রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সাম্প্রতিক সময়ে সংস্কার নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে কয়েকটি দল যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এর অংশ হিসেবে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে সংস্কার ইস্যুতে দলীয় অবস্থান তুলে ধরবেন তারা। 

গত সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
 
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যের খসড়া তৈরির জন্য দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

বৈঠকে সংস্কার ইস্যুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সর্বশেষ সংলাপ অবহিত করা হলে এ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা জানান, রাষ্ট্র সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি সব সময় সোচ্চার। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যখন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়, তখন থেকেই ঐকমত্য কমিশনকে তারা সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে আসছেন। তবে বিএনপি আরও দু’বছর আগে থেকেই সংস্কারের কথা বলছে। দলের পক্ষ থেকে ২০২২ সালে জাতির সামনে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। অথচ সংস্কার ইস্যুতে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিকে ঘিরে কয়েকটি রাজনৈতিক দল নানা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে জনগণের মধ্যে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে, ভুল বার্তা যাচ্ছে। বিএনপি মনে করে, এতে নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.

খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম রোবট ডিসপ্লে সেন্টারে দেখা মিলছে বিভিন্ন ধরনের রোবটের

বাজার বিশ্লেষকদের হিসাবে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী গৃহস্থালি রোবটের বাজারের আকার ছিল প্রায় ১ হাজার ১৯৭ কোটি মার্কিন ডলার। বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে ২০২৫ সালে এই বাজারের আকার ১ হাজার ৪৪৫ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও গৃহস্থালি রোবটের চাহিদা ভবিষ্যতে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টিকে মাথায় রেখে দেশে প্রথমবারের মতো বিশেষ রোবট ডিসপ্লে সেন্টার চালু করেছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ও ড্যাফোডিল কম্পিউটারস পিএলসি। রাজধানীর সোবহানবাগে ড্যাফোডিল প্লাজায় চালু করা সেন্টারটিতে গেলেই বিভিন্ন রোবটের দেখা মিলবে।

রোবটের ধরন

প্রযুক্তি এখন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। সেই ছাপ রোবট–দুনিয়াতে দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমা অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের শিল্পকারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সাধারণ আবাস-বাসাবাড়িতেও ধীরে ধীরে রোবটের উপস্থিতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের রোবট ব্যবহারের ক্ষেত্রগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। শিক্ষামূলক রোবোটিকস, গৃহস্থালি বা বাণিজ্যিক কাজের জন্য রোবট, আর শিল্পকারখানার বিভিন্ন কাজের উপযোগী বিভিন্ন রোবট। এ বিষয়ে ড্যাফোডিল কম্পিউটারস পিএলসির মহাব্যবস্থাপক জাফর আহমেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘দেশে রোবোটিকসের চর্চা এখন আর বিলাসিতা নয়। উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, খরচ কমানো আর মানুষের পরিশ্রম হ্রাসের কার্যকর মাধ্যম হতে পারে রোবটের কার্যকর ব্যবহার। উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবনে রোবটের উপস্থিতি বাড়াতে আমরা এই ডিসপ্লে সেন্টার তৈরি করেছি। এখানে বিভিন্ন কাজের ধরন অনুসারে বিভিন্ন রোবট রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নত রোবটপ্রযুক্তি আমরা এখানে প্রদর্শন করছি। এসব রোবট বিদেশে তৈরি হলেও এদের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের প্রকৌশলীরাই কাজ করছেন। আমরা ধীরে ধীরে দেশের রোবট বাজার বিকাশের জন্য সেন্টারটি তৈরি করেছি।’

রোবট ডিসপ্লে সেন্টারে রোবট

সম্পর্কিত নিবন্ধ