মেক্সিকোতে মাদক চক্রের খুনোখুনি, সড়ক ও গাড়ি থেকে ২০ মরদেহ উদ্ধার
Published: 2nd, July 2025 GMT
মেক্সিকোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিনালোয়া রাজ্য থেকে অন্তত ২০টি মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মরদেহগুলোর কয়েকটির মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানিয়েছে। সিনালোয়া এলাকাজুড়ে প্রায়ই প্রতিদ্বন্দ্বী মাদক চক্রগুলো একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে থাকে।
গতকাল সোমবার সিনালোয়ার সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, রাজ্যের রাজধানী কুলিয়াকানের কাছাকাছি রাস্তার পাশ থেকে মাথাবিহীন চারটি মরদেহ উদ্ধার হয়। একটি পরিত্যক্ত গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হয় আরও ১৬টি মরদেহ। একই সঙ্গে একটি ব্যাগের ভেতরে মানুষের পাঁচটি মাথা পাওয়া গেছে।
পুলিশ বলছে, মরদেহগুলোর পাশে চিরকুট ফেলে রাখা হয়েছিল। কোনো একটি মাদক চক্রের পক্ষ থেকে এটি লেখা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সেই চিরকুটে কী লেখা ছিল, তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
স্থানীয় কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এটি সিনালোয়ার শক্তিশালী মাদক চক্রগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষেরই অংশ। এলাকাটিকে মেক্সিকোর অন্যতম সহিংস অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সিনালোয়া সরকারের মুখপাত্র ফেলিসিয়ানো কাস্ত্রো এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সহিংসতার যে মাত্রা দেখা যাচ্ছে, তা বিবেচনায় নিয়ে সংগঠিত অপরাধ দমনে সরকারের কৌশল পরীক্ষা করা জরুরি।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২৯ মাদক কারবারিকে তুলে দিল মেক্সিকো২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫কাস্ত্রো আরও বলেন, ‘সিনালোয়ায় পুরোপুরি শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সেনা ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে।’
তবে রাজ্যের সাধারণ মানুষ বলছে, প্রশাসন এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
সিনালোয়ায় কয়েক মাস ধরে সহিংসতা চলছে। মাদক উৎপাদন ও পাচারের পথগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে মাদক চক্রগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে মাঝেমধ্যে।
এই মাদক চক্রগুলোর এক পক্ষ সিনালোয়া কার্টেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা জোয়াকিন ‘এল চাপো’ গুজমানের অনুসারী। আর অন্য পক্ষ ইসমায়েল ‘এল মায়ো’ জামবাদার অনুসারী।
গত বছরের জুলাইয়ে জামবাদা গ্রেপ্তার হওয়ার পর সহিংসতা তীব্র মাত্রায় পৌঁছায়। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বিচারাধীন। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা অনুযায়ী, টেক্সাসের এল পাসোর কাছে একটি বিমানবন্দর থেকে ৭৬ বছর বয়সী জামবাদা এবং ৩৮ বছর বয়সী জোয়াকিন গুজমান লোপেজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লোপেজ হলেন ‘এল চাপো’ গুজমানের ছেলে।
জামবাদার অভিযোগ, গুজমান লোপেজ তাঁকে মেক্সিকো থেকে অপহরণের পর ব্যক্তিগত একটি বিমানের মাধ্যমে জোর করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়েছিলেন।
মাদক পাচারের দায়ে ২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন এল চাপো।
আর গুজমান লোপেজ গত জুলাইয়ে শিকাগোর ফেডারেল আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
আরও পড়ুনমেক্সিকোর দুই মাদকসম্রাট যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তারের প্রভাব কী হতে পারে২৯ জুলাই ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র জ মব দ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি হারালেন সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে লালমনিরহাটের সাবেক সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে (১৯২৮৬) চাকরি হতে বরখাস্ত করে গুরুদণ্ড দিয়েছে সরকার।
তার বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে বুধবার (২ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেসুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিস্তারিত আসছে
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ