পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শনিবার ভোরে ভারতের পাঞ্জাবের আদমপুরে হামলা চালিয়ে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ধ্বংস করার দাবি করেছে। তবে পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখান করেছে ভারত। খবর বিবিসির।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি উভয়েই অস্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সামরিক অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি হয়েছে।

শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, “পাকিস্তান একটি অব্যাহত বিদ্বেষপূর্ণ ভুল তথ্য প্রচারণা চালানোর চেষ্টাও করেছে, যার মধ্যে আদমপুরে ভারতীয় এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস, সুরাট ও সিরসায় বিমানঘাঁটি ধ্বংস, নাগরোটায় ব্রহ্মোস স্পেস, ডেরাঙ্গিয়ারিতে আর্টিলারি অস্ত্র ঘাঁটি এবং চণ্ডীগড়ের গোলাবারুদ ডিপোতে ব্যাপক ক্ষতির দাবি রয়েছে।”

আরো পড়ুন:

পারমাণবিক অস্ত্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন শাহবাজ

ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

তিনি বলেন, “পাকিস্তানের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই মিথ্যা দাবিগুলো ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করে।”

ব্যোমিকা সিং জানান, শনিবার ভোরে পাকিস্তান ভারতের পশ্চিম সীমান্তের আশেপাশে ড্রোন ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। বেসামরিক এলাকা এবং সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে ড্রোন ও দূরপাল্লার অস্ত্রসহ প্রচুর অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

তিনি আরো জানান, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ড্রোন ও ভারী-ক্যালিবার অস্ত্রের গুলিবর্ষণ করে বিমান ঘাঁটিগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। 

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, “আমি আগেও অনেকবার বলেছি, পাকিস্তানের পদক্ষেপই উস্কানি এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। আজ সকালে, আমরা এই উত্তেজনাকর এবং উস্কানিমূলক ধরনের পুনরাবৃত্তি দেখতে পেয়েছি।”

তিনি বলেন, ‘প্রতিক্রিয়ায়, ভারত পাকিস্তানি পক্ষের এই উস্কানি এবং উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রতি দায়িত্বশীল ও পরিমাপিতভাবে প্রতিরক্ষা করেছে এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই: বাম গণতান্ত্রিক জোট

চট্টগ্রামের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে না আসায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারা বলেছে, জনগণের মতামত ছাড়া বন্দর পরিচালনার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নির্বাচিত বা অনির্বাচিত কোনো সরকারই নেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। সরকার এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে দেশের সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সারা দেশে আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে।

আজ সোমবার বিকেলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। জোটের অস্থায়ী কার্যালয় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ২৭ ও ২৮ জুন দেশপ্রেমিক জনগণের ব্যানারে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চে চট্টগ্রামের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশবাসী অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছে। দেশের সচেতন মানুষ সরকারের যেকোনো গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এখনো পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। আমরা আশা করেছিলাম, জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সরকার বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বন্দর ইজারা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা থেকে সরে আসবে। কিন্তু সরকার জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বন্দর বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। যা নৌপরিবহন উপদেষ্টার বক্তব্যে ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে।’

দেশের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই। দেশের স্বার্থবিরোধী এ ধরনের সরকারের সিদ্ধান্ত জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের সময় ঘোষিত হয়েছে। জনগণের মতামত ছাড়া বন্দর পরিচালনার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নির্বাচিত বা অনির্বাচিত কোনো সরকারই নেওয়ার এখতিয়ার রাখে না।’

জাতীয় স্বার্থবিরোধী সব চুক্তি বাতিলের আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ এবং জাতীয় স্বার্থবিরোধী সব চুক্তি বাতিল করার দাবি জানানো যাচ্ছে। একই সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতজানু সরকার ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণ–আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সব বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।’

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শামীম ইমাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ বক্তব্য দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ