জামিন মেলেনি আইভীর, ডিভিশন পাবেন কারাগারে
Published: 12th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। তবে কারাগারে আসামীকে ডিভিশন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক শামসুর রহমান। সোমবার নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে এ শুনানি হয়।
পোশাক শ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলায় গত ৯ মে আইভীকে নারায়ণগঞ্জের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোমবার আদালত থেকে বেরিয়ে আইভীর আইনজীবী এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আদালতকে আমরা বলেছি আইভী স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ। তিনি তিনবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন এবং একবার নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। সিটি করপোরেশনের প্রত্যেক নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রায় ১ লাখ ভোটে পরাজিত হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
আরেক আইনজীবী মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, কারাগারে আইভীকে ডিভিশন দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। জেল কর্তৃপক্ষকে আইভীকে ডিভিশন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী আওলাদ হোসেন বলেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছে। আমরা এখন জেলা জজ আদালতে যাব।
গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়ায় মামলা
আইভীকে গ্রেফতারে বাধা, চড়াও এবং সাড়ে ছয় ঘণ্টা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গত রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় এ মামলা করেন উপপরিদর্শক রিপন মৃধা। এতে ৫০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো দুইশজনকে আসামী করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার পরিদর্শক নাছির উদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আইভী। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা। তাকে ধরতে পুলিশ গিয়েছিল। তার কর্মীরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়।
পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, ওই দিনের ভিডিও সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষও বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিল। সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আইভ ক
এছাড়াও পড়ুন:
আজমেরী ওসমানের দুই সহোযোগীসহ আ’লীগের ৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আজমেরী ওসমানের দুই সহোযোগীসহ আওয়ামী লীগের ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ফতুল্লা থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফতুল্লার রামারবাগ এলাকার আওয়মীলীগ নেতা মৃত লেহাজ আলীর পুত্র তাহের আলী (৬১), আজমেরী ওসমানের সহোযোগী এনায়েতনগর শাসনগাও এলাকার হাজী আলমাস আলী সর্দারের পুত্র মোঃ সাগর সর্দার (২৬) ও একই এলাকার শহিদুল ইসলামের পুত্র মোঃ সেতু (৪৫)।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া তারা ফতুল্লায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠনো হয়েছে।