সংস্কার, নির্বাচন, নারী কমিশনের প্রস্তাব ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোটের মধ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। ইসলামী ঐক্যজোটের পক্ষে নেতৃত্ব দেন তাদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল কাদির।

এ সময় দুই দলের নেতারা জাতীয় নির্বাচনে সম্মিলিতভাবে আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন। এ ছাড়া আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত একটি ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানোর বিষয়ে একমত হন তাঁরা, যাতে ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে।

প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন; গণহত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থার বিষয়েও উভয় পক্ষ একমত পোষণ করে।

সভায় দুই দলের সম্মতিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাতিল এবং জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করার দাবির বিষয়েও মতৈক্য হয়।

এ সময় ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের প্রমুখ। ইসলামী ঐক্যজোটের পক্ষে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জোনায়ের আহমাদ, মহাসচিব সাখাওয়াত হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব ফজলুর রহমান, আবদুল কাইয়ুম, শামসুল আলম, জুনায়েদ গুলজার, লিয়াকত আলী, মাসরূর আহমাদ প্রমুখ।

আরও পড়ুনএকক প্রার্থী দিয়ে ভোটে লড়তে চায় ৫ ইসলামপন্থী দল, জামায়াতের সিদ্ধান্ত পরে২৪ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিক ভাইদের জীবনের নিরাপত্তা কে দিবে, প্রশ্ন তমা মির্জার

গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আসাদুজ্জামান তুহিন নামে এক সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর সমালোচনার ঢেউ বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেক্কারজনক এ ঘটনা নিয়ে জোরোলো প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা। 

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তমা মির্জা একটি খবরের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। তার ক্যাপশনে লেখেন, “উনার দোষটা কী ছিল একটু জানাবেন? কেন এত নির্মমভাবে একজন সাংবাদিককে খুন করা হলো?”  

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তমা মির্জা বলেন, “আবার এটা নিয়ে কারো কিছু বলারও নেই, চুপ করে দেখছে, শুনছে, কেউ কিছু বলছে না, কারো কিছু করারও নেই, আমাদের সাংবাদিক ভাইদের জীবনের নিরাপত্তা তাহলে কে দিবে?” 

আরো পড়ুন:

কমল হাসানের পায়ের ধুলোরও যোগ্য নন শাহরুখ: লিলিপুট

ছবি ও ভিডিও বিকৃতি নিয়ে সোচ্চার মেহজাবীন

তমা মির্জার এ পোস্টে দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন নেটিজেনরা। ফরহাদ নামে একজন লেখেন, “এদেশে আবার কিসের নিরাপত্তা এদেশ বিক্রি হয়ে গেছে।” রবিউল নামে একজন লেখেন, “কারণ এটা বাংলাদেশ।” শিবলি নামে একজন লেখেন, “বাংলাদেশে জন্ম নেওয়ার থেকে বড় দোষ আর কি করা লাগবে। তার উপর আবার সে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করার চেষ্টা করেছে।” 

গোলাম রাব্বি লেখেন, “এটাই আমার সোনার বাংলাদেশ।” সুজন তালুকদার লেখেন, “উনার দোষটা ছিল গণমাধ্যম এখন স্বাধীন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ