কিবরিয়া হত্যা মামলায় ৮ জন সাক্ষ্য দিলেন, সুরঞ্জিত হত্যাচেষ্টা মামলায় সাক্ষী অনুপস্থিত
Published: 20th, May 2025 GMT
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় তিন পুলিশ সদস্যসহ আটজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে হত্যাচেষ্টা মামলায় কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হননি। রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করলে আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন ২৭ মে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকারের আদালতে দুটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারিত ছিল।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো.
মামলার জামিনে থাকা আসামিদের মধ্যে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। জামিনে থাকা সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছ ও কারাগারে থাকা অন্য আসামিরা এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিবরিয়া হত্যা মামলায় আজ পুলিশ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন, কনস্টেবল তাওয়াবুর রহমান, নাসির উদ্দিন, লোকমান আহমদ, রিপন মিয়া, সুকুমার সরকার, অর্জুন সরকার ও ফিরোজ আলী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে এক জনসভা শেষে বের হওয়ার সময় গ্রেনেড হামলায় আহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই হামলায় তাঁর ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদাসহ আরও চারজন নিহত হন এবং অন্তত ৭০ জন আহত হন।
এদিকে ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জের দিরাই বাজারে সুরঞ্জিতের নির্বাচনী এলাকায় এক সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এতে যুবলীগের এক কর্মী নিহত হন এবং আহত হন আরও ২৯ জন। অল্পের জন্য বেঁচে যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ওই ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর লুৎফুজ্জামান বাবর, আরিফুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় ১২৩ সাক্ষীর মধ্যে ৫৮ জন এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক বর য়
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ৮
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় শিয়ালের কামড়ে আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে উপজেলার পুঁটিমারা ইউনিয়নের আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, চণ্ডীপুর ও বেড়ামাইল গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া এলাকার রকিব মিয়া (৬২), চড়ারহাট এলাকার এনামুল হক (৪৬) ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৫), ইসাহাক আলী (৪৫), আবদুল হক (৫০), হীরা (২৬), চণ্ডীপুর গ্রামের ফসি উদ্দিন (৪৫) ও বেড়ামাইল গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (২৫)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শিয়ালের কামড়ে আহত আটজনের মধ্যে পাঁচজন গতকাল রাতেই বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (ইউপি সদস্য) শেফালী বেগম ও আহত রকিব মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত আটটার দিকে নবাবগঞ্জের চড়ারহাট বাজার থেকে কয়েকজন পথচারী হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নয়াপাড়া গ্রামে ঢোকার সময় রাস্তায় একটি শিয়াল অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ শিয়ালটি দৌড়ে এসে পথচারীদের পায়ে ও হাঁটুর নিচে কামড় দেয়। এ সময় কেউ কেউ শিয়ালটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে সেটির সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে শিয়ালটি পালিয়ে যায়।
শেফালী বেগম বলেন, ওই রাতেই নয়াপাড়া গ্রামে মরিয়ম বেগম নামের এক নারী বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি শিয়াল এসে তাঁর পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, বেড়ামাইল ও চণ্ডীপুর গ্রামের আটজনকে শিয়াল কামড় দেয়।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাহাজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শিয়ালের কামড়ে আহত পাঁচজন রোগী হাসপাতালে আসেন। তাঁরা সবাই চিকিৎসা নিয়ে রাতেই বাড়ি ফিরে গেছেন।