বজ্রপাত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ মূল্যায়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ
Published: 19th, May 2025 GMT
বজ্রপাত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের মূল্যায়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনীয় কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন হফলনামা আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। বজ্রপাতে প্রাণহানি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এর আগে মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ কাওছার ১৩ মে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ কাওছার ও নাঈম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো.
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশসচিব, পরিকল্পনাসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালকসহ বিবাদীদের ওই কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের জীবনের অধিকার মৌলিক অধিকার। মানুষের জীবন রক্ষায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সাংবিধানিক ও আইনি দায়িত্ব। স্বাভাবিক অর্থে বজ্রপাত প্রকৃতির একটি অমোঘ নিয়তি হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে আধুনিক গবেষণা ও প্রযুক্তির বিকাশের ফলে বজ্রপাত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষের প্রাণহানি ও ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
রিট আবেদনকারী পক্ষের ভাষ্য, গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, বিশেষত কৃষক ও জেলেরা সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের শিকার হন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বজ্রপাতে নিহত ১৭৭ জনের মধ্যে ১২২ জনই কৃষক। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও গাইবান্ধা দেশের সবচেয়ে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা। বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা এখন অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যার চেয়ে বেশি। যদিও সরকার বজ্রপাতকে ২০১৬ সাল থেকে একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে, তবু বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত গৃহীত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়, বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা এড়াতে পাশের দেশ নেপাল ইতিমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশেও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হত র স খ য ম হ ম মদ পদক ষ প ব যবস থ আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
১৪ দলীয় জোটের দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও ১৪ দলীয় জোটের শরীক বাকি দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনসহ সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ওই দলগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে বলা হয়।
লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী পরিচয় দেওয়া হোসাইন মো. আনোয়ারের পক্ষে রোববার আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগান এ নোটিশ পাঠান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।
আইনজীবী সালাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, নোটিশের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে।
অন্যদিকে নোটিশদাতা হোসাইন মো. আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ দমন-নিপীড়ন একা একা চালায়নি। ১৪ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তেই তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও বাকিদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই সেই সব দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ চেয়ে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ছাড়া ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা হলো- জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, গণ আজাদী লীগ, বাসদ (রেজাউর), সাম্যবাদী দল (দিলীপ বড়ুয়া), ন্যাপ (মোজাফফর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাসদ (ইনু), শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, তরিকত ফেডারেশন ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র।