রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এসব সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১৫৬ কোটি ৬৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া, ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, সেতু ও কালভার্ট সংস্কারের দরপত্র পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৭ মে) অর্থ উপদেষ্টা ড.

সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থ উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় সফরে ইতালিতে অবস্থান করছেন। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ২০০৮-২০০৯ অর্থবছর থেকে তিউনিশিয়া থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সার আমদানি করছে। এর আগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানির চুক্তিতে উল্লেখ করা মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে তিউনিশিয়া থেকে প্রথম লটে ২৫ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানিতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার দরে ব্যয় হবে ১ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৫৬ কোটি ৬৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন টিএসপি সারের দাম পড়বে ৫১৩.৭৫ মার্কিন ডলার।

সভায় ‘২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধীন বিভিন্ন সড়ক, সেতু ও কালভার্ট জরুরি পুনর্বাসন ও পুনঃনির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউপি-০১ এর পূর্ত কাজের দরপত্র পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। 

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স র আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউআইইউ মার্স রোভার টিমের অনন্য সাফল্য, শুনুন পেছনের গল্প
  • এসে গেল আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি, দাম কত
  • নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়রের মাকে কতটা জানেন?
  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে