি পাশের ঝিরিতে খেলতে গিয়ে স্রোতে ভেসে গেছে।

সমীরণ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার দিন তিনি অফিসে ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও ছেলে বাড়িতে ছিল। সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। ছেলে বলেছিল, ক্ষুধা পেয়েছে। মা ছেলেকে বারান্দায় বসিয়ে রান্নাঘরে যায়। ফিরে এসে দেখে ছেলে নেই।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ পারভেজ বলেন, রেইছা বাজার এলাকার খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ