ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর সীমানায় আবারও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এবার সড়কে মাছবাহী গাড়িচালক ও তার সহযোগীকে মারধরের পর হাত-পা বেঁধে ১৬৮ কার্টন মাছসহ পিকআপ ভ্যান লুট করেছে ডাকাত দল। সোমবার ভোরে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

ডাকাত দলের হামলায় আহতরা হলেন- পিকআপ ভ্যানের চালক আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার সহযোগী আল আমিন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে উপজেলা ফেরিঘাট এলাকায় চালক সিদ্দিক ও সহযোগী আল আমিনের হাত-পা বেঁধে ১৬৮ কার্টন মাছসহ পিকআপ ভ্যান লুট করে ডাকাত দল। এ সময় তারা পিকআপ ভ্যানের চালককে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এর পর তাদের হাষাড়া এলাকায় ফেলে দিয়ে মাছ ও পিকআপ ভ্যান নিয়ে যায় ডাকাতরা। পরে স্থানীয় এক অটোরিকশাচালক তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।

শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। এর আগে ৭ মে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি আটকে ডাকাতিচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তারা। কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও ডাকাতি শুরু করেছে চক্রটি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প কআপ ভ য ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ