সাতক্ষীরায় জাল টাকা ও বিভিন্ন দেশের জাল ডলার ছাপানোর মেশিনসহ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদরের কাটিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের আটক করে সদর আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা।

আটককৃতরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার পূর্ব বিড়ালহ্মী গ্রামের আব্দুর রহিম সানার ছেলে জুলকার নাঈম সানা এবং উত্তর আটুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম গাজীর ছেলে রাসেল গাজী।

সাতক্ষীরা আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মুশফিক আহমেদ জানান, আটক ব্যক্তিরা কাটিয়া এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন দেশের ডলার এবং টাকা কালার প্রিন্টারের মাধ্যমে ছাপিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। 

এসময় তাদের কাছে থাকা একটি কালার প্রিন্টার, কিছু জাল ডলার, একটি ল্যাপটপ, ৩টি স্মার্ট ফোন, ৩টি বাটন ফোন, নগদ ৫১ হাজার ৯৮৫ টাকা এবং নিজস্ব সিলসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়। 

আটককৃতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এই সেনা সদস্য।

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক ১ 
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক