ডেমরার আওয়ামীলীগ নেত্রী ইয়াবাসহ ফতুল্লায় আটক
Published: 24th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুর থেকে রজনী আক্তার তুশি নামে এক আওয়ামী লীগ নেত্রীকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানার পুলিশ।
শনিবার (২৪ মে) রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় তুশিকে ইয়াবা সহ আটক করে ফতুল্লার কাশিপুর ফরাজীকান্দার স্থানীয় এলাকাবাসী।
আটক করার সময় স্থানীয় এলাকাবাসী আওয়ামীলীগ নেত্রীর কাছে ইয়াবা সহ ইয়াবা সেবনের সামগ্রী উদ্ধার করে বলে জানা যায়।
পরে নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় বিষয়টি জানালে রাত সাড়ে ৯টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তুশিকে হেফাজতে নেয়।
রজনী আক্তার তুশি ডেমরা থানার একজন সক্রিয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ছিলেন বলে সূত্র জানায়।
পুলিশ আটক করার সময় তুশি "জয় বাংলা" স্লোগান দিলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন। এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশের বেগ পেতে হয় এবং পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে তুশিকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ফরাজীকান্দার রুবেল মিয়ার বাড়িতে গত তিন মাস ধরে পরিচয় গোপন রেখে টুসি আক্তার রজনী বাসা ভাড়া নিয়ে ছিলেন। শুক্রবার (২৩ মে) স্থানীয়দের কাছে সন্দেহ লাগলে তুশিকে নজরে রাখেন এলাকাবাসী। আজ আওয়ামীলীগের একজন দোসর নেত্রীকে ইয়াবা সহ আটক করতে পেরে নিজেদের উচ্ছাস প্রকাশ করতে দেখা যায় স্থানীয়দের।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র জন ত ন র য়ণগঞ জ এল ক ব স
এছাড়াও পড়ুন:
সুইমিংপুলের পানি সরিয়ে তৈরি হলো অফিস
একসময় ছিল সুইমিংপুল। চলত গোসল, সাঁতার কাটা। সেখানেই এখন দিব্যি চলছে অফিস। পানি সরিয়ে পুলের ভেতরে চেয়ার-টেবিল পেতে কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কাজের সময় ধাতব মই বেয়ে পুলের ভেতরে নামছেন তাঁরা। অফিস শেষে আবার মই বেয়ে উঠে ফিরছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।
ঘটনাটি ঘটেছে চীনের সিচুয়ান প্রদেশের চেংডু শহরে। অফিসটি লুবান ডেকোরেশন গ্রুপ নামের একটি অন্দরসজ্জা প্রতিষ্ঠানের। ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী সম্প্রতি অনলাইনে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তারপরই সুইমিংপুলের ভেতরে তাঁদের নতুন অফিসের বিষয়টি সামনে আসে। আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে চীনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই প্রতিষ্ঠানের ভবনে এখন একই তলায় ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জায়গা। ব্যায়ামাগারের দরজা খুলেই নামা যায় পানিশূন্য সুইমিংপুলের ভেতরে তৈরি করা কাজের স্থানে। তবে সেখানে এখনো রয়েছে গেছে ‘সুইমিংপুল’ লেখা ফলক। তাতে এখনো লেখা ‘১ দশমিক ৫৫ মিটার গভীর পানির এলাকা’।
অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, সুইমিংপুলের পানি সরিয়ে কর্মকর্তাদের জন্য পাঁচ সারি ডেস্ক বসানো হয়েছে। বিদ্যুতের লাইন বসানো হয়েছে পুলের মেঝেতে। লুবা ডেকোরেশন গ্রুপের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার মনে হয় কল্পকাহিনির চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছি।’ আরেক কর্মচারী বলেন, এভাবেই দুই মাস ধরে অফিস করছেন তাঁরা।
সুইমিংপুলের পানি সরিয়ে অফিস বানানোর পর এর নিরাপত্তা নিয়েও সমালোচনা করছেন অনেকে। অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বেইজিংয়ের আইনি প্রতিষ্ঠান ‘ইংলি’র অংশীদার ওয়াং মিং মনে করেন, এই অফিসে প্রয়োজনীয় অগ্নিনিরাপত্তা নেই। আগুন লাগলে কর্মীরা জরুরি ভিত্তিতে অফিস থেকে কীভাবে বিকল্প পথে বের হবেন, তারও কোনো ব্যবস্থা নেই।
আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, এভাবে অফিস বানানো ভবন নির্মাণ আইনের লঙ্ঘন। তবে এরই মধ্যে অফিসটি পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রেড স্টার নিউজকে তাঁরা জানিয়েছেন, অস্থায়ী এই অফিস খালি করে দেওয়া হয়েছে।