এমন না যে আগে অধিনায়কত্ব করেননি তিনি। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলাফল পক্ষে আসেনি। তাতে তার উপর দায় পড়েনি। তবে সামনে পড়বে। কেননা তাকে পাকাপাকিভাবেই দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব।
মেহেদী হাসান মিরাজ যুগ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে প্রেমাদাসায় অধিনায়ক মিরাজের অভিষেক হতে যাচ্ছে। নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে মিরাজকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল এন্ড কোং। যা নিয়ে দেশের ক্রিকেটে ঝড় বয়েছে। ‘অপমানে’ টেস্ট অধিনায়কত্বও ছেড়েছেন শান্ত। বিসিবির উপর তার রাগ, ক্ষোভ, জেদ যেটাই থাকুক না কেন…মিরাজকে নিয়ে বেশ উদার তিনি।
‘‘আমরা অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে একসাথে। অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে মিরাজ কিন্তু আমার অধিনায়ক। আমি এখনো, এটা বিশ্বাস করি ও-ই আমার অধিনায়ক। এটা ও জানে। ওর কাছে কখনোই মনে হয়নি যে আমি অধিনায়ক। আবার এখন আমি অধিনায়ক, ও নিজেও হয়তো মনে করে না যে আমি অধিনায়ক।
থাকে না… একটু জেলাসি তো থাকেই। কিন্তু ওই জিনিসটা আমাদের মধ্যে একদমই নেই। আমাদের এতোটাই ভালো বোঝাপড়া ওই সময় থেকে। এখনও আমরা একসঙ্গেই খেলছি।’’ – বিসিবির পডকাস্টে বলেছিলেন শান্ত।
শান্তর অনুপস্থিতিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিরাজ। কিন্তু চারটিতেই তার অধীনে দল হেরেছে। সামনে বাংলাদেশ কেমন করে সেটা দেখার। তবে তার উপর বিসিবির অগাধ বিশ্বাস।
‘‘ব্যাট ও বল হাতে মিরাজের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, তার লড়াই ও দলকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা, মাঠ ও মাঠের বাইরে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর উপস্থিতি— তাকে এই পালাবদলের সময়ে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত মনে করেছে বোর্ড। আমাদের বিশ্বাস, তার ওই টেম্পারামেন্ট ও ম্যাচিউরিটি আছে বাংলাদেশকে এই সংস্করণে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।’’ – বলেছিলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন।
১০৫টি ওয়ানডেতে ১৬১৭ রান এবং ১১০টি উইকেট নিয়ে মিরাজ বর্তমানে আইসিসি ওডিআই র্যাংকিংয়ে অলরাউন্ডারদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন, যা যেকোনো বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওয়ানডেতে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেটের যে এলিট ক্লাব, তাতে মোহাম্মদ রফিক, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আছেন তিনি।
মিরাজের থেকে প্রত্যাশা আকাশচুম্বি। একই সঙ্গে তাকে পরীক্ষাও দিতে হবে বেশি। ওয়ানডে ক্রিকেটে পালাবদলের সময় চলছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘বিগ ফাইভ’ তারা কেউই এখন নেই। স্কোয়াডে যারা আছেন তারা অভিজ্ঞ। কিন্তু পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতায় বড্ড অভাব। সতীর্থদের থেকে সেরা ক্রিকেট বের করে আনা, নিজে পারফর্ম করা, মাঠ পরিচালনা করা…সব মিলিয়ে একজন নেতা হয়ে উঠার কাজটা করতে হবে মিরাজকে।
মিরাজ কাজটা বেশ ভালোভাবেই পারবেন বলে বিশ্বাস করেন তার বয়সভিত্তিক দলের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। একই সঙ্গে মিরাজের অধিনায়কত্বের দর্শন নিয়েও কথা বলেছেন তিনি, ‘‘আমার মনে হয় মিরাজ আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্বই করবেন। প্রতিপক্ষকে তাদের শক্তির জায়গাতে আক্রমণ করে সেরা সাফল্য পাওয়ার তৃপ্তি থাকে। বয়সভিত্তিক দল থেকেই দেখেছি তার মধ্যে লড়াইয়ের তীব্র আকাঙ্খা। সময়ের সঙ্গে যেটা আরও বেড়েছে।’’
‘‘ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ভালো দল। হয়তো সাম্প্রতিক সময়ে ফলাফল নিজেদের পক্ষে আসেনি। আমি মনে করি মিরাজের হাত ধরে নতুন একটি শুরু হতে যাচ্ছে। শুভ কামনা তো থাকবেই। মিরাজ নিজের নেতৃত্বগুন, পারফরম্যান্স এবং বাকি সবার একাগ্রতায় দলটা আবার ছন্দে ফিরে আসবে। অধিনায়ক হিসেবে মিরাজ ভালো করবে বলেই বিশ্বাস করি। নেতৃত্বগুনে সে অনন্য। দলটাকে গুছিয়ে রাখতে পারে। এগুলো প্লাস পয়েন্ট। আশা করছি দলটাও ভালো করবে। মিরাজও এগিয়ে যাবে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যালবামের গল্প বলবে ‘পেনোয়া’
নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করেছে কক্সবাজারের তরুণদের গানের দল ‘পেনোয়া’। ১৩টি গান নিয়ে প্রকাশ করেছে নিজেদের প্রথম অ্যালবাম ‘এ রুহের তলে’। এ অ্যালবামটি শোনা যাচ্ছে ইউটিউব, স্পটিফাই প্রভৃতি আন্তর্জাতিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। অ্যালবামের গানগুলো সরাসরি শোনাতে কনসার্টের উদ্যোগ নিয়েছে তারা। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও ঢাকায় হবে তিনটি কনসার্ট। যেখানে গানের সঙ্গে থাকবে থিয়েট্রিক্যাল পারফরম্যান্স, ব্যান্ডের সদস্যরা শোনাবে গানের গল্প।
আরও পড়ুনকক্সবাজারের ব্যান্ডটির গান কেন শুনছেন তরুণেরা০৭ ডিসেম্বর ২০২৪২০ নভেম্বর চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ‘অ্যালবাম কমপ্লিশন কনসার্ট’ শিরোনামের প্রথম আয়োজনটি হবে। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। যেখানে থিয়েট্রিক্যাল পারফরম্যান্সের মাধ্যমে অ্যালবামের পেছনের অনেক গল্প জানতে পারবেন শ্রোতারা। দ্বিতীয় আয়োজনটি হবে ২৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারে, আর শেষ কনসার্টটি হবে জানুয়ারির মাঝামাঝি, সম্ভাব্য ভেন্যু ঢাকার রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার।
আয়োজনের পোস্টার