আড়াইহাজারে জোর করে জায়গা দখল, অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা
Published: 11th, May 2025 GMT
আড়াইহাজারে এক ব্যাক্তির জায়গা জবর দখল করার পর তার আর পৃথিবীতে নিজের কোন জায়গা জমি নাই বলে অপমান করায় রাগে দূঃখে কিটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিল্লাল হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি।
এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী জামেলা আক্তার বাদী হয়ে রোববার বিকেলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েণে শনিবার রাতে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের গহরদী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বাড়ী ঘরে ৮ মে সকাল অনুমান ৯.
হামলার সময় বিল্লালের ঘর থেকে এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার সহ অন্যান্য মালামাল লুটপাট করে এবং ভাংচুর করে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে হামলাকারীরা।
এর পর ১০ মে শনিবার সকাল অনুমান ১০টার দিকে বিল্লাল এবং তার স্ত্রী জামেলা আক্তার তাদের বাড়ীর সামনে অবস্থান কালে আলমগীর গং তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাদের বাড়ী ঘর নাই বলে ছোট করে কথা বলে।
এতে রাগে দুঃখে, অভিমানে বিল্লাল হোসেন কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে তার অবস্থা গুরুতর বিধায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
ঢাকায় নেয়ার পথে তার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়লে তাকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রো-একটিভ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে বিল্লাল হোসেন মারা যান।
এ ব্যাপারে নিহত বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী জামেলা আক্তার বাদী হয়ে আলমগীর, হাসনাত, খায়েরসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত খায়ের জানান, জমি বিষয়ে আগেই মিমাংসা হয়ে গেছে। স্ত্রীর সাথে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসিরউদ্দিন জানান, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক
ফেনীতে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কলহের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞার পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন (৪৫)। তিনি একই গ্রামের গফুর ভান্ডারি বাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে। পেশায় তিনি ট্রাকচালক ছিলেন। আটক স্ত্রীর নাম খালেদা ইয়াসমিন (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে আলমগীরের সঙ্গে খালেদা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়ছিল। তাঁদের এক ছেলে রয়েছে। তবে গত কয়েক মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলায় আরেকটি বিয়ে করেন আলমগীর। এসব নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আলমগীর বাড়িতে আসেন। এরপর আজ দুপুরে তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিতণ্ডা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ইয়াসমিন তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে স্বজনেরা ঘরের শৌচাগারের ভেতর আলমগীরের মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির ছেলে কামরুল ইসলাম (১৬) প্রথম আলোকে বলে, নতুন বিয়ে করার পর তাঁর বাবা তাঁদের ভরণপোষণ দিতেন না। এ ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। দুপুরের দিকে খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন।
জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।