বন্দরে মাদ্রাসার শিক্ষিকাকে শ্লীতলাহানীর চেষ্টা
Published: 21st, May 2025 GMT
বন্দরে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মাদ্রাসার শিক্ষিকাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শ্লীতলাহানীর চেষ্টা ও প্রাননাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বামী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রাননাশের হুমকি ঘটনার ১০ দিন পর বুধবার (২১ মে) দুপুরে প্রতিপক্ষ মোসলে উদ্দিন, বাতেন মিয়া ও তাইজুল ইসলামের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে গত শনিবার ( ১০ মে) বন্দর উপজেলার পিচকামতাল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলার পিচকামতাল এলাকার আফসার উদ্দিন মিয়ার ছেলে অভিযোগের বাদী নুরুল ইসলাম জানান, বন্দর উপজেলার পিচকামতাল এলাকার মৃত তালেব মেম্বারের ছেলে তারেই বোন জামাই মোসলে উদ্দিনের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলার কারণে একই এলাকার মৃত কফিল উদ্দিন মিয়ার ছেলে বিবাদী বাতেন মিয়া ও আফসার উদ্দিন মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম আমার সাথে অযথা ঝগড়া, মারধর করে আমাকে যখন তখন প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করিয়া আসছে।
এর ধারাবাহিকতা গত শনিবার (১০ মে) সকালে আমার স্ত্রী মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় ২নং বিবাদী বাতেন ও ৩ নং বিবাদী তাজুল ইসলাম আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে শ্লীতলাহানীর চেষ্টা করে। এছাড়াও ১নং বিবাদী মোসলে উদ্দিন বিএনপি'র নাম ভাঙ্গিয়ে আমাকে জোর পূর্বক আমার পৈত্রিক সম্পত্তি হইতে আমাকে বেদখল করার পায়তারা করিয়া আসিতেছে।
১নং বিবাদী মোসলে উদ্দিন বন্দর থানা বিএনপির নামে চাঁদা বাজী, অবৈধ জমি দখল সহ আরো অন্যান্য অপকর্মের সাথে লিপ্ত আছে। সকল বিবাদীগণের অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে উঠেছি। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শহীদ মিনার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করার খবর পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে আটটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে মিছিল করছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়। বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আসলাম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এ সময় তাঁরা ‘দুর্দিনের আসলাম ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’ ‘আসলাম ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এমন স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসলাম চৌধুরী দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন। তিনি দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে কারাবন্দী হন। দীর্ঘ সময় তিনি জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। অথচ এখন সুসময়ে দল তাঁকে বঞ্চিত করছে। তাঁরা দলের এ সিদ্ধান্ত মানেন না। তাই প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালীন প্রথম আলোকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তাঁরা যে যাঁর জায়গা থেকে মহাসড়কে উঠে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁরা অন্তত সীতাকুণ্ডের ৩০টি স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
ঘোষিত প্রার্থী কাজী মুহাম্মদ সালাউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম তাঁকে যোগ্য মনে করেছেন বিধায় তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চান। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন।
ফৌজদারহাট পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের মাথা, ফৌজদারহাট, জলিল গেইট, ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট, কদমরসুল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ রয়েছে। ফলে উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ। পুলিশ বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।