১. কখনো নিজের ভুল স্বীকার না করা

আবেগগত অপরিপক্বরা কখনো নিজের ভুল স্বীকার করেন না। এতে তাঁদের ‘ইগো হার্ট’ হয়। অথচ নিজের ভুল বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে তা স্বীকার করার মাধ্যমে ভুল সংশোধন করে নেওয়া সহজ হয়। তা ছাড়া ‘সরি’ বলার মাধ্যমে অনেক জটিলতা এড়িয়ে চলা সম্ভব।

২. সব সময় কথায় জিততে চাওয়া

আবেগগত অপরিপক্বরা ভিন্নমতকে সম্মান জানাতে পারেন না। নিজের মতামত অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাঁরা সব সময় কথায় জিততে চান।

আরও পড়ুনযে ৮ লক্ষণ দেখে বুঝবেন সঙ্গী প্রতারণা করছে২০ জানুয়ারি ২০২৫৩.

প্যাসিভ অ্যাগ্রেশন

আবেগগত অপরিপক্বরা তাঁদের কথা ও কাজে নানাভাবে অন্যকে ছোট দেখাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আদতে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। তাই অন্যকে ছোট করে মনে মনে নিজে বড় হতে চান।

৪. হুটহাট রেগে যাওয়া

চট করে রেগে যাওয়ার অর্থ হলো আবেগ আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। এটা আবেগগত অপরিপক্বতার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।

৫. সমালোচনা নিতে না পারা

ঠিক এ কারণেই আবেগগত অপরিপক্বরা প্রতিনিয়ত নিজেদের শুধরে নিয়ে সামনে এগোতে পারেন না। কেননা তাঁরা সমালোচনা নিতে পারেন না।

আরও পড়ুনএই ১২ লক্ষণ থাকলে আপনি সম্ভবত এডিএইচডিতে আক্রান্ত৩০ জানুয়ারি ২০২৫৬. প্রতিনিয়ত সমর্থন চাওয়া

আবেগগত অপরিপক্বরা তাঁদের আশপাশে ‘ইয়েস ম্যান’ নিয়োগ দেন বা রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কেননা তাঁরা নিজেদের আবেগ বা কর্মকাণ্ড নিয়ে আত্মবিশ্বাসী নন। এ কারণে ‘পাওয়ার পজিশন’–এ থাকলে বা ক্ষমতাধর হলে, তাঁদের আশপাশে তোষামোদেরা ঘুরঘুর করে।

৭. কঠিন কথোপকথন এড়িয়ে যাওয়া

আবেগগত অপরিপক্বরা ‘সিচুয়েশন ফেস’ করতে ভয় পান। কঠিন কথোপকথন এড়িয়ে চলেন।

৮. গিল্ট ট্রিপিং

অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে তাঁরা গিল্ট ট্রিপিংয়ের মতো ইমোশনাল ম্যানিপুলেশনের আশ্রয় নেন। ধরুন, তিনি আপনাকে বলবেন, ‘তুমি যদি আসলেই আমার ভালো বন্ধু হতে তাহলে কাজটা করে দিতে।’ কিংবা ‘তোমার জন্য আমাকে আজ কতগুলো কথা শুনতে হলো!’ ইত্যাদি। এককথায়, আপনাকে প্রতিনিয়ত অপরাধী অনুভব করান। পুরোনো ভুলের কথা মনে করিয়ে দেন। নিজে ‘ভিকটিম কার্ড’ প্লে করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

সূত্র: ভেরি ওয়েল মাইন্ড

আরও পড়ুনযেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনাদের বিচ্ছেদ অনিবার্য ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পেটানোর পরিকল্পনা করা গ্রুপের অ্যাডমিন ছাত্রদল সম্পাদক

হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে শিক্ষার্থীদের পেটানোর পরিকল্পনার কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল। তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে স্ক্রিনশটগুলো এডিটেড বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

এমনকি, স্কিনশর্ট ফাঁস হওয়া গ্রুপের অ্যাডমিন হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এবং রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে ফাঁস হওয়া একই গ্রুপের একাধিক স্ক্রিনশটে এমনটা দেখা যায়। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের পেটানোর পরিকল্পনা রাবি ছাত্রদলের, স্ক্রিনশট ভাইরাল

রোডম্যাপ অনুযায়ী রাকসু নির্বাচনের দাবি

যাচাই করে দেখা গেছে, ভাইরাল হওয়া ‘রাবি ছাত্রদল’ নামের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটির অ্যাডমিন হিসেবে রয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী, যুগ্ম-আহ্বায়ক এম এ তাহের, মাহমুদুল হাসান মিঠু, সর্দার জহিরুল, সদস্য নাফিউল ইসলাম জীবন, সর্দার রাশেদসহ কেন্দ্রীয় ও রাবি শাখা ছাত্রদলের অনেক নেতা রয়েছে।

গ্রুপের সদস্য হিসেবে রাবি শাখা ছাত্রদলেও সব নেতা-কর্মীর নাম দেখা গেছে। ফলে এটি সংগঠনের বাইরে তৈরি হওয়া একটি গ্রুপ বলে দাবি করার সুযোগ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “আমাদের ১২টিরও বেশি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। এর মধ্যে অনুষদ ও বিভাগের আলাদা গ্রুপও আছে। ফলে যে কেউ আমাদের যেকোনো গ্রুপে অ্যাড করতে পারে, এমনকি মহানগরী থেকেও। তবে এর অর্থ এই নয় যে, আমরা প্রতিটি গ্রুপের মেসেজ নিয়মিত দেখি। অনেক গ্রুপের নোটিফিকেশন আমরা বন্ধ করে রাখি। বিশেষ করে যেগুলো অপ্রাসঙ্গিক বা ব্যক্তিগত কথাবার্তার জন্য ব্যবহৃত হয়।”

ভাইরাল হওয়া অ্যাডমিন চিহ্নিত স্ক্রিনশটটির বিষয়ে তিনি বলেন, “যে স্ক্রিনশটটি প্রকাশ পেয়েছে, তা সম্পূর্ণ এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচারিত হয়েছে। এটি একটি মিডিয়া ট্রায়াল এবং আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।”

তিনি আরো বলেন, “বট বাহিনী বলতে বোঝানো হয়েছে তাদের, যারা আমাদের বিরুদ্ধে সবসময় মিথ্যা তথ্য ছড়ায়। আর নাসির ভাই কোনো কর্মী পর্যায়ের গ্রুপে কখনই যুক্ত থাকেন না। কেউ যদি তাকে এমন কোনো গ্রুপে অ্যাড করেও, সেটি তার দেখার সুযোগ থাকে না।”

আরো পড়ুন: শিক্ষার্থীদের পেটানোর পরিকল্পনা রাবি ছাত্রদলের, স্ক্রিনশট ভাইরাল

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে সোমবার (৫ মে) গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রুপে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।

তিনি বলেছিলেন, “স্ক্রিনশটের বিষয়ে আমার জানা নেই। এটা আসলেই ছাত্রদলের কারো কি না, সেই বিষয়টা নিয়েও সন্দেহ থেকে যায়। বিষয়টি সম্পর্কে আমার খোঁজ নিতে হবে। কেন্দ্র থেকে আমানুল্লাহ আমান রাবি শাখার দায়িত্ব পালন করছে। আমরা তার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সত্যতা জানার চেষ্টা করব। এর আগে কোনো মন্তব্য আমি করতে পারব না।”

সোমবার (৫ মে) সকালে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের দুইটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরতে দেখা যায়। সেখানে গ্রুপের নাম দেওয়া আছে ‘রাবি ছাত্রদল’। গ্রুপটির কথোপকথনে দেখা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের পেটানোর পরিকল্পনা করছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেখানে একজন ‘যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই পেটানোর পরামর্শ দেন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পেটানোর পরিকল্পনা করা গ্রুপের অ্যাডমিন ছাত্রদল সম্পাদক
  • শিক্ষার্থীদের পেটানোর পরিকল্পনা রাবি ছাত্রদলের, স্ক্রিনশট ভাইরাল