আবেগগত অপরিপক্বতার এই ৮ লক্ষণ মিলিয়ে নিন
Published: 8th, May 2025 GMT
১. কখনো নিজের ভুল স্বীকার না করা
আবেগগত অপরিপক্বরা কখনো নিজের ভুল স্বীকার করেন না। এতে তাঁদের ‘ইগো হার্ট’ হয়। অথচ নিজের ভুল বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে তা স্বীকার করার মাধ্যমে ভুল সংশোধন করে নেওয়া সহজ হয়। তা ছাড়া ‘সরি’ বলার মাধ্যমে অনেক জটিলতা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
২. সব সময় কথায় জিততে চাওয়াআবেগগত অপরিপক্বরা ভিন্নমতকে সম্মান জানাতে পারেন না। নিজের মতামত অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাঁরা সব সময় কথায় জিততে চান।
আরও পড়ুনযে ৮ লক্ষণ দেখে বুঝবেন সঙ্গী প্রতারণা করছে২০ জানুয়ারি ২০২৫৩.প্যাসিভ অ্যাগ্রেশন
আবেগগত অপরিপক্বরা তাঁদের কথা ও কাজে নানাভাবে অন্যকে ছোট দেখাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আদতে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। তাই অন্যকে ছোট করে মনে মনে নিজে বড় হতে চান।
৪. হুটহাট রেগে যাওয়াচট করে রেগে যাওয়ার অর্থ হলো আবেগ আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। এটা আবেগগত অপরিপক্বতার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
৫. সমালোচনা নিতে না পারাঠিক এ কারণেই আবেগগত অপরিপক্বরা প্রতিনিয়ত নিজেদের শুধরে নিয়ে সামনে এগোতে পারেন না। কেননা তাঁরা সমালোচনা নিতে পারেন না।
আরও পড়ুনএই ১২ লক্ষণ থাকলে আপনি সম্ভবত এডিএইচডিতে আক্রান্ত৩০ জানুয়ারি ২০২৫৬. প্রতিনিয়ত সমর্থন চাওয়াআবেগগত অপরিপক্বরা তাঁদের আশপাশে ‘ইয়েস ম্যান’ নিয়োগ দেন বা রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কেননা তাঁরা নিজেদের আবেগ বা কর্মকাণ্ড নিয়ে আত্মবিশ্বাসী নন। এ কারণে ‘পাওয়ার পজিশন’–এ থাকলে বা ক্ষমতাধর হলে, তাঁদের আশপাশে তোষামোদেরা ঘুরঘুর করে।
৭. কঠিন কথোপকথন এড়িয়ে যাওয়াআবেগগত অপরিপক্বরা ‘সিচুয়েশন ফেস’ করতে ভয় পান। কঠিন কথোপকথন এড়িয়ে চলেন।
৮. গিল্ট ট্রিপিংঅন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে তাঁরা গিল্ট ট্রিপিংয়ের মতো ইমোশনাল ম্যানিপুলেশনের আশ্রয় নেন। ধরুন, তিনি আপনাকে বলবেন, ‘তুমি যদি আসলেই আমার ভালো বন্ধু হতে তাহলে কাজটা করে দিতে।’ কিংবা ‘তোমার জন্য আমাকে আজ কতগুলো কথা শুনতে হলো!’ ইত্যাদি। এককথায়, আপনাকে প্রতিনিয়ত অপরাধী অনুভব করান। পুরোনো ভুলের কথা মনে করিয়ে দেন। নিজে ‘ভিকটিম কার্ড’ প্লে করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
সূত্র: ভেরি ওয়েল মাইন্ড
আরও পড়ুনযেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনাদের বিচ্ছেদ অনিবার্য ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘মামলা–বাণিজ্যের কল রেকর্ড’ ফাঁসের পর ফেনীতে এনসিপি নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি
‘মামলা–বাণিজ্যের কল রেকর্ড’ প্রকাশ হওয়া নিয়ে সমালোচনার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্র। আজ বুধবার সংগঠনটির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। পাশাপাশি কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তিন কার্যদিবসের মধ্যে এর কারণও জানতে চাওয়া হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া ওই নেতার নাম আজিজুর রহমান। তিনি সংগঠনটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক পদে ছিলেন। এনসিপির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনার (আজিজুর) বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের একটি ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনায় আপনার আচরণ সংগঠনের নীতিবিরুদ্ধ বলে আমাদের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। আপনাকে দলের সকল দায়িত্ব থেকে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’
জানতে চাইলে অভিযুক্ত আজিজুর রহমান বলেন, ‘একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর পর বিষয়টি আমার পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়। কেন্দ্রীয় কমিটি আমাকে চার দিনের জন্য শোকজ করেন। এ সময় আমি আমার বক্তব্য কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করি। কেন্দ্রীয় কমিটি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন। আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নই।’
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজিজুর রহমানে মুঠোফোনের কথোপকথন ভাইরাল হয়। এতে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহাজাহান সাজুকে কারামুক্ত করার বিষয়ে তাঁর নিকটাত্মীয় মোহাম্মদ মমিনের কথোপকথন ছিল। ওই কথোপকথনে আজিজুর রহমানকে মামলায় ফাঁসানোর কথা বলতে শোনা যায়। কথোপকথনের একপর্যায়ে আজিজুর বলেন, ‘ও চাইলে আমাকে ১ কোটি টাকা, ২ কোটিও দিতে পারে ৩০ লাখ টাকার গল্প কেন ছড়ায়?’ এ কথোপকথন প্রকাশের পর জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার হয়।