স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ৪টি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮১ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৮০ টাকা।

বুধবার (৭ মে) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। 

সভা সূত্রে জানা গেছে, জাইকার ওডিএ গাইড লাইনের আলোকে স্বাক্ষরিত পূর্ত কাজের চুক্তিপত্রের পিসিসি ১৩.

৮ সংশোধনপূর্বক চুক্তিমূল্য সমন্বয় করে সংশোধিত ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। জাইকার সঙ্গে চুক্তির আওতায় ৭টি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেডিওলজি ও ইমেজিং ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণের পূর্ত কাজ যৌথভাবে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লি. এবং চায়না গেজহুবা গ্রুপ কো. লি. এর সঙ্গে ৪০১ কোটি ৭৮ লাখ ৬৮ হাজার ৪৫৮ টাকায় চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় পরিবর্তিত রেট সিডিউল অনুযায়ী মূল্য সমন্বয় প্রয়োজন হওয়ায় অতিরিক্ত ৫৪ কোটি ৭৮ লাখ ৯১ হাজার ১৫৩ টাকা চুক্তিমূল্য সমন্বয়ের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

মূল্য সমন্বয়ের কারণ হিসেবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে পণ্য মূল্য বৃদ্ধি, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নতুন রেট সিডিউল অনুযায়ী বিভিন্ন আইটেমের একক মূল্য বৃদ্ধি, অর্থ বিভাগ কর্তৃক ২৩টি ক্যাটাগরির বিভিন্ন আইটেমের দর পুনঃনির্ধারণ, বরাদ্দকৃত জায়গায় বিভিন্ন স্থাপনা ও গাছ থাকার কারণে তা অপসারণ করে চুক্তিপত্রের ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ১৮০ দিনের মধ্যে স্থান বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রকল্পে বিদেশি কনসালটেন্টগণ বিদেশে অবস্থান করার কারণে দরপত্র মূল্যায়ন করে কার্যাদেশ প্রদানে বিলম্ব হওয়ার কথা বলা হয়েছে। 

সভায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে ইউনিসেফকে কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ করা হলে সংস্থাটি প্রস্তাব দাখিল করে। এতে ব্যয় হবে ৬৬ কোটি ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭০ টাকা।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজ

কক্সাজারের দুটি দুর্গম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (মহেশখালী ও কুতুবদিয়া) এবং নোয়াখালীর একটি দুর্গম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (হাতিয়া) এবং চট্রগ্রামের একটি দুর্গম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (সন্দ্বীপ)-এ অতিরিক্ত জনবল সংস্থানের মাধ্যম হোস্ট কমিউনিটির স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন।
 

ঢাকা/হাসনাত//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ

নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।

আরো পড়ুন:

ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু

মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক

কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।

এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ