মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর আরোপিত জটিল নিষেধাজ্ঞার কাঠামো ভেঙে দেওয়ার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। সোমবার জারি করা আদেশে ‘সিরিয়ার উন্নয়ন, সরকারের কার্যক্রম এবং দেশের সামাজিক বন্ধন পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ’ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে। এ কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। 

আলজাজিরা জানায়, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের ছয় মাসেরও বেশি সময় পর এই পদক্ষেপ দেশটিতে বিনিয়োগের পথ খুলে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সিরিয়াকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ এবং নিজের ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিতে থাকবে। একটি ঐক্যবদ্ধ সিরিয়া, যা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে না এবং এর ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, যা অঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধিকে সহায়তা করবে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসাদ ও তাঁর সহযোগী, আইএস, ইরান এবং তার মিত্রদের ওপর আরোপিত সিরিয়া সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞাগুলো বহাল থাকবে।

রয়টার্স জানায়, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের পর ইসরায়েল এখন দীর্ঘদিনের শত্রু সিরিয়া ও লেবাননের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী। ইসরায়েলের নেতারা বলেছেন, ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতে দেশটির অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। এখন মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুই কারণে জুনে দেশের পণ্য রপ্তানি কমেছে সাড়ে ৭%

সদ্য বিদায়ী ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের প্রত্যেক মাসেই পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। তবে গত জুনে রপ্তানি কমেছে সাড়ে ৭ শতাংশ। এ কারণে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধি এক অঙ্কের ঘরে আটকে গেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আজ বুধবার পণ্য রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ডলার।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, গত জুনে রপ্তানি হয়েছে ৩৩৪ কোটি ডলারের পণ্য। এই রপ্তানি গত বছরের জুনের তুলনায় সাড়ে ৭ শতাংশ কম। গত বছরের জুনে রপ্তানি হয়েছিল ৩৬১ কোটি ডলারের পণ্য।

রপ্তানিকারকেরা বলছেন, গত জুনের প্রথম সপ্তাহে পবিত্র ঈদুল আজহায় দীর্ঘ ছুটির কারণে পণ্য রপ্তানি হয়নি। আবার মাসের শেষ দিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা–কর্মচারীদের কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে ২৬ ও ২৭ জুন আমদানি–রপ্তানি বন্ধ ছিল। মূলত এই দুই কারণে জুনে পণ্য রপ্তানি কমেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ