Risingbd:
2025-07-02@12:35:35 GMT

কেমন অধিনায়ক হবেন মিরাজ?

Published: 2nd, July 2025 GMT

কেমন অধিনায়ক হবেন মিরাজ?

এমন না যে আগে অধিনায়কত্ব করেননি তিনি। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলাফল পক্ষে আসেনি। তাতে তার উপর দায় পড়েনি। তবে সামনে পড়বে। কেননা তাকে পাকাপাকিভাবেই দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব।

মেহেদী হাসান মিরাজ যুগ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে প্রেমাদাসায় অধিনায়ক মিরাজের অভিষেক হতে যাচ্ছে। নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে মিরাজকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল এন্ড কোং। যা নিয়ে দেশের ক্রিকেটে ঝড় বয়েছে। ‘অপমানে’ টেস্ট অধিনায়কত্বও ছেড়েছেন শান্ত। বিসিবির উপর তার রাগ, ক্ষোভ, জেদ যেটাই থাকুক না কেন…মিরাজকে নিয়ে বেশ উদার তিনি।

‘‘আমরা অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে একসাথে। অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে মিরাজ কিন্তু আমার অধিনায়ক। আমি এখনো, এটা বিশ্বাস করি ও-ই আমার অধিনায়ক। এটা ও জানে। ওর কাছে কখনোই মনে হয়নি যে আমি অধিনায়ক। আবার এখন আমি অধিনায়ক, ও নিজেও হয়তো মনে করে না যে আমি অধিনায়ক।

থাকে না… একটু জেলাসি তো থাকেই। কিন্তু ওই জিনিসটা আমাদের মধ্যে একদমই নেই। আমাদের এতোটাই ভালো বোঝাপড়া ওই সময় থেকে। এখনও আমরা একসঙ্গেই খেলছি।’’ – বিসিবির পডকাস্টে বলেছিলেন শান্ত।

শান্তর অনুপস্থিতিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিরাজ। কিন্তু চারটিতেই তার অধীনে দল হেরেছে। সামনে বাংলাদেশ কেমন করে সেটা দেখার। তবে তার উপর বিসিবির অগাধ বিশ্বাস।

‘‘ব্যাট ও বল হাতে মিরাজের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, তার লড়াই ও দলকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা, মাঠ ও মাঠের বাইরে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর উপস্থিতি— তাকে এই পালাবদলের সময়ে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত মনে করেছে বোর্ড। আমাদের বিশ্বাস, তার ওই টেম্পারামেন্ট ও ম্যাচিউরিটি আছে বাংলাদেশকে এই সংস্করণে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।’’ – বলেছিলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন।

১০৫টি ওয়ানডেতে ১৬১৭ রান এবং ১১০টি উইকেট নিয়ে মিরাজ বর্তমানে আইসিসি ওডিআই র‍্যাংকিংয়ে অলরাউন্ডারদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন, যা যেকোনো বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওয়ানডেতে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেটের যে এলিট ক্লাব, তাতে মোহাম্মদ রফিক, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আছেন তিনি।

মিরাজের থেকে প্রত্যাশা আকাশচুম্বি। একই সঙ্গে তাকে পরীক্ষাও দিতে হবে বেশি। ওয়ানডে ক্রিকেটে পালাবদলের সময় চলছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘বিগ ফাইভ’ তারা কেউই এখন নেই। স্কোয়াডে যারা আছেন তারা অভিজ্ঞ। কিন্তু পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতায় বড্ড অভাব। সতীর্থদের থেকে সেরা ক্রিকেট বের করে আনা, নিজে পারফর্ম করা, মাঠ পরিচালনা করা…সব মিলিয়ে একজন নেতা হয়ে উঠার কাজটা করতে হবে মিরাজকে।

মিরাজ কাজটা বেশ ভালোভাবেই পারবেন বলে বিশ্বাস করেন তার বয়সভিত্তিক দলের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। একই সঙ্গে মিরাজের অধিনায়কত্বের দর্শন নিয়েও কথা বলেছেন তিনি, ‘‘আমার মনে হয় মিরাজ আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্বই করবেন। প্রতিপক্ষকে তাদের শক্তির জায়গাতে আক্রমণ করে সেরা সাফল‌্য পাওয়ার তৃপ্তি থাকে। বয়সভিত্তিক দল থেকেই দেখেছি তার মধ‌্যে লড়াইয়ের তীব্র আকাঙ্খা। সময়ের সঙ্গে যেটা আরও বেড়েছে।’’

‘‘ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ভালো দল। হয়তো সাম্প্রতিক সময়ে ফলাফল নিজেদের পক্ষে আসেনি। আমি মনে করি মিরাজের হাত ধরে নতুন একটি শুরু হতে যাচ্ছে। শুভ কামনা তো থাকবেই। মিরাজ নিজের নেতৃত্বগুন, পারফরম‌্যান্স এবং বাকি সবার একাগ্রতায় দলটা আবার ছন্দে ফিরে আসবে। অধিনায়ক হিসেবে মিরাজ ভালো করবে বলেই বিশ্বাস করি। নেতৃত্বগুনে সে অনন‌্য। দলটাকে গুছিয়ে রাখতে পারে। এগুলো প্লাস পয়েন্ট। আশা করছি দলটাও ভালো করবে। মিরাজও এগিয়ে যাবে।’’

ঢাকা/ইয়াসিন  

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অনূর্ধ্ব-২৩ ক্যাম্পে প্রবাসীদের ডাকবে বাফুফে

প্রথমবারের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আয়োজিত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বিশেষ ট্রায়াল। তিনদিনব্যাপী এই ট্রায়াল শেষ হয়েছে গতকাল। আজ দুপুরে বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, এই ট্রায়ালের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের ভিত্তিতে আগামী অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্পে ডাকা হতে পারে কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলারকে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ট্রায়াল বিচারক প্যানেলের সদস্য সাইফুল বারী টিটু। তিনিই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তবে ট্রায়ালে কে কে টিকেছেন সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট নাম প্রকাশ করেননি তিনি। জানিয়েছেন, সবকিছু বিশ্লেষণের পর প্রয়োজন অনুযায়ী খেলোয়াড় বাছাই করা হবে।

টিটু বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি। যাদের বয়স ১৮-১৯, তাদের উন্নতির অনেক সুযোগ আছে। সামনে যখন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্প হবে, তখন আমরা এই ট্রায়ালের তথ্য ও ভিডিও দেখে সম্ভাবনাময় ফুটবলারদের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

তিনি আরও জানান, ট্রায়ালে আসা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করা হবে। বিশেষ করে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতির জন্য জুলাইয়ের শেষদিকে যেই ক্যাম্প শুরু হবে, সেখানেই দেখা যেতে পারে এই প্রবাসীদের কারও কারও মুখ।

টিটুর ভাষ্য, ‘কেবল বিদেশি হাইপ থাকলেই হবে না, দেশি প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে হবে। আমরা কোনো খেলোয়াড়কেই অবিচারে বাদ দিতে চাই না। যারা নিজেদের খরচে ট্রায়ালে এসেছে, তাদের পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

যদিও এখনই জাতীয় দলের জন্য উপযুক্ত কেউ আছেন কিনা সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি টিটু, তবে তিনি আশাবাদী অনূর্ধ্ব-২৩ দলে কিছু প্রবাসী ফুটবলার জায়গা করে নেবেন।

ট্রায়ালে গোল করে আলোচনায় প্রবাসী ফুটবলার বিতোশক চাকমা। তার খেলা প্রসঙ্গে টিটুর মূল্যায়ন, ‘বিতোশোকের টেকনিক, বল কন্ট্রোল এবং দৌড়ানোর দক্ষতা প্রশংসনীয়। তবে প্রকৃত মূল্যায়ন তখনই হবে যখন তারা ক্যাম্পে নিয়মিত ট্রেনিংয়ে অংশ নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুন যাত্রায় মিরাজের যত চ্যালেঞ্জ
  • অপেক্ষার অবসান, নাকি আরও বাড়বে?
  • অনূর্ধ্ব-২৩ ক্যাম্পে প্রবাসীদের ডাকবে বাফুফে