প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিক্রয়া লক্ষ্য করা যায়নি। কারণ, এখানে নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে জনগণের সমর্থন ছিল। 

শুক্রবার বিকেলে মাগুরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। শফিকুল আলম বলেন, আমরা চাচ্ছি আওয়ামী লীগের বিচার ন্যায়সঙ্গতভাবে হবে। বিচার তার নিজেস্ব গতিতে চলবে। বিচারটা দ্রুত হক, তবে কোনো অন্যায় যেন না হয়। 

জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে বিষয়টি নিশ্চিত যে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, আশা করছি আমরা ন্যায়বিচার দেখতে পাব। ন্যায় বিচারের জন্য যত দ্রুত বিচারিক কাজটি করা যায় সেটি করেছি। কেবিনেট এটি নিয়ে আইন প্রয়োজনীয় সংস্কার করেছে। আমরা আশা করছি এক্ষেত্রে ন্যায় বিচার হবে।

এ সময় মফস্বল সাংবাদিকতার মান উন্নয়ন করতে গেলে তাদের আর্থিক বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম।

মতবিনিময়কালে মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এই বিশাল প্রকল্প কি বৃথাই যাবে

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী শাসনের আমলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডিদের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রকল্প নিয়ে বারবার সমালোচনা হয়েছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা যথাযথ সম্ভাব্যতা যাচাই করা ছাড়া প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, যা কোনো কাজে আসছে না। শম্বুকগতিতে প্রায় এক দশক সময় নিয়ে ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলো, যেন সেখানে টাকা খরচ করাটাই মুখ্য ছিল। এ প্রকল্প জনগণের কাজে এল কি এল না, তা নিয়ে যেন কোনো মাথাব্যথাই নেই ওয়াসার। এভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, চট্টগ্রাম ওয়াসা দক্ষিণ চট্টগ্রামের চারটি উপজেলায় (বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা ও কর্ণফুলী) শিল্প ও আবাসিক গ্রাহকদের কাছে পানি পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশাল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। চট্টগ্রাম নগর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি পাহাড়ের পাদদেশে এ পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু আড়াই বছর ধরে সংযোগ প্রক্রিয়া শুরু করার পরও ১৫ হাজার গ্রাহকের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মাত্র ৩ হাজার সংযোগ নেওয়া হয়েছে, যা মাত্র ২০ শতাংশ! শিল্পকারখানাগুলোর মধ্যে মাত্র একটি (সিইউএফএল) সংযোগ নিয়েছে, তা–ও তারা সম্পূর্ণ পানি ব্যবহার করছে না। কারণ, ওয়াসা থেকে পানি নিলে তাদের খরচ দ্বিগুণ হয়ে যায়।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে পর্যাপ্ত পানির উৎস আছে। অনেক পুকুর ও জলাশয় আছে, আছে নদী ও খাল। তা ছাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সেখানে আছে বিনা মূল্যের গভীর নলকূপ। তাহলে কী কারণে ওয়াসার সংযোগ নেবে সেখানকার মানুষ? প্রকল্পটি শুরুর আগে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে কেন সমন্বয় করেনি ওয়াসা? কেন গ্রাহকদের চাহিদা ও আগ্রহের বিষয় নিয়ে জরিপ করেনি?

এখন এই বিশাল বিনিয়োগের সদ্ব্যবহার কীভাবে হবে? চট্টগ্রাম নগরীর বিশাল একটি অংশ যখন তীব্র পানির সংকটে ভুগছে, তখন পানি শোধনাগারটি তেমন কাজে আসবে না, তা কী করে হয়? ওয়াসাকে অবশ্যই দ্রুত বিকল্প ভাবতে হবে। এই উৎপাদিত পানি কীভাবে নগরীর ১৫ লাখ পানিবঞ্চিত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেদিকেই তাদের নজর দেওয়া উচিত। অন্যথায় এই প্রকল্প জনগণের অর্থের এক বিশাল অপচয় হয়েই থেকে যাবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দক্ষিণ চট্টগ্রামে গ্রাহক বাড়ানোর জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করা উচিৎ ওয়াসার।

কারণ, সেখানে স্থাপিত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ভূগর্ভস্থ পানি তুলছে। এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। ফলে কীভাবে ভূগর্ভস্থ পানি তোলা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা যায়, সে পরিকল্পনাই করতে হবে এবং সে অনুসারেই পদক্ষেপ নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই আন্দোলন ছিল জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা : বাঁধন
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে বাঁধন বললেন, সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না
  • স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি: প্রধান উপদেষ্টা
  • এই বিশাল প্রকল্প কি বৃথাই যাবে
  • ইরানের ‘সরিয়ে ফেলা’ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম কি আর খুঁজে পাওয়া যাবে
  • ইরানকে কিছুই দিচ্ছি না: ট্রাম্প
  • ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ইরানের
  • ইরানের পরমাণু প্রকল্প ধ্বংস নিয়ে ট্রাম্প কি তাহলে মিথ্যা বলেছেন
  • আলোচনা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে
  • কয়েক মাসের মধ্যেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ প্রধান