শুধু মাকে খুঁজছে ১৯ মাসের আয়ুষ্মান দাস
Published: 8th, May 2025 GMT
জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত ১৯ মাসের আয়ুষ্মান দাসকে বাসায় মা–বাবার কাছে রেখে গত মঙ্গলবার অফিসে গিয়েছিলেন মাগুরা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা অনামিকা দাস (৩৪)। সন্ধ্যায় একটি বৈঠক চলাকালে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। হাসপাতালে ভর্তির পর জ্ঞান ফিরলে অসুস্থ ছেলের কথা ভেবে বাসায় ফিরে যান তিনি। বুধবার দুপুরে তিনি মারা যান। এখন শুধু মাকে খুঁজছে ছোট্ট আয়ুষ্মান।
২০১৯ সালে ক্রীড়া কর্মকর্তা হিসেবে মাগুরায় কর্মজীবন শুরু করেন রাজবাড়ী সদরের বানিবহ গ্রামের নির্মল কুমার দাসের মেয়ে অনামিকা দাস। ২০২২ সালের মার্চে একই এলাকার কৌশিক কুমার দাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কৌশিক বর্তমানে খুলনায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এই দম্পতির ছেলে আয়ুষ্মানের জন্ম হয়। ঘরে শিশুসন্তান রেখে চাকরি চালিয়ে যেতে রাজবাড়ী থেকে মা–বাবাকে মাগুরায় নিয়ে আসেন এই নারী।
গত বছরের আগস্টের পর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তার পাশাপাশি পদাধিকার বলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যসচিবের দায়িত্ব পান অনামিকা। দুই কার্যালয়ের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছিল তাঁকে। গত মঙ্গলবার সকালে জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত ছেলেকে বাসায় রেখে কার্যালয়ে আসেন অনামিকা। বিকেলে বাসায় ফিরে আবার সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামের সম্মেলনকক্ষে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পূর্বনির্ধারিত একটি বৈঠকে যোগ দেন। জেলা প্রশাসক ও ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক মো.
ঘটনার পরপরই মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয় অনামিকাকে। চিকিৎসকেরা প্রথমে ধারণা করেছিলেন তিনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন। সেই অনুযায়ী তাৎক্ষণিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় জ্ঞান ফিরে আসে অনামিকার। চিকিৎসকেরা তাঁকে রাতে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দিলেও ছেলের অসুস্থতার কথা ভেবে রাতেই তিনি বাসায় চলে যান।
মাগুরা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা অনামিকা দাসউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত আয় ষ ম ন অন ম ক
এছাড়াও পড়ুন:
নাহিদের স্লোগান, যমুনার সামনে জড়ো হচ্ছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মীরা
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া