ইউরিন ইনফেকশন হলে মূত্রনালি ও মূত্রথলিতে খুব দ্রুত রোগ–জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গরমের কারণে জননতন্ত্রের চারপাশে ঘাম জমে ইউরিন ইনফেকশন হতে পারে। আবার তাড়াহুড়ো করে প্রস্রাব করলে অর্থাৎ প্রস্রাব ইনকমপ্লিট থাকলেও ইউরিন ইনফেকশন হতে পারে।
চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘সময় নিয়ে ভালোভাবে প্রস্রাব করা উচিত। তা নাহলে প্রস্রাবে ইনফেকশন হতে পারে।’’ ইউরিন ইনফেকশন সিভিয়ার বা মডারেট পর্যায়ের হতে পারে। সবার প্রথমে বোঝা দরকার ইউরিন ইনফেকশন হয়েছে কিনা, যদি ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে কোন পর্যায়ে আছে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
ফারজানা আক্তার ইভা, ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান, বেটার লাইফ হসপিটাল বলেন, ‘‘যখন আপনি দেখবেন যে, আপনার ইউরিনেশনে বার্নিং হচ্ছে অথবা জ্বালাপোড়া হচ্ছে, ফ্রিকোয়েন্ট ইউরিনেশন হচ্ছে, ইনকমপ্লিট ইউরিনেশন হচ্ছে তখন সতর্ক হোন। আপনার যদি মনে হয় যে প্রস্রাব করলাম কিন্তু প্রস্রাব ক্লিয়ার হয়নি এবং আপনি যদি তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে সতর্ক হোন। ইউরিন ইনফেকশন থেকে জ্বর ও বমি হতে পারে। এসব সমস্যা দেখা দিলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করতে পারেন যে আপনি ইউরিন ইনফেকশনে ভুগছেন। আপনি যদি খুবই কম পরিমাণে পানি পান করে থাকেন, আপনার প্রস্রাবে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তাদের ঝুঁকি বেশি। সাধারণ দেখা যায় মেয়েদের ইউরিনারি ট্রাকটা পুরুষের তুলনায় ছোট থাকে। এবং এটা মলদ্বারের খুব কাছে থাকে। এর ফলে নারীদের ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি বেড়ে যায়। ’’
আরো পড়ুন:
অ্যালার্জি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
ক্ষত থেকে যাদের শরীরে ‘ইনফেকশন’ হওয়ার ঝুঁকি বেশি
পুরুষদের ক্ষেত্রে বলবো যে, যখন তাদের বয়স বেড়ে যায় তখন তাদের প্রোস্টেটটা বড় হয়ে যায়। এর ফলে অনেক সময় তাদের ইউরিন ইনফেকশনে ভুগতে দেখা যায়। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের রোগী এবং যারা মেনোপজে আছেন তাদেরও ঝুঁকি বেশি। প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডেও ইউরিনারি সমস্যা দেখা যায়।
প্রতিরোধে করণীয়
১.
২. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন— টমেটো, গাজর, পেঁপে।
৩. টক জাতীয় ফল কম খেতে হবে। কারণ এই সব টক জাতীয় ফল আপনার ইনফেকশনকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪. সেক্সুয়াল ইন্টেমেসির আগে এবং পরে প্রস্রাব করবেন।
৫. ব্যক্তিগতভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
শিশুদের ক্ষেত্রে ইউরিন ইনফেকশন দেখা দেয় তখনই যখন তার কিডনি ডেভেলপমেন্টে কোনো সমস্যা দেখা দেয়। শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন হলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।
সতর্কতা: ইউরিন ইনফেকশনের রোগী, চা, কফি, রেড মিট খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস র ব ক দ র ইউর ন সমস য আপন র সতর ক
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতা শহিদুলকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ
সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আশাশুনি বাসস্ট্যান্ড মোড়ে আশাশুনি-বড়দল সড়কে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে আশাশুনি উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এ সময় আশাশুনি বাজার এলাকায় এ ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়ন পান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের নেতা শহিদুল আলম।
এর আগে সোমবার মনোনয়ন ঘোষণার দিন, গত মঙ্গল ও বুধবার কালীগঞ্জ ও আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, আধা বেলা হরতাল ও কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি পালন করেন শহিদুল আলমের অনুসারীরা।
আজকের সমাবেশে আশাশুনি সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরদার রুহুল আমিন, বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম, এস এম আখতারুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, রাফসান আহমেদ, ইলিয়াস আলী, করিমুজ্জামান, জাকির হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, হাফিজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের মতামত না নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ আসনে কাজী আলাউদ্দীনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যিনি অতীতে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত ১৭ বছরে তিনি এক দিনের জন্যও আশাশুনিতে আসেননি। কখনো স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়াননি। এলাকার মানুষের খোঁজও নেননি। আশাশুনির মানুষ তাঁকে চেনেন না। তাঁরা বলেন, শহিদুল আলম শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি এলাকার গরিব মানুষের নির্ভরতা। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় রোগীদের বিনা খরচে চিকিৎসা দিয়ে তিনি সবার প্রিয় হয়ে উঠেছেন। আশাশুনির মানুষ তাঁকেই চান প্রতিনিধি হিসেবে।
সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে এক দফা আলটিমেটাম দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল করে শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দিতে হবে। অন্যথায় আশাশুনি থেকে ঢাকার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করা হবে। সমাবেশে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে বলে জানানো হয়।
বিক্ষোভের সময় নেতা-কর্মীদের হাতে ‘গরিবের ডাক্তারকে চাই’, ‘হটাও কাজী, বাঁচাও ধানের শীষ’, ‘আশাশুনির মাটি, শহিদুল আলমের খাঁটি’ ইত্যাদি ফেস্টুন দেখা যায়।