সাভারে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলা, আহত ৮
Published: 15th, May 2025 GMT
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় অবৈধ সীসা কারখানার তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানানোয় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক উইং ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) রাতে এ হামলায় অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে আশুলিয়ার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন, এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক রিফাত আহমেদ ইমন (২৭), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাভার উপজেলার যুগ্ম সদস্য সচিব তাওহিদুল ইসলাম সানভি (২৩) ও মুখ্য সংগঠক হৃদয় হাসান (২৪)।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নিহত ১, অগ্নিসংযোগ
গাইবান্ধায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম জানান, তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে এবং অন্যদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।
আহতরা জানান, বুধবার রাতে তারা ঘুরতে গিয়ে শিমুলিয়া এলাকায় একটি সেতুর ওপর বসে ছিলেন। সেখানে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন, পাশেই একটি অবৈধ কারখানায় ব্যাটারি গলিয়ে সীসা তৈরি করা হয়। বিষয়টি পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে তারা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করতে বলেন। পরবর্তীতে সাংবাদিক পরিচয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে দেখা করতে বলেন। দেখা করতে গেলে একটি হায়েস গাড়িতে করে আসা একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক রিফাত আহমেদ ইমন জানান, অবৈধ কারখানার বিষয়ে প্রশাসনকে জানানোয় এ হামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন জানান, খবর পেয়ে তারা আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যবসায়ী ও তার দুই ছেলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩
সিদ্ধিরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ী ও তার দুই ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু মারধরই নয়, হামলাকারীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় এক লাখ টাকার মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করেছে।
আহতরা হলেন ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন (৫৫), তার বড় ছেলে আ. সালাম (৩৪) ও ছোট ছেলে অমিত হাসান (২৭)। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় আ. সালাম নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (২৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এনায়েতনগর এলাকায় তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত কামাল হোসেন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এনায়েতনগর এলাকায় একটি ওষুধের দোকান পরিচালনা করছেন। এলাকায় কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করতেন।
এ কারণেই প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল। তিনি বলেন, "ঘটনার রাতে দোকান বন্ধ করে ছেলে ও এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ হেলাল, আমান, বাবু, কাউসার, মারুফসহ আরও ১০-১২ জন আমাদের পথরোধ করে।
তিনি অভিযোগ করেন, ওরা আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। বাধা দিলে তারা হাতে থাকা লোহার রড, রামদা, হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। আমার মাথায় কোপ মারে, বাম হাত ভেঙে যায়।
বড় ছেলে সালাম বাঁচাতে আসলে তাকেও চাপাতি ও হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে। অমিতকে মারধরের পাশাপাশি আমাদের তিনটি দামি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
হামলার সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে যায় ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
পরবর্তীতে আহতদের স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে কামাল হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, হামলাকারীরা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা খোলা দিবালোকে এমন নৃশংস হামলা চালিয়ে পুরো এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। বর্তমানে আহতদের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। যে কোনো সময় পুনরায় হামলার আশঙ্কা করছেন তারা।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনূর আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতোমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে বাকি জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।