নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরীকে সম্মানসূচক প্রফেসরশিপ প্রদান করেছে চীনের নানজিং অডিট ইউনিভার্সিটি (এনএইউ)। নানজিং অডিট ইউনিভার্সিটিতে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের সিম্পোজিয়ামে এনএসইউ অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরীকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। একই অনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও নানজিং অডিট ইউনিভার্সিটির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়। এর মাধ্যমে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, গবেষণা ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পথ উন্মুক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনচীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, মিলবে বই কেনারও অর্থ, আইইএলটিসে ৭ হলে আবেদন০৭ মে ২০২৫

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী বলেন, এ আয়োজন এনএসইউকে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে দিল, যা শিক্ষা, গবেষণা ও সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মিশনের প্রতিফলন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী ‘সোশ্যাল বিজনেস অ্যান্ড থ্রি জিরোস’ শিরোনামে একটি কি–নোট বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যেখানে টেকসই ব্যবসায়িক মডেলের মাধ্যমে দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নির্গমন সমস্যার সমাধানের দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন তিনি। এ সময় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি)–এর পরিচালক অধ্যাপক এস কে তৌফিক এম হক উপস্থিত ছিলেন।

পরে দিনব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চীনের জিয়াংসু ব্যাংকে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী। যেখানে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নে গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা, ক্ষুদ্রঋণ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল ও কমিউনিটিভিত্তিক আর্থিক মডেল নিয়ে আলোকপাত করেন। বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুনকম খরচ এবং সহজে ভিসার কারণে উচ্চশিক্ষায় বেছে নিতে পারেন এই ৫ দেশ৮ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট র

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিক ভাইদের জীবনের নিরাপত্তা কে দিবে, প্রশ্ন তমা মির্জার

গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আসাদুজ্জামান তুহিন নামে এক সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর সমালোচনার ঢেউ বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেক্কারজনক এ ঘটনা নিয়ে জোরোলো প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা। 

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তমা মির্জা একটি খবরের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। তার ক্যাপশনে লেখেন, “উনার দোষটা কী ছিল একটু জানাবেন? কেন এত নির্মমভাবে একজন সাংবাদিককে খুন করা হলো?”  

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তমা মির্জা বলেন, “আবার এটা নিয়ে কারো কিছু বলারও নেই, চুপ করে দেখছে, শুনছে, কেউ কিছু বলছে না, কারো কিছু করারও নেই, আমাদের সাংবাদিক ভাইদের জীবনের নিরাপত্তা তাহলে কে দিবে?” 

আরো পড়ুন:

কমল হাসানের পায়ের ধুলোরও যোগ্য নন শাহরুখ: লিলিপুট

ছবি ও ভিডিও বিকৃতি নিয়ে সোচ্চার মেহজাবীন

তমা মির্জার এ পোস্টে দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন নেটিজেনরা। ফরহাদ নামে একজন লেখেন, “এদেশে আবার কিসের নিরাপত্তা এদেশ বিক্রি হয়ে গেছে।” রবিউল নামে একজন লেখেন, “কারণ এটা বাংলাদেশ।” শিবলি নামে একজন লেখেন, “বাংলাদেশে জন্ম নেওয়ার থেকে বড় দোষ আর কি করা লাগবে। তার উপর আবার সে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করার চেষ্টা করেছে।” 

গোলাম রাব্বি লেখেন, “এটাই আমার সোনার বাংলাদেশ।” সুজন তালুকদার লেখেন, “উনার দোষটা ছিল গণমাধ্যম এখন স্বাধীন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ