Prothomalo:
2025-07-10@06:20:54 GMT

নামাজের নিষিদ্ধ সময়

Published: 10th, July 2025 GMT

নামাজ ইসলামের প্রধান ইবাদত। তবে শরিয়তের নির্দেশ অনুযায়ী দিনের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ, সুন্নত বা নফল নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ। এই নিষিদ্ধ সময়গুলো নির্ধারিত হয়েছে সূর্যের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে, যাতে মুসলিমরা সূর্যপূজারিদের সঙ্গে সাদৃশ্য থেকে দূরে থাকে এবং ইবাদতের শৃঙ্খলা বজায় রাখেন।

নামাজের নিষিদ্ধ সময়

নবীজি (সা.

) বলেন, ‘সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও সূর্য মধ্যাকাশে থাকার সময় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৩১ সুতরাং শরিয়তের আলোকে নামাজের জন্য নিষিদ্ধ সময়গুলো এমন—

সূর্যোদয়ের সময়: সূর্যোদয়ের শুরু থেকে সূর্য সম্পূর্ণ উঠে যাওয়া পর্যন্ত (প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট) নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। নবীজি (সা.) বলেন, ‘সূর্যোদয়ের সময় নামাজ পোড়ো না, কারণ, তখন শয়তান সূর্যের সঙ্গে থাকে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩,২৭২)

আরও পড়ুননবীজি (সা.)-এর অন্তিম সময়২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও সূর্য মধ্যাকাশে থাকার সময় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ।সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৩১

সূর্য মধ্যাকাশে থাকার সময়: সূর্য যখন আকাশের মাঝখানে থাকে (জোহরের সময়ের ঠিক আগে, প্রায় ৫ থেকে ১০ মিনিট), তখন নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। এটি সূর্যের শীর্ষস্থানে থাকার সময়, যখন সূর্যপূজারিদের সঙ্গে সাদৃশ্য হতে পারে।

সূর্যাস্তের সময়: ‘সূর্যাস্তের শুরু থেকে সূর্য সম্পূর্ণ অস্ত যাওয়া পর্যন্ত নামাজ পড়া নিষিদ্ধ।’

উকবা ইবনে আমির আল-জুহানি বলেন, তিনটি সময় আছে যখন আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের নামাজ পড়তে এবং মৃতদের দাফন করতে নিষেধ করেছেন—যখন সূর্য উদিত হয়, যতক্ষণ না এটি সম্পূর্ণরূপে উদিত হয়; যখন দুপুরে সূর্য তার শীর্ষে থাকে, যতক্ষণ না এটি তার শীর্ষে চলে যায় এবং সূর্য যখন সূর্য অস্ত যায়, যতক্ষণ না এটি সম্পূর্ণ অস্ত যায়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৩১)

ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত: ফজরের ফরজ নামাজের পর সূর্যোদয়ের আগপর্যন্ত কোনো নফল নামাজ পড়া যায় না, তবে ফজরের সুন্নত পড়া যায় যদি ফরজের আগে মিস হয়ে যায়।

আসরের নামাজের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত: আসরের ফরজ নামাজের পর কোনো নফল নামাজ পড়া যায় না, তবে আসরের সুন্নত পড়তে চাইলে পড়া যেতে পারে।

আরও পড়ুনযেকোনো সময় এই দোয়া করা যায়০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ষ দ ধ সময ন ম জ র পর থ ক র সময

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইরাস জ্বর হলে কী করবেন, কী করবেন না

ভাইরাস জ্বর সাধারণত তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই  জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরের নানা অঙ্গে প্রদাহ তৈরি হয়। অনেকে জ্বর থেকে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবন শুরু করেন। 

ডা. হাসিনা নাসরিন, ইনফেকশাস ডিজিজ ও ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ভাইরাস জ্বর বেশির ভাগ সময় নাক, কান, গলা এবং ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। এই অঙ্গগুলোতে প্রদাহ হয়। সাথে সাথে জ্বরটাও থাকে। যখনই দেখবেন যে সর্দি, কাঁশি, হাঁচি এবং নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যাগুলো দেখা যাচ্ছে, সঙ্গে শুকনা কাঁশি হচ্ছে এবং গলা একটু বসে যাচ্ছে তখনই  ভাববেন যে আপনি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। 

প্রথম তিন থেকে চারদিন আমরা জ্বরটাকে ভাইরাস জ্বর হিসেবে ডায়াগোনোসিস করে থাকি। কিন্তু চারদিনের পরেও যদি দেখা যায় যে, জ্বরটা কমছে না, তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাচ্ছে এবং সাথে সাথে কাঁশিটা আরও গাঢ় হয়ে যাচ্ছে-কফ আসছে কাঁশির সঙ্গে তখনই চিকিৎসকের পরামর্শ ওষুধ সেবন করতে হবে। 

আরো পড়ুন:

সাইনাসের সমস্যা দূর করতে যে কাজটি করা দরকার

গর্ভাবস্থায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে কী করবেন, কী করবেন না

এর আগে প্যারাসিটামল ওষুধ ছাড়া আর কোনো ওষুধ সেবন করা যাবে না। জ্বর হয়ে মেটামোলিজম বেড়ে যায়। যার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবণ যুক্ত খাবার খেতে হবে। লিকুইড খাবার এবং ফলও খেতে হবে। 
ভাইরাস জ্বরের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না।  

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ