চালক-সহকারীর হাত-পা বেঁধে মাছবাহী পিকআপ লুট
Published: 19th, May 2025 GMT
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর সীমানায় আবারও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এবার সড়কে মাছবাহী গাড়িচালক ও তার সহযোগীকে মারধরের পর হাত-পা বেঁধে ১৬৮ কার্টন মাছসহ পিকআপ ভ্যান লুট করেছে ডাকাত দল। সোমবার ভোরে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাত দলের হামলায় আহতরা হলেন- পিকআপ ভ্যানের চালক আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার সহযোগী আল আমিন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে উপজেলা ফেরিঘাট এলাকায় চালক সিদ্দিক ও সহযোগী আল আমিনের হাত-পা বেঁধে ১৬৮ কার্টন মাছসহ পিকআপ ভ্যান লুট করে ডাকাত দল। এ সময় তারা পিকআপ ভ্যানের চালককে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এর পর তাদের হাষাড়া এলাকায় ফেলে দিয়ে মাছ ও পিকআপ ভ্যান নিয়ে যায় ডাকাতরা। পরে স্থানীয় এক অটোরিকশাচালক তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।
শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। এর আগে ৭ মে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি আটকে ডাকাতিচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তারা। কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও ডাকাতি শুরু করেছে চক্রটি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প কআপ ভ য ন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব: বাংলাদেশ
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ, সম্মানজনক ও টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশ সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখা এবং তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য দ্রুত একটি অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব।
শুক্রবার বিকেলে জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫৯তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওআইসির উদ্যোগে উত্থাপিত ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজ্যুলুশন গৃহীত হওয়ার আগে মানবাধিকার পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, রাখাইনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং ‘আরাকান আর্মি’র মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীসমূহের মধ্যকার চলমান সংঘাত মানবিক সহায়তা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে। এ সময় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মানবাধিকার পরিষদকে অবহিত করে উল্লেখ করেন যে, রাখাইন রাজ্যে চলমান হত্যাযজ্ঞ, নিপীড়ন এবং সহিংসতা এড়াতে শুধুমাত্র ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
এ ছাড়াও আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা বিষয়ে আয়োজিতব্য উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানকল্পে বাস্তবমুখী এবং সময়াবদ্ধ সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫৯তম অধিবেশনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কিত রেজ্যুলুশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। রেজুল্যুশনে রোহিঙ্গাদের জন্য ক্রমহ্রাসমান মানবিক সহায়তার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অধিকতর দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়াও এতে জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাসমূহকে রাখাইনে নিরবিচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।
রেজ্যুলুশনটিতে রাখাইনে বিচারহীনতা ও দায়মুক্তির সংস্কৃতি অবসানের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যের সব স্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের অংশগ্রহণ এবং অর্থপূর্ণ প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন কাঠামো স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন ২০২৫ তারিখে শুরু হওয়া জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫৯তম অধিবেশন আগামী ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হবে।