সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের অর্থ ছাড় (অবমুক্তি) এবং বিল দাখিলের সময়সীমা ঠিক করে দিয়েছে সরকার। পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অর্থ অবমুক্তি ও বিল দাখিলের বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।

আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে জারি করার কথা উল্লেখ করে পরিপত্রে বলা হয়, পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অর্থ ছাড়ের সময়সীমা আগামী ১৭ জুন। তবে পরিচালন ও উন্নয়ন—উভয় খাতে নতুন ব্যয় বিল দাখিলের সময়সীমা আরও চার দিন বাড়িয়ে ২২ জুন করা হয়েছে। 

এতে বলা হয়, মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলোকে পরিচালন ও উন্নয়ন—উভয় খাতে ফেরত বিল দাখিল করতে হবে ২৫ জুনের মধ্যে। তবে উভয় বাজেটের আওতায় বিল নিষ্পত্তি ও চেক ইস্যুর সর্বশেষ তারিখ ২৬ জুন।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, বাজেট বরাদ্দের আওতায় বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আমদানি ও মূল্য পরিশোধের সর্বশেষ তারিখ ২৬ জুন। যেসব ক্ষেত্রে ৩০ জুনের মধ্যে আমদানি ও মূল্য পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে না, সেসব ক্ষেত্রে অসুবিধার কারণগুলো চলতি অর্থবছরে স্থাপিত ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে আগামী অর্থবছরে পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমাণ ইত্যাদি জানাতে হবে। সে ক্ষেত্রে কারণগুলো বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে ১৯ জুনের মধ্যে। 

এতে আরও বলা হয়, বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে কোনো আমদানি এলসি স্থাপন বা নিষ্পত্তির সর্বশেষ তারিখ ২৬ জুন। তবে সকল প্রকার বেতন–ভাতা সংক্রান্ত বিল এ সময়সীমার আওতামুক্ত থাকবে।

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, নিরীক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়া এবং আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে কাজগুলো করা দরকার। অর্থবছরের শেষ দিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, দপ্তর বা সংস্থা দাখিল করা নিয়মিত বিল ও ফেরত বিলের ওপর নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ পূর্ব নিরীক্ষা করে থাকে। এ কাজ সুষ্ঠু ও যথাযথভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অর্থবছরের শেষে ব্যয় বিল দাখিল, চেক ইস্যু ও চেক নগদায়নের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখা দরকার। আর এ কারণেই চলতি অর্থবছরের ব্যয় বিল দাখিল, চেক ইস্যু ও চেক নগদায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র সময়স ম র আওত আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়েজবোর্ড ও মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার দাবি ডিইউজের, ঈদে ছুটি ৬ দিন দিতে নোয়াবকে চিঠি

সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের জন্য নতুন ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সাধারণ সম্পাদক  আকতার হোসেন এ দাবি জানান। 

তারা বলেন, ৫ বছর পর পর ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে সে সময় পার হয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। অর্থ উপদেষ্টা নতুন অর্থবছরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন। কয়েক বছরে বাড়ি ও পরিবহন ভাড়া, নিত্যপণ্য ও সেবা মূল্য বিবেচনায় সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমে কর্মচারীদের জন্য অবিলম্বে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা প্রয়োজন। তারা বলেন, নতুন অর্থবছরের শুরু থেকেই মহার্ঘ ভাতা প্রদানের ঘোষণা করতে হবে।

এদিকে, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংবাদপত্র ৬ দিন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে ডিইউজে। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ছুটি ভোগ করা সাংবাদিকদের অধিকার। এবারের ঈদে সরকার ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাঁচা চামড়া নিতে চীনকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ
  • এনবিআর এখনই বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই: অর্থ মন্ত্রণালয় 
  • সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ৭ দিনের সময়সীমা তাজকিনের
  • অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে: অর্থ মন্ত্রণালয়
  • নওগাঁয় আম পাড়া উৎসব শুরু, এখনো জমেনি আমের হাট
  • অন্তর্বর্তী সরকার কেন পুরোনো পথে হাঁটবে
  • ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার নতুন তারিখ প্রকাশ
  • ওয়েজবোর্ড ও মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার দাবি ডিইউজের, ঈদে ছুটি ৬ দিন দিতে নোয়াবকে চিঠি
  • শাবিপ্রবিতে অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন