সাংবাদিকতার মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রোহিত
Published: 8th, May 2025 GMT
ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ক্রিকেট নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিক ও ধারাভাষ্যকারদের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সাংবাদিকেরা মানুষকে বেশি বেশি পড়ানো ও দেখানোর জন্য এবং ধারাভাষ্যকাররা ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে খেলোয়াড়দের সমালোচনা করেন বলে অভিযোগ তাঁর।
বিমল কুমার নামের ভারতীয় এক সাংবাদিকের ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোহিত বলেছেন, ‘আপনারা বিতর্ক তৈরি করতে বেশি মনোযোগ দেন, খবরকে ফুলিয়ে–ফাঁপিয়ে তোলেন। সাংবাদিকতার মান অনেক নিচে নেমে গেছে। আগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত ক্রিকেট। এখন সবকিছুই ভিউ, লাইক আর আরও বেশি মানুষকে পড়ানোর লক্ষ্যে হয়।’
সংবাদমাধ্যমে এবং খেলার চ্যানেলে ক্রিকেটের মৌলিক বিষয় উপেক্ষিত দাবি করে রোহিত যোগ করেন, ‘খেলা নিয়ে খুব কমই লেখা বা কথা হয়। কৌশল, বিশ্লেষণ কিছুই নেই। যখন কোনো ম্যাচ হয়, আমরা টিভিতে দেখি। কিন্তু ধারাভাষ্যকাররা কীভাবে কথা বলে একবার শুনে দেখুন।’
ইউটিউবে রোহিতের সাক্ষাৎকারটি প্রচার হয়েছে আজ। এর আগে গতকাল রাতে ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে ভারত টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়েন এই ক্রিকেটার। গত বছর টি–টোয়েন্টি ফরম্যাট ছেড়ে দেওয়া রোহিত এখন থেকে শুধু ওয়ানডে খেলবেন।
২০০৭ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে আসা এই ব্যাটসম্যানের মতে, ভারতের ধারাভাষ্য অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, ‘এখানে ধারাভাষ্যে যেভাবে কথা বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন। এটা হতাশাজনক। সত্যি বলতে কি, আমার কাছে মনে হয় (ভারতের ধারাভাষ্যকাররা) একজন খেলোয়াড়কে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে কথা বলে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
ফর্মের কারণে সমালোচনা খেলোয়াড়দের প্রাপ্য হলেও বর্তমানে ব্যক্তিগত নানা বিষয়ও টেনে আনা হয় বলে অভিযোগ ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ী অধিনায়কের, ‘এখনকার ক্রিকেটে আমরা অনেক মসলা ঢুকিয়ে ফেলেছি। অনেকেই আছে যারা খেলাটা ভালোভাবে জানতে চায়। বুঝতে চায় একজন খেলোয়াড়ের ফর্ম কেন খারাপ হয়। তারা ব্যক্তিগত ঘটনা জানতে চায় না। আপনার বলার অধিকার আছে মানে যা ইচ্ছা বলতে পারেন না। খেলোয়াড়দের সম্মান করুন।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে