সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রত্যাখান করল ভারত
Published: 10th, May 2025 GMT
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শনিবার ভোরে ভারতের পাঞ্জাবের আদমপুরে হামলা চালিয়ে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ধ্বংস করার দাবি করেছে। তবে পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখান করেছে ভারত। খবর বিবিসির।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি উভয়েই অস্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সামরিক অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, “পাকিস্তান একটি অব্যাহত বিদ্বেষপূর্ণ ভুল তথ্য প্রচারণা চালানোর চেষ্টাও করেছে, যার মধ্যে আদমপুরে ভারতীয় এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস, সুরাট ও সিরসায় বিমানঘাঁটি ধ্বংস, নাগরোটায় ব্রহ্মোস স্পেস, ডেরাঙ্গিয়ারিতে আর্টিলারি অস্ত্র ঘাঁটি এবং চণ্ডীগড়ের গোলাবারুদ ডিপোতে ব্যাপক ক্ষতির দাবি রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
পারমাণবিক অস্ত্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন শাহবাজ
ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের
তিনি বলেন, “পাকিস্তানের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই মিথ্যা দাবিগুলো ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করে।”
ব্যোমিকা সিং জানান, শনিবার ভোরে পাকিস্তান ভারতের পশ্চিম সীমান্তের আশেপাশে ড্রোন ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। বেসামরিক এলাকা এবং সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে ড্রোন ও দূরপাল্লার অস্ত্রসহ প্রচুর অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
তিনি আরো জানান, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ড্রোন ও ভারী-ক্যালিবার অস্ত্রের গুলিবর্ষণ করে বিমান ঘাঁটিগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, “আমি আগেও অনেকবার বলেছি, পাকিস্তানের পদক্ষেপই উস্কানি এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। আজ সকালে, আমরা এই উত্তেজনাকর এবং উস্কানিমূলক ধরনের পুনরাবৃত্তি দেখতে পেয়েছি।”
তিনি বলেন, ‘প্রতিক্রিয়ায়, ভারত পাকিস্তানি পক্ষের এই উস্কানি এবং উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রতি দায়িত্বশীল ও পরিমাপিতভাবে প্রতিরক্ষা করেছে এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রামে হঠাৎ বেগুনি আর লাল-হলুদের রাঙা ঝলক
এখন গ্রামে গ্রামে সবুজ তার মুক্ত বিস্তীর্ণ আঁচলের ভাঁজ খুলে দিয়েছে। যেদিকেই চোখ যায়, গাছে গাছে সবুজের চোখজুড়ানো শান্ত স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে আছে। এখন মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হয়, তাই পাতারা আরও সবুজ হয়ে উঠছে।
সেদিন ছিল শুক্রবার। মৌলভীবাজারের একটি প্রান্ত, কমলগঞ্জের আদমপুর বাজার থেকে কোনাগাঁও গ্রামের দিকে কজন এগিয়ে চলছি। সঙ্গে গ্রামে গ্রামে চারণের মতো ঘুরে বেড়ানো সংগঠক ও লোকগবেষক আহমদ সিরাজ, কমলগঞ্জ উপজেলা মধুচাষি উদ্যোক্তা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ ও মধুচাষি মঙ্গল মিয়া। আদমপুর-কোনাগাঁও সড়কের দুই পাশে শুধু বাড়িই নয়, খোলা মাঠও আছে। এসব মাঠে এখন পাকা, আধা পাকা বোরো ফসল আহ্লাদে ঢুলুঢুলু করছে।
সেদিন ‘পাহাড়ে মুক্তোর বাড়ি’ও রকম পাহাড়ঘেঁষা একটি বাড়ি থেকে ফেরার পথে কোনাগাঁওয়ে একটি বাড়ির কাছে এসে থমকে দাঁড়াতে হয়। ওখানে বাড়ির প্রবেশপথে, ফটকের কাছে একটি লাল সোনাইলগাছ ফুলে ফুলে রঙের হাট খুলে বসেছে। সবুজ গ্রামের ভেতর অমন মন উচাটন করা ফুল সচরাচর চোখে পড়ে না। ওখানে গ্রামের ভেতর জারুল, কৃষ্ণচূড়া কিংবা অন্য কোনো বুনোফুল যতটা দেখা যায়, লাল সোনাইলের অতটা দেখা মেলে না। গ্রামের ভেতরে অনেকের কাছে ফুলটি এখনো অচেনা। ওখানে বাড়িটিকে আলাদা করেছে ওই লাল সোনাইল।
কৃষ্ণচূড়ার থোকা অনেক দূর থেকে নজর কাড়ে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মধ্যভাগে