বাজার দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু
Published: 11th, May 2025 GMT
যশোরের ঝিকরগাছায় বাজার দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত আশাদুল হক আশার (৪০) মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোববার তিনি মারা যান। শনিবার ঝিকরগাছার ছুটিপুর বাজারের জামতলা মোড়ে দলের দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনি আহত হন। এ ঘটনায় আহত তার বড় ভাই মহিদুল ইসলাম যশোর জেনারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা স্থানীয় বালিয়া গ্রামের মৃত আতাউল হকের ছেলে।
সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেছেন। পরে পুলিশ এজাহারনামীয় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন ওলিয়ার, সাহাঙ্গীর, রাকিব, জোনাব আলি, আরব আলী ও আহমেদ আলী। তাদের বাড়ি ছুটিপুর, কাগমারি, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায়।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে জামতলা মোড়ে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি মহড়া বের করেন আশা ও তার ভাই মহিদুল। এ সময় বিপ্লবের নেতৃত্বে বিএনপির অপর একটি পক্ষ বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় হামলায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা ঘটে। এত গুরুতর আহত হন আশা ও মহিদুল।
প্রত্যক্ষদর্শী মহিদুল ইসলামের ছেলে শান্ত ইসলাম বলেন, ছুটিপুর বাজারে জামতলা মোড়ে আমার বাবা ও চাচাকে মোহন, নসু, বিপ্লব, সাদ্দামসহ পাঁচজন মিলে কুপিয়ে আহত করে। পরে তাদের ভ্যানে দড়ি দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে পাঠায়।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, বাজার দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাড়ি বিক্রি করে এলাকা ছাড়েন নিহত আশাদুল হক আশা। ৫ এপ্রিল তিনি ওমান থেকে এলাকায় ফেরেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ ব এনপ র ঝ করগ ছ স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
বাজার দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু
যশোরের ঝিকরগাছায় বাজার দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত আশাদুল হক আশার (৪০) মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোববার তিনি মারা যান। শনিবার ঝিকরগাছার ছুটিপুর বাজারের জামতলা মোড়ে দলের দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনি আহত হন। এ ঘটনায় আহত তার বড় ভাই মহিদুল ইসলাম যশোর জেনারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা স্থানীয় বালিয়া গ্রামের মৃত আতাউল হকের ছেলে।
সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেছেন। পরে পুলিশ এজাহারনামীয় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন ওলিয়ার, সাহাঙ্গীর, রাকিব, জোনাব আলি, আরব আলী ও আহমেদ আলী। তাদের বাড়ি ছুটিপুর, কাগমারি, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায়।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে জামতলা মোড়ে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি মহড়া বের করেন আশা ও তার ভাই মহিদুল। এ সময় বিপ্লবের নেতৃত্বে বিএনপির অপর একটি পক্ষ বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় হামলায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা ঘটে। এত গুরুতর আহত হন আশা ও মহিদুল।
প্রত্যক্ষদর্শী মহিদুল ইসলামের ছেলে শান্ত ইসলাম বলেন, ছুটিপুর বাজারে জামতলা মোড়ে আমার বাবা ও চাচাকে মোহন, নসু, বিপ্লব, সাদ্দামসহ পাঁচজন মিলে কুপিয়ে আহত করে। পরে তাদের ভ্যানে দড়ি দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে পাঠায়।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, বাজার দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাড়ি বিক্রি করে এলাকা ছাড়েন নিহত আশাদুল হক আশা। ৫ এপ্রিল তিনি ওমান থেকে এলাকায় ফেরেন।