ঢাকায় ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
Published: 17th, May 2025 GMT
ঢাকার হাজারীবাগে ও মোহাম্মদপুরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষর্থীসহ দুজন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) রাতে এসব ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদপুর: মোহাম্মদপুরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নুর ইসলাম (২৬) নামে এক ফটোগ্রাফার নিহত হয়েছেন। তার কাছ থাকে দুটি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মোহাম্মদপুর মন্দিরের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ১০ টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নুর ইসলামের গ্রামের বাড়ি বরিশালের আগৈলঝড়া থানার সুজনকাঠি গ্রাম। তার বাবার নাম আবুল ফকির। ঢাকার ধানমন্ডি শঙ্কর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থাকতেন।
নিহতের বড় ভাই ওসমান গনি বলেন, “নুর ইসলাম ডে ইভেন্টের ফটোগ্রাফার ছিলো। রাতে মুঠোফোনে খবর পাই ওকে মোহাম্মদপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে ছোট ভাইয়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পাই।”
তিনি আরো বলেন, “নুর ইসলাম ও তার বন্ধু ইমনকে নিয়ে রিকশা করে মোহাম্মদপুর মন্দির গলি দিয়ে যাচ্ছিলো। তখন কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের রিকশার গতিরোধ করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে নুর বাধা দিলে ছুরিকাঘাত করে।
হাজারীবাগ: হাজারীবাগের জিগাতলা এলাকায় দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আলভী (২৭) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার ২ বন্ধু আহত হয়েছেন।
নিহতের মামি মাহি আক্তার জানান, আলভি তার বন্ধু রাব্বি, ও জাকারিয়ার সঙ্গে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে আড্ডা দিচ্ছিল। ওই মুহূর্তে ২০ থেকে ২৫ জন ছেলে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তারা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে আলভীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আলভীর বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। তার বাবার নাম মশিউর রহমান। তিনি হাজারীবাগ বিজিবি ৫ নম্বর গলির একটি ভাড়া বাসায় মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “দুই যুবকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”
ঢাকা/বুলবুল/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদপ র ন র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আমি ভুলে গেলেও তারা ভুল করেন না: নিরব
চিত্রনায়ক নিরব। র্যাম্প থেকে বিজ্ঞাপন, সেখানে থেকে নাটকের পর রূপালি পর্দা। সিনেমায় হিসাবের তালিকা পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেছে। কখনো রোমান্টিক, আবার কখনো অ্যাকশন হিরোর ভূমিকায় অভিনয় নিয়ে দর্শকের মন ছুঁয়ে গেছেন। আজ এই নায়কের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে জন্মদিন, সিনেমাসহ নানা বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
সমকাল পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
আমার পক্ষ থেকে সমকাল ও সবাইকে ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।
বিশেষ এই দিনটিতে প্রথম উইশ কে করল?
প্রথমে উইশ করেছে আমার স্ত্রী। রাতে সে কেক নিয়ে এসে সেলিব্রেট করেছে। এরপর কাছের বন্ধু-বান্ধবরা। আর আমাকে যারা ভালোবাসেন তারা তো বিভিন্নভাবে উইশ করছেই।
এই দিনে কাকে বেশি মিস করেন?
এই দিন এলেই আমার মা-বাবার কথা বেশে মনে পরে। তাদের কথা ভীষণভাবে উপলব্ধি করি। তারা না থাকলে হয়তো আমার এই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব ছিল না।
ছোটবেলা এবং এখনকার জন্মদিনের মধ্যে পার্থক্য?
ছোটবেলায় এই দিনটা ঘিরে একটা এক্সাইডমেন্ট কাজ করতো। দিনটার জন্য হয়তো কয়েক আগে থেকে অপেক্ষা করতাম। এখন তেমন না। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো পাল্টে গেছি। জন্মদিন কখন আসে বোঝাই দায়। মনে হয় জন্মদিন আসলে কিছুই না, এটা অন্য ৩৬৪ দিনের মতোই।
জন্মদিনে বিশেষ উপহার?
আমার কাছে মনে হয় পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছি এটাই আমার বড় উপহার। যেটা দিয়েছেন আমার মা-বাবা। এর থেকে বড় উপহার আমি কিছু মনে করি না।
এই দিনে ভাক্তদের থেকে মেনে রাখার মতো কিছু?
অসখ্য বার। এখন তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুগ। বিভিন্ন জায়গা থেকে গিফট আসে। দেখা যায় এই দিনটা আমি ভুলে গেলেও তারা ভুল করেন না। এটা আমার কাছে অন্যরকম এটা পাওয়া। এই অনুভূতি কখনো বোঝানো যাবে না।
নতুন কাজের খবর?
‘শিরোনাম’ সিনেমা ঈদে মুক্তির পরিকল্পনা ছিল। কিছু কারণে ঈদে মুক্তি পায়নি। এছাড়া এই সিনেমা কাজ অল্পকিছু বাকি আছে। সেটা করছি। এই সিনেমার কাজ শেষ না করে ‘গোলাপ’ সিনেমার শুটিং করছে পারছি না। কারণ, এই দুই সিনেমায় চুল-দাঁড়ির ব্যাপারটা ভিন্ন ভিন্ন। তাই এই মাসে ‘শিরোনাম’ শোষ করে ‘গোলাপ’-এর শুটিং শুরু করবো।
‘গোলাপ’ সিনেমায় পরীমণির সঙ্গে প্রথম কাজ, সব মিলিয়ে প্রস্তুতি কেমন?
হ্যাঁ, এই সিনেমা দিয়ে প্রথমবার পরীমণির সঙ্গে আমি পর্দায় আসছি। সবচেয়ে বড় কথা সিনেমার গল্পটা দারুণ। ফার্স্টলুক প্রকাশের পর থেকে দর্শকের যে ভালোলাগা তৈরি হয়েছে সেটা মাথায় রেখেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। দুই/একদিন পর পর আমরা স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসছি। আলোচনা করছি। কীভাবে ভালো একটা কাজ উপহার দেওয়া যায় সেই ভাবনা নিয়ে প্রত্যেকে এগিয়ে যাচ্ছি।
বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?
ইন্ডাস্ট্রি তো ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। সেটার প্রমাণ তো সবাই কয়েকবছর থেকে দেখছে। এখন সিনেমার বানানোর আগে আমরা প্রথম দর্শকের কথা চিন্তা করি। পরিচালক-প্রযোজকরাও এখন সেটাই করছে। কারণ, এখন দর্শক হলমুখী হচ্ছে। সুতরাং এই দর্শগুলো যেন হারিয়ে না যায়। এজন্য দরকার কম কাজ হলেও যেন কাজটা দর্শক পছন্দ করে পরবর্তীতে সিনেমা হলে আসে।
ভালো সিনেমা হলেও ঈদ ছাড়া সফলতার মুখ দেখে না, এটা নিয়ে কি বলবেন?
আমাদের সিনেমা এখন ঈদ কেন্দ্রিক। ঈদের ছাড়াও আমাদের সিনেমা নিয়ে আসা দরকার। ঈদ ছাড়া সিনেমা না চলার কারণ হিসেবে আমি মনে করি প্রচার-প্রচারণা। এটা ভালোভাবে না থাকলে একটি ভালো সিনেমাও অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে। আমি মনে করি সিনেমায় ভালো প্রচারণা থাকলে ঈদ ছাড়াও আমাদের সিনেমা চলবে।