জামালপুরে পাটখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুখমণ্ডল
Published: 16th, May 2025 GMT
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় পাটখেত থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বান্দেপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী ওই নারীর মুখমণ্ডল আগুনে পুড়িয়ে বিকৃত অবস্থায় ছিল।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় লাশটি পাওয়া গেছে। তাঁর মুখমণ্ডলের পুরোটাই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চেহারা বিকৃত হওয়ার কারণে চেনাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আজ সকালে ওই এলাকার পাটখেতে বিবস্ত্র ও মুখমণ্ডল দগ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় ওই নারীর লাশটি দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সদস্যরা।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, কেউ যাতে চিনতে না পারেন, তাই দাহ্য পদার্থ দিয়ে ওই নারীর মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে হয়তো অন্য কোথাও হত্যার পর পাটখেতে ফেলে যাওয়া হয়েছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইস্টার্ন রিফাইনারিতে রেকর্ড জ্বালানি তেল পরিশোধন
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টন অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করেছে। ৫৭ বছরের ইতিহাসে এবার সর্বোচ্চ তেল পরিশোধন করল সংস্থাটি। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় শোধনাগারটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইআরএল বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সরকারি জ্বালানি তেল পরিশোধনাগার। এখানে বিপিসির মাধ্যমে আমদানি করা অপরিশোধিত তেল থেকে পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন, এলপিজি, ফার্নেস অয়েলসহ ১৪ ধরনের জ্বালানি উৎপন্ন হয়। সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন ইআরএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান, বিপিসির সচিব শাহিনা সুলতানা ও ইআরএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শরীফ হাসনাত।
ইআরএলের চেয়ারম্যান নাসিমুল গনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি তেল শোধন সম্ভব হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এবার শোধন কার্যক্রমে বড় অগ্রগতি হয়েছে। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শোধিত হয়েছিল ১২ লাখ ৭৯ হাজার টন; ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৪ লাখ ৪৩ হাজার টন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৭৭ হাজার টন। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫ লাখ ১৩ হাজার টন শোধন হয়েছিল, যা এত দিন ছিল সর্বোচ্চ।
বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান বলেন, ইআরএলের দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। এ ছাড়া মহেশখালীতে ১০ লাখ টন সক্ষমতার নতুন শোধনাগার এবং পায়রা বন্দরে আরেকটি শোধনাগার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে মহেশখালীর জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বছরে প্রায় ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল শোধন করতে পারে ইআরএল। দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণ করা গেলে শোধন ক্ষমতা বেড়ে ৩০ লাখ টনে উন্নীত হবে।
ইআরএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শরীফ হাসনাত বলেন, বর্তমানে পরিশোধন ক্ষমতা যথেষ্ট না হওয়ায় প্রতিবছর ডিজেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি আমদানি করতে হয়। এতে সরকারকে অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। ইআরএলের দ্বিতীয় ইউনিট বাস্তবায়িত হলে বছরে প্রায় ২৪ কোটি ডলার সাশ্রয় হবে।