উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোতে ভিসা পেতে বিলম্ব এবং পড়াশোনার খরচ বেশি হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী বিকল্প দেশ খোঁজেন। বিকল্প দেশের প্রতি ঝোঁকার অন্যতম কারণ সাশ্রয়ী মূল্যের শিক্ষার সঙ্গে দ্রুত এবং আরও সহজলভ্য শিক্ষার্থী ভিসা (স্টুডেন্ট ভিসা) প্রক্রিয়া। এমন পাঁচটি দেশ আছে, যেখানে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ এবং দ্রুত। দেখুন তালিকা—

পোল্যান্ড

সাশ্রয়ী মূল্যে শিক্ষা, নিরাপদ পরিবেশ ও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারণে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে পোল্যান্ড। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ হওয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের দেশটির প্রতি আকর্ষণ রয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশই ভিসা পেয়ে যান। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য অধ্যয়নের গন্তব্যগুলোর মধ্যে এটি একটি হতে পারে।

আরও পড়ুনথাইল্যান্ডের এআইটি স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষার সুযোগ, জেনে নিন সব তথ্য০৪ মে ২০২৫

জার্মানি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা এবং টিউশন মুক্ত নীতির কারণে জার্মানি অনেকটাই এগিয়ে অন্য অনেক দেশের চেয়ে। দেশটিতে স্টুডেন্ট ভিসা গ্রহণের হার ৯০ শতাংশের বেশি। স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সহজেই ভিসা পেয়ে যান। এ ছাড়া জার্মানি ১৮ মাসের পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা প্রদান করে, যা স্নাতকদের তাঁদের পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি খুঁজতে সাহায্য করে।

ফ্রান্স

ফ্রান্সও সহজলভ্য ভিসা প্রক্রিয়ার কারণে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে শিক্ষার্থীদের কাছে। স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভিসা পেয়ে থাকেন। ন্যূনতম ডকুমেন্টেশন ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণ তুলনামূলকভাবে দ্রুত হয়ে থাকে। ফ্রান্স জনপ্রিয় অধ্যয়নের গন্তব্য হওয়ার পেছনে ব্যবসা, আতিথেয়তা এবং ফ্যাশনও একটি কারণ মনে করা হয়।

আরও পড়ুনজাপানের স্টাডি সাপোর্ট স্কলারশিপ, ইংরেজি ও জাপানিজ দুই ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন৪ ঘণ্টা আগে

সংযুক্ত আরব আমিরাত

ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসায়িক প্রোগ্রামে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য সঙযুক্ত আরব আমিরাত পছন্দের একটি গন্তব্য হয়েছে উঠেছে। দেশটি সাধারণত ৩০ দিনেরও কম সময়ে স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া করে এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচ বছর পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি ভিসা প্রদান করে। ৭০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ ভিসা গ্রহণের হার এবং সামগ্রিক শিক্ষার খরচ কম থাকায় মধ্যপ্রাচ্যর দেশটির প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে।

ফিলিপাইন

ফিলিপাইন চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা-সম্পর্কিত শিক্ষা প্রোগ্রামের জন্য বেশ পরিচিত। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং টিউশন ফি পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ভিসা গ্রহণের হার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ব যবস জনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিনিয়োগ বাড়াতে বিজিএমইএর সঙ্গে কানাডা চেম্বারের সমঝোতা 

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অফ কানাডার (বিবিসিসি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের মূল লক্ষ্য হলো দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা, ব্যবসায়ীক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করা এবং পারস্পরিক ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠানে সমঝোতা স্মারকে বিজিএমইএ এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এবং বিবিসিসি এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন সভাপতি আলমগীর এম রহমান।

আরো পড়ুন:

পোশাকশিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিজিএমইএ-আইএমএফ বৈঠক

উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিজিএমইএ-এনপিও সমঝোতা স্মারক

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান, সহ-সভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক নাফিস-উ-দৌলা এবং সাবেক পরিচালক ইকবাল হামিদ কোরাইশী আদনান।

এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিজিএমইএ এবং বিবিসিসি এর সদস্যদের পারস্পরিক সুবিধা প্রদানের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে। এটি মূলত বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জ্ঞান বিনিময়ের ক্ষেত্রে উন্নত সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর কালে বলেন, “বিবিসিসি এর সাথে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর কানাডা ও উত্তর আমেরিকার বাজারে আমাদের শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সহায়ক হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো উন্নত বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করা।”

এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় উভয়পক্ষ নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলোতে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে- উভয় প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলা এবং নেটওয়ার্কিং সুযোগ, জ্ঞান বিনিময় সহজতর করা । কানাডা ও বাংলাদেশে যৌথভাবে বাণিজ্য মেলা, প্রদর্শনীর আয়োজন করা ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল প্রেরণ করা। একই সাথে, কানাডা ও উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশের পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্যের প্রচারণায় সহায়তা করা। উদ্যোক্তা ও পেশাদারদের সক্ষমতা বাড়াতে জ্ঞান, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বিনিময় করা । পোশাক, টেক্সটাইল ও সংশ্লিষ্ট খাতে কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা এবং সদস্যদের মধ্যে অংশীদারিত্ব, যৌথ উদ্যোগ ও সহযোগিতা উৎসাহিত করা। সদস্যদের সুবিধার্থে আন্তর্জাতিক বাজার প্রবণতা সংক্রান্ত তথ্য, নীতি ও গবেষণা ভাগ করে নেওয়া।

এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশ এবং কানাডার ব্যবসায়িক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়ক হবে বলে আশা করছে বিজিএমইএ।

ঢাকা/নাজমুল/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ