পটিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০
Published: 2nd, July 2025 GMT
জুলাই দিবস উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি শেষে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটকের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হয়েছে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে পটিয়া থানা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক গোলাম মওলা মাশরাফ জানান, রাতে মোমবাতি প্রজ্বলনের পর থানার মোড়ে গেলে সেখানে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর দে’কে দেখতে পান। এই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা দীপংকরকে আটক করতে পুলিশের প্রতি দাবি জানান।
এসময় পুলিশ স্লোগানরত নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আন্দোলনের সংগঠক আশরাফুল ইসলাম তৌকির (২১) ও সাইফুল ইসলামকে (১৭) পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ছাত্র আশরাফুল ইসলাম তৌকির বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। দীপংকর দে কে দেখতে পেয়ে পুলিশকে দেখাচ্ছিলাম মাত্র। হঠাৎ করেই পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়।”
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.
এ প্রসঙ্গে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর বলেন, “আন্দোলনকারীরা একজনকে থানায় নিয়ে আসেন, তারা বিক্ষিপ্তভাবে থানার ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশ বাধা দিলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।”
তবে লাঠিচার্জের ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঢাকা/রেজাউল/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাতির অভিযোগে গণপিটুনিতে নবী হোসেন (৩৫) নামে এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের দড়ি বিশনন্দী (কাঁঠালতলা) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নবী হোসেন আড়াইহাজারের উচিতৎপুরা এলাকার লোকমান ওরফে লইক্কা হোসেনের ছেলে।
এসময় ডাকাত দলের হামলায় গৃহবধূসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন- একই এলাকার কুলসুম, নাইম, আবুল ও ফারুক।
স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে ১৫-২০ জনের এক ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দড়ি বিশনন্দী এলাকার ইলিয়াসের বাড়িতে ডাকাতি করতে প্রবেশ করে। টের পেয়ে পরিবারের লোকজন চিৎকার করলে ডাকাতরা হামলা চালায়। এতে গৃহবধূ কুলসুম গুরুতর আহত হন এবং নাঈম, আবুল ও ফারুক নামের আরও তিনজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় বাকিরা পালিয়ে যায়।
আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুউদ্দিন বলেন, এ ঘটনার আগে ওই ডাকাতদল আরও দুটি বাড়িতে ডাকাতি করেছে বলে জানতে পেরেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।