পিঙ্ক ফ্ল্যাগ কী

সম্পর্কে রেড ফ্ল্যাগগুলো নিয়ে আমরা সবাই কমবেশি সচেতন হয়ে উঠছি। সঙ্গীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, অসম্মান, মূল্যায়ন না করা, সারাক্ষণ সন্দেহ করতে থাকা, চাপে রাখা—এসবকে এককথায় রেড ফ্ল্যাগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আবার আপনি ঠিক যেমন সম্পর্ক আশা করেন, সম্পর্কে যা যা চান, তা মিলে যাওয়াকে বলে গ্রিন ফ্ল্যাগ। তবে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যেসব ঠিক রেড বা লাল নয়, আবার গ্রিন বা সবুজও নয়, মাঝামাঝি বলা চলে। আপাতদৃষ্টে প্রাথমিকভাবে সেসবকে ‘পাত্তা দেওয়ার মতো’ বড় সমস্যা মনে না হলেও সময়ে বা পরিস্থিতিতে সেসব রেড ফ্ল্যাগের মতোই মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এমনকি হতে পারে বিচ্ছেদের কারণও। রোমান্টিক বা দাম্পত্য সম্পর্কে সেই পিঙ্ক ফ্ল্যাগগুলো কী?

১.

দুজনের ‘লাভ ল্যাঙ্গুয়েজ’ ভিন্ন

একজনের কাছে হয়তো সম্পর্কে শারীরিক আকর্ষণটা মুখ্য, অন্যজনের কাছে ভালোবাসা হলো সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, নানান অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা, সঙ্গীর জন্য নানান কিছু করা বা হতে পারে ভালো ভালো রেঁধে খাওয়ানো। এখন একজন যদি অন্যজনের ভালোবাসার ভাষাকে মূল্যায়ন না করেন, তাহলে সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যায় পরিণত হতে পারে।

আরও পড়ুনকেন শারীরিক স্পর্শের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করবেন২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫২. দুজনের জীবনের লক্ষ্য ভিন্ন হওয়া

ধরুন, দুজনার একজন সন্তান চাইছেন। আরেকজন সন্তানের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত নন। এই দ্বিমত সম্পর্ক ভেঙে ফেলার জন্য যথেষ্ট। 

৩. ঝগড়া এড়িয়ে চলা

সম্পর্কে দুটি মানুষের দ্বিমত, ভিন্নমত, মান-অভিমান থাকাটাই স্বাভাবিক। ‘আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয় না’—এর মানে দুজনের কোনো একজন অথবা দুজনই ঝগড়া এড়িয়ে যাচ্ছেন, চেপে যাচ্ছেন, নীরবে সইছেন, নিজেকে প্রকাশ করছেন না বা চুপচাপ সবকিছু মেনে নিচ্ছেন। এ রকম ছোট ছোট অমীমাংসিত ইস্যু একসময় এত বড় আকার ধারণ করবে যে সেটা আর কোনোভাবেই সমাধান করা সম্ভব হবে না। আর ঠিক এ কারণেই ‘আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই’ মানে সেই জুটির বড় কোনো সমস্যা আছে! কেননা কোনো একজন অথবা দুজন সমস্যা প্রকাশই করছেন না বা করাটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না।

৪. প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব

আপনি যদি প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চালিয়ে যান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনার সঙ্গী বাহ্যিক উদারতা দেখিয়ে মুখে কিছু না বললেও মনে মনে মেনে নিতে পারেন না। আর সেটা অন্যভাবে প্রকাশ পেতে থাকে। তাই সম্পর্কবিশেষজ্ঞরা প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখাটাকেই শ্রেয় মনে করেন।

আরও পড়ুনপ্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কি বুদ্ধিমানের কাজ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫৫. অর্থনৈতিক বিষয়ে দ্বিমত 

ধরুন, আপনি ‘একটু কম খেয়ে কম পরে’ টাকা জমিয়ে আগে একটা বাড়ি কিনতে বা বানাতে চান। আর আপনার সঙ্গী ‘ইউ অনলি লিভ ওয়ান্স’ মতবাদে বিশ্বাসী। তিনি তাঁর সব ছোটখাটো শখ-আহ্লাদ পূরণ করে বাঁচতে চান। তিনি বাড়ি–গাড়ি চান না। বিশ্ব ঘুরে দেখাই তাঁর ইচ্ছা। প্রাথমিকভাবে এটিকে বড় সমস্যা মনে না হলেও পরবর্তী সময়ে তা জটিল আকার ধারণ করে সম্পর্কে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।  

৬. মনের ভাব সঠিকভাবে প্রকাশ না করা

আপনি যদি সঙ্গীর সঙ্গে নিজের অনুভূতি যথাযথভাবে প্রকাশ না করেন, তখন শুরু হয় ‘গেসিং গেম’। এর ফলে সম্পর্কে ভুল–বোঝাবুঝির অবকাশ তৈরি হয়।

কী করবেন

এসব ক্ষেত্রে পিঙ্ক ফ্ল্যাগগুলো জমে জমে গাঢ় হয়ে রেড ফ্ল্যাগ হয়ে ওঠার আগেই সেসবের মোকাবিলা করতে হবে। সম্পর্কটাকে যদি দুজনেই সবার আগে প্রাধান্য দেন, তাহলে দুজনকেই সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে হবে। তবে সবার আগে নিজের মনের গভীরের কথা শোনার কোনো বিকল্প নেই। অনেক সময় আপনার মন আপনাকে বারবার সতর্ক করে দেয়। কিন্তু আপনি প্রেমে পড়ার প্রাথমিক আবেগে বা শারীরবৃত্তীয় রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার প্রভাবে সেসবে পাত্তা দেন না। বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজের মনের কথা শুনুন। নিশ্চিত হয়ে তবেই আগান।  

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

আরও পড়ুনএই ১০ রেড ফ্ল্যাগের কয়টি আপনার মধ্যে আছে০১ মে ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ জন র সমস য আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

শাকিব খানকে নিয়ে বাঁধনের পোস্ট

ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খান। দুই দশকের বেশি সময় ধরে রাজত্ব করে যাচ্ছেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে। ঈদ মানেই শাকিবের সিনেমা, আর হলে উপচেপড়া দর্শক। এই সুপারস্টারকে নিয়ে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা প্রকাশ করে পোস্ট দিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।

সোমবার (২৩ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। তাতে শাকিব খানের প্রশংসা করে বাঁধন লিখেছেন, “আমার জীবনে বহু মানুষ আছেন যারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এর মানে এই নয় যে, আমি তাদের সব মতের সঙ্গে একমত। কিন্তু তাদের জীবনের কিছু দিক, মানসিক দৃঢ়তা, সিদ্ধান্ত আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে। ঠিক তেমন একজন হচ্ছেন আমাদের সুপারস্টার শাকিব খান।”

শ্রদ্ধা জানিয়ে আজমেরী হক বাঁধন লেখেন, “শাকিব খান যেভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন, তার জন্য আমি শ্রদ্ধা জানাই। এমন তারকাখ্যাতি অর্জন করা সহজ নয়। এটা সম্ভব হয় বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম আর নিজের কাজের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকলে। তার এই অধ্যবসায় ও অঙ্গীকারই তাকে আজকের শাকিব বানিয়েছে।”

আরো পড়ুন:

একটি কুচক্রী মহল বাংলা সিনেমাকে ধ্বংস করতে চায়: শাকিব খান

সেদিন হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম, ফিল্ম পলিটিক্স নিয়ে শিরিন শিলা

শাকিবকে ঘিরে দর্শকদের ভালোবাসার প্রসঙ্গ টেনে বাঁধন লেখেন, “মানুষ তাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসেন, সেটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি বিশ্বাস করি, খ্যাতির সঙ্গে দায়িত্বও বাড়ে। আমার ধারণা, শাকিব সেটা গভীরভাবে উপলব্ধি করেন। তার সব কাজের জন্য শুভকামনা রইল।”

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডব’। সিনেমাটিতে  আরো অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, আফরান নিশো, সাবিলা নূর, রোজী সিদ্দিকী, এজাজ, এফএস নাঈম, ফজলুর রহমান বাবু ও কাজী রাকায়েত।

অন্যদিকে ঈদেই মুক্তি পেয়েছে বাঁধন অভিনীত থ্রিলারধর্মী সিনেমা ‘এশা মার্ডার’। এতে একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। এটি পরিচালনা করেছেন সানী সানোয়ার।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাকিব খানকে নিয়ে বাঁধনের পোস্ট
  • যশোর বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ভুয়া বিজ্ঞপ্তি
  • সংবিধানে ‘গণতন্ত্র’ থাকলে আল্লাহর ওপর আস্থা-বিশ্বাসও থাকতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
  • যশোর বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ভুয়া বিজ্ঞপ্তি, বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান
  • জামিন পেলেন বেরোবি শিক্ষক মাহমুদুল হক
  • অবশেষে জামিন পেলেন বেরোবি শিক্ষক মাহমুদুল হক
  • সেপটিক ট্যাংকে ভাসছিল দুই শিশুর লাশ
  • ইবির ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ভর্তি শুরু ২৯ জুন
  • হাওরতীরের ব্যাটনবাড়ি
  • মায়ের মৃত্যুর খবরে দেশে আসা প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যা