বুমরা কেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক নন, শামি কেন দলে নেই
Published: 24th, May 2025 GMT
শুবমান গিলই ভারতের টেস্ট অধিনায়ক, যশপ্রীত বুমরা নন। অথচ রোহিতের অবর্তমানে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন বুমরাই। এমনকি বুমারকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন?
ভারতকে এমন চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে আসলে বুমরার জন্যই। কারণ, ভারতের সেরা ক্রিকেটার বুমরা নিশ্চিতভাবেই দলের সব টেস্ট খেলবেন না। সেরাটা পেতে বুমরাকে খেলানো হবে বেছে বেছে।
নতুন অধিনায়ক ঘোষণার সময়ে এটিই মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার, ‘বুমরা অস্ট্রেলিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছিল। কিন্তু ওকে সব টেস্ট ম্যাচে পাওয়া যাচ্ছে না। আমার মনে হয়, আমরা সবার আগে বুমরাকে খেলোয়াড় হিসেবে চাই।’
আগারকার যোগ করেছেন, ‘যখন আপনার ১৫-১৬ জন মানুষকে সামলাতে হবে, তখন সেটি সব সময় বাড়তি চাপ, যা আপনার সামর্থ্যের অনেকখানি নিয়ে নেয়। তাই আমরা বুমরাকে একজন বোলার হিসেবেই পেতে চাই। আশা করি, ওর একটি দারুণ সিরিজ কাটবে। বুমরা আমাদের জন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, তাই ওর সুস্থ থাকা এবং একজন বোলার হিসেবে খেলতে পারা খুব জরুরি। ও নিজেই জানে, এই মুহূর্তে ওর শরীর কেমন।’
গিল এখনো টেস্ট বা ওয়ানডেতে ভারতের অধিনায়কত্ব করেননি। তবে তিনি পাঁচটি টি-টোয়েন্টিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।সর্বশেষ সিডনি টেস্টে যাঁরা দলে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে লোকেশ রাহুলের টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি তিনটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে রাহুলকে হয়তো অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনাই করা হয়নি, ‘রাহুল আগে অধিনায়কত্ব করেছিল, কিন্তু তখন আমি নির্বাচক ছিলাম না। আমরা চাই ওর সিরিজটা ভালো কাটুক। একজন অধিনায়ককে এক বা দুই সিরিজের জন্য নির্বাচন করা যায় না। এটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ।’
আরও পড়ুনভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুবমান গিল, কারা আছেন, কারা নেই১ ঘণ্টা আগেগিল এখনো টেস্ট বা ওয়ানডেতে ভারতের অধিনায়কত্ব করেননি। তবে তিনি পাঁচটি টি-টোয়েন্টিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি জিম্বাবুয়ে সফরে হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই হওয়া সিরিজে ভারতের প্রথম সারির অনেক খেলোয়াড় বিশ্রামে ছিলেন। সাদা বলের দুই সংস্করণেই গিল এখন সহ-অধিনায়ক।
ভারতের নতুন অধিনায়ক শুবমান গিল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘রব্বানা হাবলানা’: পরিবারের জন্য এক অমূল্য দোয়া
‘হে আমাদের রব! আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্য থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করো এবং আমাদের নেককারদের নেতা বানাও।’ এই কথাগুলো কোরআনের সুরা ফুরকানের ৭৪ নম্বর আয়াতে লিপিবদ্ধ আছে।
মূল আরবি দোয়াটির উচ্চারণ হলো, ‘রব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইয়ুন ওয়াজাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।’
এটি শুধু একটি দোয়া নয়, বরং পরিবারের কল্যাণ, সন্তানের নেক আমল এবং নিজের নেতৃত্বের জন্য আল্লাহর কাছে এক হৃদয়গ্রাহী প্রার্থনা।
আরও পড়ুননবী সুলাইমান (আ.)–এর দোয়া১৪ মার্চ ২০২৪দোয়ার তাৎপর্যপবিত্র কোরআনের সুরা ফুরকানে আল্লাহ তাঁর নেক বান্দাদের গুণাবলি বর্ণনা করেছেন। এই আয়াতে তাঁদের একটি আকাঙ্ক্ষা কথা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তাঁরা আল্লাহর কাছে এমন একটি পরিবারের প্রার্থনা করেন, যাঁরা তাঁদের চোখের শীতলতা এবং হৃদয়ের শান্তির উৎস হবে।
আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ শফী বলেন, এই দোয়া মুমিনকে তাঁর পরিবারের জন্য দায়িত্বশীল হতে শেখায়। এটি কেবল স্ত্রী-সন্তানের ভালো থাকার প্রার্থনা নয়, বরং নিজেকে এমন একজন নেতা হিসেবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা, যিনি নেককারদের পথ দেখাতে পারেন।
এই দোয়ার দ্বিতীয় অংশ, ‘আমাদের মুত্তাকিদের নেতা বানাও,’ বোঝায় যে একজন মুমিনের উচিত নিজের পরিবারকে নেক পথে পরিচালিত করা এবং সমাজে ন্যায় ও সত্যের পথপ্রদর্শক হওয়া। (মাআরিফুল কোরআন, পৃষ্ঠা ৬৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ১৯৯৮)
আরও পড়ুনদোয়া কীভাবে করতে হয়২০ এপ্রিল ২০২৫এটি কেবল স্ত্রী-সন্তানের ভালো থাকার প্রার্থনা নয়, বরং নিজেকে এমন একজন নেতা হিসেবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা, যিনি নেককারদের পথ দেখাতে পারেন।কখন এই দোয়া করতে হয়‘রব্বানা হাবলানা’ দোয়াটি পড়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। যেকোনো সময় পড়া যায়—নামাজের পর, সিজদায় বা দৈনন্দিন জীবনে যখন ইচ্ছা। বিশেষ করে বিবাহিত জীবনে শান্তি, সন্তানের নেক আমল বা পারিবারিক সুখ কামনায় এই দোয়া অত্যন্ত ফলপ্রসূ। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে সব সময় দোয়া করো, কারণ দোয়া ইবাদতের মূল।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৩৭১)
এই দোয়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা, সন্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আল্লামা শানকিতি বলেন, এই দোয়া মুমিনকে তাঁর পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি সমাজে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করে। একটি নেককার পরিবারই সমাজের মূল ভিত্তি এবং এই দোয়া সেই ভিত্তি মজবুত করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। (শানকিতি, মুহাম্মদ আল-আমীন, আদ্বাউল বায়ান ফি ঈযাহিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৪৭৮, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, ২০০৫)
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই, যে তার পরিবারের জন্য সর্বোত্তম।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১,৯৭৭)
আরও পড়ুনসন্তানকে বদ দোয়া করবেন না২১ এপ্রিল ২০২৫