টানা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুর সদরের খোয়াসাগর দিঘির পাড়ের ওয়াকওয়ের একটি অংশ ধসে পড়েছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে এ হাঁটাপথের প্রায় ৫০ মিটার ধসে যায়। এতে জায়গাটি দর্শনার্থী ও প্রাতঃভ্রমণকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ না করায় ওয়াকওয়ের নিচের মাটি দুর্বল হয়ে গেছে। ফলে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ওয়াকওয়েসহ মাটি ধসে পড়েছে। 
সদরের ইউএনও জামশেদ আলম রানা বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার প্রয়োজন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। দেখা যাক কীভাবে সমাধান করা যায়।’

খোয়াসাগর দিঘির পাড়ে নিয়মিত হাঁটতে আসা মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন এটির সংস্কার হয়নি। এখন বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।’ আরেকজন প্রবীণ বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বারবার বলার পরও কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। কেউ পড়ে গিয়ে আহত হলে কে দায় নেবে?’

জেলা সদরের দালালবাজারে অবস্থিত খোয়াসাগর দিঘি শহরের বাসিন্দাদের অন্যতম প্রধান বিনোদনস্থল। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী পরিবার-পরিজন নিয়ে নয়নাভিরাম এ দিঘি দেখতে আসেন। তারা মূলত এ ওয়াকওয়ে ধরেই হাঁটেন, ছবি তোলেন। এ ছাড়া সকাল ও বিকেলে বিপুলসংখ্যক মানুষ এখানে হাঁটতে আসেন। ধস নামায় এখন ওয়াকওয়েটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টি হতে থাকলে সেখানে আরও বড় ধস নামার আশঙ্কা করছেন অনেকে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র

এছাড়াও পড়ুন:

এসএসসিতে কুমিল্লা বোর্ডে কমেছে পাসের হার 

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমেছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯০২ জন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বোর্ড মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: শামছুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এ বছর মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৮১ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের ৮৮ দশমিক ০১ শতাংশ, মানবিকে ৪৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৫৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। পাসের হার ও জিপিএ -৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে মেয়েরা। 

ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায় গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার, শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জিপিএ-৫ কমেছে। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ ছিল ১২ হাজার ১০০ জন এবং শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান ছিল ৯৮টি এ বছর মাত্র ২২টি। ফলাফল ঘোষণার সময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাসছীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ