বান্দরবানের লামায় একটি তামাক কোম্পানির দপ্তর থেকে লুট হওয়া ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে লামা পৌরসভা এলাকার দুটি পৃথকস্থানে মাটি খুঁড়ে এসব টাকা উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত ৮ মে রাতে লামা পৌর শহরে আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির দপ্তরে লুটপাট চালায় ১৫-২০ জনের একটি ডাকাত দল। ডাকাতেরা ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা লুট করেছেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানির ব্যবস্থাপক আবদুর রব বলেন, তামাক আহরণ মৌসুমে প্রতি সপ্তাহে কয়েক কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। কার্যালয় থেকে চাষিদের তামাকের মূল্য পরিশোধ ও শ্রমিকদের দৈনিক বেতন দেওয়া হয়। বহু বছর ধরে এভাবে কাজ করা হলেও এবারই প্রথম এ ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লামা শহরের সিলেটিপাড়ার আবদুল করিম ও আরিফের নেতৃত্বে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আবদুল করিমের বাবা ওয়াসীর আলী ও মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে আজ তাঁদের বসতঘরের পাশে মাটি খুঁড়ে ১৭ লাখ টাকা এবং পার্শ্ববর্তী আরেকটি স্থানে মাটি খুঁড়ে আরও এক লাখ টাকা পাওয়া যায়। ডাকাতির পর এসব টাকা মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। এ পর্যন্ত ডাকাতির ঘটনায় লুট হওয়া ২১ লাখ ১৭ হাজার টাকা উদ্ধার এবং ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ডাকাত আবদুল করিম ও আরিফের টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। তবে তাঁরা পলাতক। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে শনিবার ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত পলাতক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পলাতক আ.লীগ নেতার মাকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার-টাকা লুট

নোয়াখালীর কবিরহাটে বাড়িতে ঢুকে হোসনে আরা বেগম (৭০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জগদানন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই নারীর ছেলে মোহাম্মদ কামাল খান উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

মোহাম্মদ কামাল খান স্থানীয়ভাবে কামাল কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের এই নেতা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে আত্মগোপনে। তাঁর ভাই মাইন উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তাঁর মা বসতঘরে একাই ছিলেন। তিনি স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে তাঁর মায়ের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনটি কোপ দেয়। পরে দুটি কান ছিঁড়ে শরীরে থাকা প্রায় চার ভরি স্বর্ণালংকার ও ঘরে বিছানার নিচে রাখা সাড়ে তিন লাখ টাকা লুটে নেয়।

হোসনে আরাকে কিছুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের সামনের কক্ষে অচেতন হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর নাতি সালমান। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়। মাইন উদ্দিনের অভিযোগ, এটি নিছক চুরির ঘটনা নয়, এটি দুর্ধর্ষ ডাকাতি।

কবিরহাট থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই নারী শরীরে সব সময় স্বর্ণালংকার পরতেন। তাদের ধারণা, চুরি করতে আসা দুর্বৃত্তদের চিনে ফেলায় তাঁকে কোপানো হয়। পুলিশ এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ