অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সিনেমার দাপুটে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। মুম্বাইয়ের মালাড এলাকায় অনুমতি ছাড়াই ভবন নির্মাণের অভিযোগে নোটিশ পাঠিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরনিগম। এতে করে ভেঙে ফেলা হতে পারে এ তারকার বাড়ি। খবর ইন্ডিয়ান এক্সেপ্রেসের। 

পুরনিগম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ১০ মে শোকজ নোটিশ মিঠুনকে পাঠানো হয়। সাত দিনের মধ্যে নোটিশের উত্তর দিতে বলা হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ রয়েছে, যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দেওয়া হয়, তবে নির্মিত ওই ভবন ভেঙে ফেলা হবে। ভেঙে ফেলার খরচও মালিককে বহন করতে হবে। এমনকি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারেও বলে জানানো হয়েছে। 

পুরনিগম সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ওই এলাকার প্রায় ১৩০টি অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে কিছু বাংলো নকল নকশার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ৯ মে আশেপাশের এলাকায় ৯টি ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। আগামী ৩১ মে’র মধ্যে সবকটি অবৈধ নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএমসি।

আরো পড়ুন:

ফের শাহরুখের সিনেমায় রানী মুখার্জি!

কানের আসরে মধুবালা, রেখা, হেমা, শ্রীদেবী!

অনুমতি ছাড়াই ভবন নির্মাণ করায় মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মুম্বাই পৌরসভা আইন, ১৮৮৮-এর ধারা ৩৩৭, ৩৪২, ৩৪৭ ও ৩৫১ (১এ)-এর অধীনে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া ৪৭৫এ ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হলে আর্থিক জরিমানা এবং কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে।

অবৈধ ভবন নির্মাণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। গতকাল এ অভিনেতা বলেন, “আমার জমিতে কোনো অবৈধ নির্মাণ নেই। ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তিকে এ ধরনের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আমাদের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে, বিস্তারিত জানিয়ে আমরা তা প্রস্তুত করছি।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সম্প্রসারণে নতুন নীতিমালা

দেশের নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) ব্যবসাকেন্দ্র স্থাপন, সম্প্রসারণ, স্থানান্তর, ভাড়া ও ইজারা-সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, আর্থিক কোম্পানির ব্যবসাকেন্দ্র স্থাপন ও সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমতি দিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সে কাজগুলো করতে পারবে। 

রবিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা জারি করা হয়েছে।  

নীতিমালায় বলা হয়েছে, আবেদনকারী কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা, মূলধন পর্যাপ্ততা, শ্রেণিকৃত ঋণের হার, পরিদর্শন বিভাগের সর্বশেষ অডিট আপত্তি, ক্যামেল রেটিং, আমানতকারীদের সেবা প্রদানসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন করবে। অনুমোদনের তিন মাসের মধ্যে নির্ধারিত শাখা স্থাপন না করলে অনুমতিপত্র বাতিল করা হবে।

শুধু সম্প্রসারণই নয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা ও উপশাখা একীভূতকরণ, রূপান্তর ও বন্ধ করতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে।

শাখা স্থাপনের আবেদনের সঙ্গে কোম্পানির তিন বছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী, এ সময়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব, শাখা স্থাপনে স্পেস ভাড়া উল্লেখ করতে হবে। 

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নতুন শাখা স্থাপনের অনুপাত হবে ১:২। শাখার আয়তন হবে সর্বোচ্চ ৫ হাজার বর্গফুট। প্রতি বর্গফুট ডেকোরেশনে ব্যয় ২ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে।

নতুন এ উদ্যোগ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে স্বার্থান্বেষী মহলের অনুপ্রবেশ রোধ হবে এবং আর্থিক খাতে পেশাদার ও যোগ্য জনবল নিয়োগের পথ সুগম হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ