অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ র‍্যাপোর্টিয়ার ফ্রানচেসকা আলবানিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাম্পের প্রশাসন। সম্প্রতি তিনি গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা নিয়ে নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করা ও গাজায় চলমান গণহত্যায় ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। তাদের এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।

বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। তাঁর অভিযোগ, আলবানিজ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধ চালাচ্ছেন।

আরও পড়ুনগাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফটসহ বহু প্রতিষ্ঠান০২ জুলাই ২০২৫

ফ্রানচেসকা আলবানিজ দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে কয়েকজন জোরালো দাবি জানিয়েছেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।

দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েল ও দেশটির মিত্ররা আলবানিজের কঠোর সমালোচনা করে আসছে। তারা তাঁকে জাতিসংঘের পদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছে।

বুধবার এক বিবৃতিতে আলবানিজ অভিযোগ করেন, গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইউরোপের দেশগুলো তাকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে সহায়তা করছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ফ্রানচেসকা আলবানিজ লিখেছেন, ‘ইতালি, ফ্রান্স ও গ্রিসের নাগরিকদের এটা জানা উচিত যে, আন্তর্জাতিক আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন করে নেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ তাদের সবাইকে ঝুঁকিতে ফেলে ও দুর্বল করে দেয়।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, আইসিসিতে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আলবানিজের প্রচেষ্টাই তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞার আইনি ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কাজ করা আইসিসি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিধান রাখা হয়। গত মাসেই ট্রাম্প প্রশাসন আইসিসির চারজন বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

গত নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আইসিসি। মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ওপর ন ষ ধ জ ঞ ইসর য় ল র আলব ন জ ইসর য আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন চৌধুরী মামুন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। ট্রাইব্যুনালে তিনি বলেছেন, ‘আমি জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।’

জুলাই গণহত্যা চলাকালীন পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব পালন করা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এই মামলায় আমি রাজসাক্ষী হতে চাই।’

আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বক্তব্য দেন তিনি।

এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। বিচারপতি মো গোলাম মোর্তোজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল আজ এ অভিযোগ গঠন করেন। 

অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম কোনো মামলার বিচার শুরু হল। পাশাপাশি এ মামলার সব সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন ট্রাইবুনাল। 

মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও কারাগারে থাকা সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। অভিযোগ গঠনের সময় মামুন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। 

ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু
  • জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন
  • জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন চৌধুরী মামুন
  • চব্বিশের গণহত্যায় দায়ীদের বিচার চাইলেন সোহেল তাজ