সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করায় কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা
Published: 20th, May 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী মো. নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই মন্তব্য করার পরদিন নাজমুলকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তারপর তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়ে গত ২৭ মার্চ বিভাগীয় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চাওয়া ব্যাখ্যার জবাব দিয়েছেন নাজমুল হুদা।
নাজমুল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাব শাখায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাময়িক বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-২ শাখায় সংযুক্ত করা হয়। নাজমুল আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়েই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সাময়িক বরখাস্তের অফিস আদেশে সই করেছিলেন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া। জানতে চাইলে তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নাজমুল হুদাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে একটি মন্তব্য করেন নাজমুল। পরদিন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
সাময়িক বরখাস্তের অফিস আদেশে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ আনা হলেও সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করার বিষয়টি সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। তবে সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে নাজমুলের মন্তব্য করার বিষয়টি তাঁর বিরুদ্ধে করা বিভাগীয় মামলার অভিযোগনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে সারজিস আলমের পরিচয় হিসেবে জুলাই বিপ্লব ও ছাত্র–জনতার অভ্যুথানের অন্যতম সমন্বয়ক জনাব মো.
বিভাগীয় মামলার নথি অনুযায়ী সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে নাজমুল বলেছিলেন, ‘আপনারা স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের সচিব বানানোর জন্য ডিও দেন, আবার বড় বড় কথা বলেন ভাইয়া।’
এই মন্তব্যের জন্য বিধিমালার বিধান অনুযায়ী কেন সরকারি চাকরি থেকে নাজমুলকে বরখাস্ত করা হবে না অথবা অন্য কোনো উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে না, তা অভিযোগনামা পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তাঁকে জানাতে বলা হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনে নাজমুল ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশগ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করেন কি না, তা–ও জানাতে বলা হয়।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহ আলম মুকুল বিভাগীয় মামলার নথিতে সই করেন। এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য আজ মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
নাজমুল হুদা বিভাগীয় মামলার জবাবে বলেছেন, সারজিস আলম তাঁর বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। অথচ সারজিস আলমের ফেসবুকে মন্তব্য করার কারণে তাঁকে অসদাচরণের অভিযোগে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিভাগীয় মামলায় আনা অন্যান্য অভিযোগেরও জবাব দেন নাজমুল। তিনি বলেন, সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করার কারণে সরকার বিব্রত হয়ে থাকলে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চান। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সচেতন থাকবেন। পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য অন য য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট