লংমার্চ টু যমুনায় পুলিশের বাধা, আহত ৩৮ ঢামেকে
Published: 14th, May 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লংমার্চ টু যমুনা কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাসে আহত হয়ে ৩৮ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বুধবার (১৪ মে) আবাসন সংকট নিরসনসহ ৩ দফা দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
শিক্ষার্থীদের লংমার্চটি কাকরাইল মোড় এলাকায় এলে এতে বাধা দেয় পুলিশ। বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে করা হয় লাঠিচার্জ। ছোড়া হয় টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড।
আরো পড়ুন:
রাজশাহী কলেজে হোস্টেল ভাড়া কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ
উগ্র আচরণ করায় কুবি শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার
আহতরা হলেন-রেদোওয়ান, আসিফ, রহমান, আকিব, আরিফ, রফিক, শফিক, ওমর ফারুক, দৈনিক সংবাদের মেহেদী হাসান, অর্থিব, আপেল, মুজাহিদ, রায়হান, ফারুক, আবু বক্কর, নিউটন, হানিফ, জীবন, শহীদ, রাসেল, জিসান, জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা পোস্ট এর মাহাতাব লিমন, শহীদ, রাসেল, গৌরব, আব্দুল মান্নান, নাহিদ, জুয়েল, মোহন, সোহানুর রহমান সানি, মাছুমা, সংগ্রাম, বাইতুল, রাজু, সুমন, রাজীব, আকাশ এবং বাংলা ট্রিবিউন জবি প্রেসক্লাব সভাপতি আসাইফ আশরাফ।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব লিমন গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে যমুনার অভিমুখে লংমার্চে যাওয়ার সময় পুলিশ আমাদের ওপরে হামলা করে। এ সময় লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।”
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ পরিদর্শক মো.
ঢাকা/এমআর/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবিচার ও বৈষম্য করা হচ্ছে
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দু-চারজন ছাড়া বর্তমান কমিটির অধিকাংশই আওয়ামী লীগের দোসর বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা যেমন মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে কুক্ষিগত করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আখড়া বানিয়েছিলেন, তেমনি অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে কতিপয় বিতর্কিত মানুষের কারণে দেশের অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবিচার ও বৈষম্য করা হচ্ছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে ইসতিয়াক আজিজ আরও বলেন, বিএনপি করে এমন কেউ এই সংসদের সদস্য হতে পারবে না, এমন তো কোনো আইন নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে যেভাবে নতুন সদস্য ও কমিটিগুলো করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা হলেও বিএনপি করে এমন কেউ সদস্য হতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দল গঠনের মধ্য দিয়ে জাতিকে নানা বৈষম্য থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। স্বনির্ভর করেছিলেন এই জাতিকে। তার দলের সদস্যরা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য হতে বাধার সম্মুখীন হবেন, তা কি কখনও জাতি আশা করেছিল? এর চেয়ে বৈষম্য আর কী হতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুদ্ধকালীন কমান্ডার শহীদ বাবলু, মো. মোবারক, শরীফ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।