যুদ্ধ নয়, অজ্ঞতাই নতুন প্রজন্মকে শেষ করবে: কঙ্গনা
Published: 12th, May 2025 GMT
কাউকে কিছু বলার হলে দু’বার ভাবেন না। বরাবরই ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। নিজের মতামত স্পষ্টভাবে জানান। সোশাল মিডিয়ায় এবার আগামী প্রজন্মের ‘দুরবস্থা’ নিয়ে মুখ খুললেন বলিউড কুইন।
সম্প্রতি কঙ্গনা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও রি-পোস্ট করেন। তাতে দেখা গেছে বেশ কয়েকজন কিশোরীর মাঝে দাঁড়িয়ে সঞ্চালিকা প্রশ্ন করছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতির নাম কী? একজন উত্তরে বলছে, ‘আমি ভুল গিয়েছি।’
আবার আরেকজনের অবস্থা আরও ভয়ংকর। সে বলছে, ‘এখন বোধহয় কোনও পুরুষ রাষ্ট্রপতি রয়েছেন।’ এরপর সঞ্চালিকা আর বেশি কিছু বলেননি। ভিডিওটি দেখে রেগে আগুন কঙ্গনা।
সোশাল মিডিয়ায় স্ক্রিনশট শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘যুদ্ধ নয়, অজ্ঞতাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে শেষ করবে।’
বলে রাখা ভালো, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। এই ঘটনার পালটা অপারেশন সিঁদুর ভারতের। প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান দিয়েছে ভারতীয় সেনা। যদিও বর্তমানে অস্ত্রবিরতি চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চায় সরকা: খাদ্য উপদেষ্টা
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ে অর্থাৎ খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত খাদ্যকে জনগণের জন্য নিরাপদ করতে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে জাইকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশে জাইকার অর্থায়নে পরিচালিত ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এ দ্রুত প্রকল্প পরিচালক এবং পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জনবল বৃদ্ধি, জাপান ও আসিয়ান দেশগুলোর মতো একক এবং সুবিন্যস্ত খাদ্য ব্যবসা লাইসেন্স ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দশ বছর মেয়াদি ২ হাজার ৪০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ এর আওতায় ঢাকায় একটি ফুড সেফটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুইটি খাদ্য পরীক্ষাগার, প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের খাদ্য নিরাপত্তা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
বৈঠকে খাদ্য উপদেষ্টা ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এ অর্থায়নে জন্য জাইকাকে ধন্যবাদ জানান এবং এই প্রজেক্টের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
বৈঠকে জাইকার কর্মকর্তারা এবং খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসানসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি