কক্সবাজারের টেকনাফের স্থানীয় এক জেলেকে গুলি করে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ সদরে বিক্ষোভ করেছেন নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় কয়েক শ মানুষ।

বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, মোহাম্মদ তাহের (৪০) নামের ওই জেলেকে কোস্টগার্ড সদস্যরা গুলি করে হত্যার পর লাশ গুম করেছেন। তবে কোস্টগার্ড বলছে, লাশ গুমের এমন অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। জেলে মোহাম্মদ তাহের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পল্লানপাড়ার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় আজ দুপুরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ও ‘টেকনাফের সর্বস্তরের জনগণ’–এর ব্যানারে টেকনাফের ঝরনা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত চলা দেড় ঘণ্টার ওই অবরোধে সড়কের উভয় পাশে কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে।

সমাবেশে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ

বিক্ষোভ সমাবেশে তাহেরের বড় ভাই মোহাম্মদ কাশিম বলেন, গতকাল সোমবার রাতে তাহেরসহ সাতজন জেলে মাছ ধরতে গেলে কোস্টগার্ডের গুলিতে তাহের ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে লাশটি প্যাকেটে ভরে অটোরিকশায় শাহপরীর দ্বীপের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা লাশ বুঝে পাননি।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধি মোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত, জুবায়ের আজিজ, সাইফুল ইকবাল, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আতাউল্লাহ কাদেরী প্রমুখ।

ছাত্রনেতারা বলেন, এটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দরকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিহত জেলের লাশ ফেরত দেওয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

টেকনাফে জেলে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ সমাবেশ। আজ দুপুরে তোলা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে সবচেয়ে আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল’ বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন, যা কংগ্রেসে অল্প ব্যবধানে পাস হওয়ার একদিন পর আইনে পরিণত হলো।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার বিকেলে হোয়াইট হাউজে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানে বিলটিতে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। এতে তার এজেন্ডার কয়েকটি মূল দিক—কর হ্রাস, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং অভিবাসন দমন কার্যক্রম—আইন হিসেবে কার্যকর হলো।

স্বাধীনতা দিবসের আতশবাজি ও সামরিক পিকনিকের আগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিগ বিউটিফুল বিল পাসে সহায়তাকারী কিছু রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা। ট্রাম্প বিলটিতে সই করে একে আইনে রূপ দেয়ার সময় তারা দাঁড়িয়ে স্বাগত জানান।

আরো পড়ুন:

কার অপেক্ষায় মাহি?

মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ২ বছর পিছিয়েছে: পেন্টাগন

ট্রাম্প তার ভাষণে বলেন, “এই বিলটি আমেরিকান পরিবার এবং ব্যবসার জন্য একটি নতুন সূচনা। আমরা কর কমাচ্ছি এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাচ্ছি, যাতে আমাদের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হয়।” 

ট্রাম্প হাউজ স্পিকার মাইক জনসন এবং সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা জন থুনকে ধন্যবাদ জানান, যাদের নেতৃত্বে আমেরিকার উভয় কক্ষেই এই বিলটি পাস হয়েছে।

ক্যাপিটল হিলে দীর্ঘ অধিবেশনের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি ২১৮ বনাম ২১৪ ভোটে পাস হয়। এর আগে মঙ্গলবার সিনেটে এটি মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে অনুমোদিত হয়েছিল।

ট্রাম্প রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসকে এই বিল ৪ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে চূড়ান্তভাবে পাঠাতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন, যাতে তিনি এটিকে আইনে পরিণত করতে পারেন।

‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল’ আইনে কর হ্রাস, সামরিক বাজেট, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি উৎপাদনের জন্য বর্ধিত ব্যয়, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচিতে কর হ্রাসের মতো বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই আইনটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বৃহৎ পরিসরে নির্বাসনের জন্য ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গেও সম্পর্কিত। তবে, আইন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, এই পদক্ষেপগুলো মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দেবে। ছোট ব্যবসাকে উৎসাহিত করবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে। যদিও অন্যান্য বিরোধীরা বিশ্বাস করেন এই ব্যয় দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলোকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কারণেই ধনকুবের ইলন মাস্ক সহ একটি বড় অংশ এই আইনের বিরুদ্ধে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ