ববি উপাচার্যের বাসভবনে তালা শিক্ষার্থীদের
Published: 8th, May 2025 GMT
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শারমিনের অপসারণ দাবিতে তাঁর বাসভবনে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে বাসভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে একই দাবিতে মঙ্গলবার উপাচার্যের দপ্তরসহ প্রশাসনিক সব দপ্তরে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে দায়িত্ব ছেড়েছেন দুই শিক্ষক। তারা হলেন– শের-ই-বাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল আলিম বাছের ও জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার। এর আগে ২৯ এপ্রিল বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব ছাড়েন মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদি হাসান।
জানা গেছে, বুধবার তালা ঝোলানোর সময় উপাচার্য বাসায় ছিলেন না। তিনি রাজধানীতে অবস্থান করছেন। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে বিক্ষোভ করে বাসভবনে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপরও উপাচার্যকে অপসারণ করা না হলে তাঁর বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ অচল করার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনত শিক্ষার্থী আজমাইন শুভ বলেন, স্বৈরাচারের দোসর অদক্ষ উপাচার্য অতীতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই দাবিগুলো পূরণ হয়নি। নানা সংকটে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে না। সেদিকে উপাচার্যের নজর নেই। উল্টো স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসন করে যাচ্ছেন তিনি।
রাকিন খান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, উপাচার্যের দপ্তরসহ সব প্রশাসনিক দপ্তর ও বাসভবনে তালা লাগানো হয়েছে। নতুন উপাচার্য যোগদান করলে তখন তালা খোলা হবে।
চার দফা দাবিতে ২১ এপ্রিল থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারিতে অবসরে যাওয়া রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। অন্য তিন দাবির সুরাহা না হওয়ায় সোমবার উপাচার্য অপসারণের এক দফা ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল উপ চ র য র ব সভবন
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ
জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখী মিছিলটি পুলিশি বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানের গ্যাসের শেল ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ে।
আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা। মিছিলটি হাইকোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানে শিক্ষকেরা পুলিশের ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং জলকামানের পানি ছিটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন।
তবে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতা আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের সামনে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০-১২ জন শিক্ষক আহত হন।
বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা