তারিক সিদ্দিক ও তাঁর স্ত্রীর বাগানবাড়ি, ফ্ল্যাট, জমিসহ বিপুল সম্পদের খোঁজ
Published: 2nd, July 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তাঁর স্ত্রী শাহিদ সিদ্দিকের বাগানবাড়ি, ফ্ল্যাট ও বিপুল জমির খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের এসব সম্পদ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে।
দুদকের কর্মকর্তারা বলছেন, অনুসন্ধান এখনো চলছে। আরও সম্পদ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। ব্যাংকে তারিক সিদ্দিক ও তাঁর স্ত্রীর টাকা আছে কি না, কত লেনদেন হয়েছে, সেই তথ্য পাওয়া এখনো বাকি।
দুদকের নথি অনুযায়ী, তারিক সিদ্দিকের নামে গাজীপুরে বাগানবাড়ি আছে দুটি। ঢাকার গুলশানে রয়েছে একটি সাততলা বাড়ি। ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিনটি প্লট রয়েছে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর।
বারিধারায় রয়েছে চারটি ফ্ল্যাট ও একটি ফ্ল্যাটের একাংশ। গাজীপুরে আরেকটি সাততলা বাড়ির চার ভাগের এক ভাগের মালিকানা তারেক সিদ্দিকের নামে। এর বাইরে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তারিক সিদ্দিক ও তাঁর স্ত্রীর নামে প্রায় ৪৮ বিঘা জমি রয়েছে।
বাগানবাড়ি, জমি ও ফ্ল্যাট মিলিয়ে তারিক সিদ্দিকের সম্পদের দলিলমূল্য দেখানো হয়েছে ৩৮ কোটি টাকার বেশি। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সেখানে যে দামে সম্পদের দলিল দেখানো হয়েছে, বাজারমূল্য তার কয়েক গুণ।
শেখ হাসিনার শাসনামলে খুবই প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন তারেক সিদ্দিক। তিনি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার দেবর।আরও পড়ুনতারিক সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক ও সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু১৫ জানুয়ারি ২০২৫দুদক জানিয়েছে, তারা ২৪ বিঘা জমি এবং ৪টি ফ্ল্যাট ও ১টি ফ্ল্যাটের একাংশ আদালতের আদেশে জব্দ করেছে। বাকি সম্পদও জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদেশে তারিক সিদ্দিকের সম্পদ আছে কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনার পরিবারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক একটি আলাদা দল করেছে। সেই দলের সদস্যরা এই অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তারেক সিদ্দিক, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে প্রায় শতকোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর বিদেশে সম্পদ রয়েছে কি না, সেই তথ্য জানতে বিএফআইইউকে (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন তারিক সিদ্দিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ধারণা করা হয়, তাঁরা দেশ ছেড়েছেন। তারিক সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জুলাই হত্যাকাণ্ড ও শেখ হাসিনার আমলে গুমের ঘটনায় মামলা এবং দুর্নীতির একাধিক মামলা রয়েছে। মামলাগুলোতে তাঁদের নিয়োগ করা কোনো আইনজীবীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফলে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সম্পর্কে তারেক সিদ্দিক বা তাঁর স্ত্রীর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
শেখ হাসিনার শাসনামলে খুবই প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন তারেক সিদ্দিক। তিনি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার দেবর।
শেখ হাসিনার পরিবারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক একটি আলাদা দল করেছে। সেই দলের সদস্যরা এই অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।আরও পড়ুনদুর্নীতির অভিযোগ থাকায় মাল্টার নাগরিকত্ব চেয়েও পাননি তারিক সিদ্দিকের স্ত্রী-কন্যা১০ জানুয়ারি ২০২৫তারিক সিদ্দিক.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব গ নব ড়
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই বিপ্লব স্মরণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মাসব্যাপী কর্মসূচি
ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব স্মরণে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর।
গত বছরের এই সময়েই ইসলামী আন্দোলনের হাজারো কর্মী অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে যে সাহসিকতার নজির স্থাপন করেছিল, তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
এই বিপ্লবের আদর্শকে জনমানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আদর্শিক চেতনায় জাগ্রত করতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখা নিচের কর্মসূচিগুলো ঘোষণা করেছে:
? ঘোষিত কর্মসূচিসমূহ হলো- ১ জুলাই সব শাখায় বিশেষ দোয়া। ২-৪ জুলাই অসহায়, দুস্থ ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ ৮-১৫ জুলাই শহীদ ও আহত পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ। ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে আলোচনা ও দোয়া।
১৮ জুলাই-সকল শহিদদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই। ২৫-২৮ জুলাই ডকুমেন্টারি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৫ আগস্ট সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়।
সোমবার (৩০ জুন) বাদ মাগরিব সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “জুলাই বিপ্লব আমাদের সাহস, ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতীক। এই বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা দুর্নীতি, ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং অনৈতিক শাসনের বিরুদ্ধে একটি ইসলামী ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।”
তাঁরা আরও বলেন, “আমরা আহ্বান জানাই, শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড, থানা এবং ইউনিট পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যেন এই কর্মসূচিগুলো সফল করে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং সাধারণ জনগণের মাঝে ইসলামী বিপ্লবের বার্তা পৌঁছে দেন।”