৯ কোটি টাকা সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৩২ চলচ্চিত্র
Published: 2nd, July 2025 GMT
৩২টি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৯ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এই অনুদান দেওয়া হবে। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে ১২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০টি।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ৭৫ লাখ টাকা। আর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ২০ লাখ টাকা করে।
অনুদানের জন্য মনোনীত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান, মায়ের ডাক, জুলাই, রূহের কাফেলা, পরোটার স্বাদ, খোঁয়ারি, জীবন অপেরা, জলযুদ্ধ, কবির মুখ দ্য টাইম কিপার, কফিনের ডানা, নওয়াব ফুজুন্নেসা ও জুঁই।
অনুদানের জন্য মনোনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—মন্দ-ভালো, ফেলানী, ঝুঁকির মাত্রা, জীবনের গান, হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই, ভরা বাদর, ১২৩০, বৃন্দারাণীর আঙুল, একটি সিনেমার জন্য, দাফন, সাঁতার, মাংস কম, গগন, অতিথি, বোবা, অদ্বৈত, আশার আলো, গর্জনপুরের বাঘা, হোয়ার দ্য ওয়াটার স্লিপস এবং অপসময়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ঘ য চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনাক্ষী আর চুপ থাকতে পারলেন না
এরই মধ্যে জহির ইকবালের সঙ্গে সোনাক্ষী সিনহার বিয়ের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। তারপরও কিছু মানুষ তাদের সম্পর্ক সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি। ভিন্ন ধর্মে বিয়ের কারণে এখনও তীর্যক মন্তব্য শুনতে হচ্ছে সোনাক্ষীকে। নেটিজেনদের অনেকে সামাজিকমাধ্যমে বলিউড অভিনেত্রীর এই বিয়ে নিয়ে প্রতিনিয়ত নানারকম মন্তব্য করে চলেছেন। এতদিন বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ধরে রেখেছিল অভিনেত্রী। কিন্তু এবার আর পারলেন না, রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়লেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ও আজকাল জানিয়েছে, মুসলিম ধর্মাবলম্বী অভিনেতা জহির ইকবালকে বিয়ের পর থেকেই সোনাক্ষী নেটিজেনদের তীর্যক মন্তব্যের শিকার হয়ে আসছেন। এমনকি পরিবারেও নাকি ভিন্ন ধর্মের এই বিয়ে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি মেনে নিতে শুরু করেছেন। কিন্তু কিছু নিম্নরুচির মানুষ এ নিয়ে মন্তব্য করা ছাড়েনি। আর সেটি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এই বলিউড তারকা।
এ নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী বলেছেন, সে ‘এখনও আমাদের দিকে নিম্নরুচির কিছু মন্তব্য ধেয়ে আসে। সারা দুনিয়ার লোকজন আমাদের ভিন্ন ধর্মের বিয়ে নিয়ে নানা কথা বলেছে। তার মধ্যেও আমি ও জহির নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেছি। বাইরের লোকের কাছ থেকে আমাদের মান্যতার কোনো প্রয়োজন নেই।’
জহিরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সোনাক্ষী আরও বলেছেন, ‘আমরা জানি, আমাদের কাছে কী আছে। আমাদের মধ্যে যা রয়েছে, তার পুরোটাই খুব পবিত্র বলে আমরা মনে করি। আমাদের মধ্যে যা রয়েছে, সেটিকে আমরা রক্ষা করি যাবতীয় নেতিবাচকতা এড়িয়ে। আমরা আমাদের সম্পর্ককে উদযাপন করি, উপভোগ করি, খুব ভালোবাসি এবং তা গর্বের সঙ্গে দুনিয়ার কাছে প্রকাশ করি।’
জহিরের সঙ্গে সাত বছরের সম্পর্ক থাকার পরে বিয়ে করেন সোনাক্ষী। তাদের সম্পর্কের প্রতিটি মুহূর্তকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। বিয়ে নিয়ে সোনাক্ষী এও বলেছেন, ‘আমরা ঠিক আমাদের মতো করেই বিয়েটা করেছি। ঠিক যেমন চেয়েছিলাম, সেভাবেই বিয়েটা করেছিলাম। পরিকল্পনা ছাড়াই সেদিন যে মুহূর্তগুলো বন্দি করা হয়েছিল, সেগুলি আমাদের কাছে খুবই বিশেষ রকমের।’