বন্দরে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে  মাদ্রাসার শিক্ষিকাকে অকথ্য ভাষায়  গালিগালাজ করে শ্লীতলাহানীর চেষ্টা ও প্রাননাশের হুমকি দেওয়ার  ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বামী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রাননাশের  হুমকি ঘটনার ১০ দিন পর  বুধবার (২১ মে) দুপুরে প্রতিপক্ষ মোসলে উদ্দিন, বাতেন মিয়া ও তাইজুল ইসলামের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে গত শনিবার ( ১০ মে) বন্দর উপজেলার পিচকামতাল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলার পিচকামতাল এলাকার আফসার উদ্দিন মিয়ার ছেলে অভিযোগের বাদী নুরুল ইসলাম জানান, বন্দর উপজেলার পিচকামতাল এলাকার মৃত তালেব মেম্বারের ছেলে তারেই বোন জামাই মোসলে উদ্দিনের সাথে  দীর্ঘ দিন যাবৎ সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলার কারণে একই এলাকার মৃত কফিল উদ্দিন মিয়ার ছেলে বিবাদী বাতেন মিয়া ও আফসার উদ্দিন মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম আমার সাথে অযথা ঝগড়া, মারধর করে  আমাকে যখন তখন প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করিয়া আসছে।

এর ধারাবাহিকতা গত শনিবার (১০ মে) সকালে  আমার স্ত্রী  মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় ২নং বিবাদী বাতেন ও ৩ নং বিবাদী তাজুল ইসলাম আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে  শ্লীতলাহানীর চেষ্টা করে। এছাড়াও  ১নং বিবাদী মোসলে উদ্দিন বিএনপি'র নাম ভাঙ্গিয়ে আমাকে জোর পূর্বক আমার পৈত্রিক সম্পত্তি হইতে আমাকে বেদখল করার পায়তারা করিয়া আসিতেছে।

১নং বিবাদী মোসলে উদ্দিন বন্দর থানা বিএনপির নামে চাঁদা বাজী, অবৈধ জমি দখল সহ আরো অন্যান্য অপকর্মের সাথে লিপ্ত আছে। সকল বিবাদীগণের অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে উঠেছি। এ অবস্থা থেকে রেহাই  পাওয়ার জন্য বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।

আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।

তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ