নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুর থেকে রজনী আক্তার তুশি নামে এক আওয়ামী লীগ নেত্রীকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানার পুলিশ।

শনিবার (২৪ মে) রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় তুশিকে ইয়াবা সহ আটক করে ফতুল্লার কাশিপুর ফরাজীকান্দার স্থানীয় এলাকাবাসী। 
আটক করার সময় স্থানীয় এলাকাবাসী আওয়ামীলীগ নেত্রীর কাছে ইয়াবা সহ ইয়াবা সেবনের সামগ্রী উদ্ধার করে বলে জানা যায়।
পরে নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় বিষয়টি জানালে রাত সাড়ে ৯টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তুশিকে হেফাজতে নেয়। 
 
রজনী আক্তার তুশি ডেমরা থানার একজন সক্রিয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ছিলেন বলে সূত্র  জানায়। 
পুলিশ আটক করার সময় তুশি "জয় বাংলা" স্লোগান দিলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন। এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশের বেগ পেতে হয় এবং পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে তুশিকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ফরাজীকান্দার রুবেল মিয়ার বাড়িতে গত তিন মাস ধরে পরিচয় গোপন রেখে টুসি আক্তার রজনী বাসা ভাড়া নিয়ে ছিলেন। শুক্রবার (২৩ মে) স্থানীয়দের কাছে সন্দেহ লাগলে তুশিকে নজরে রাখেন এলাকাবাসী। আজ আওয়ামীলীগের একজন দোসর নেত্রীকে ইয়াবা সহ আটক করতে পেরে নিজেদের উচ্ছাস প্রকাশ করতে দেখা যায় স্থানীয়দের।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র জন ত ন র য়ণগঞ জ এল ক ব স

এছাড়াও পড়ুন:

একদিনে প্রায় ৮০০ বন্দিকে মুক্তি দিলো দুই দেশ

সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিলো রাশিয়া ও ইউক্রেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার উভয় দেশই সামরিক-বেসামরিক মিলে ৭৮০ জন যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার মুক্তি পাওয়া এই যুদ্ধবন্দিদের ৩৯০ জন ইউক্রেনের, বাকি অর্ধেক রাশিয়ার। উভয় দেশই ২৭০ জন করে সামরিক এবং ১২০ জন করে বেসামরিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

সম্প্রতি তুরস্কে দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে হওয়া সংলাপে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে যেসব সমঝোতা হয়েছে, সেসবের আওতায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এই যুদ্ধবন্দিদের। তুরস্কের বৈঠকে উভয় দেশের ৫০০ জন করে মোট ১ হাজার যুদ্ধবন্দির মুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। তাদের মধ্যে শুক্রবার মুক্তি পেলেন ৭৮০ জন। আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার বাকি ২২০ জনকে ছেড়ে ও দেওয়া হবে।

গতকাল যে ৩৯০ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মস্কো, তাদের একজন ওলেক্সান্দার নেহির ইউক্রেনীয় বাহিনীর একজন সেনা সদস্য। তার স্ত্রী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তির পর ইউক্রেনের সুমি শহরের বাসিন্দা নেহির বলেন, আমাকে যে আজ মুক্তি দেওয়া হচ্ছে—আমার স্ত্রীকে জানানো হয়নি। এমনিতে কারা কর্তৃপক্ষ প্রতি শুক্রবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ করতে দেয়। সে আমার সঙ্গে আজ ওই সাপ্তাহিক সাক্ষাৎ করতেই এসেছিল। এসে যখন দেখল যে আমি মুক্তি পেয়েছি, সে খুশিতে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি ঠিক কেমন—আপনি যদি কখনও এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে না যান, তাহলে আপনাকে তা বলে বোঝানো কঠিন। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, কখনও বিশ্বাস হারানো চলবে না, নিরাশ বা হতাশ হওয়া চলবে না।

যুদ্ধবন্দিদের মুক্তিদানের ব্যাপারটিকে স্বাগত জানিয়েছেন এ যুদ্ধের প্রধান মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, মস্কো-কিয়েভ উভয়পক্ষের সমঝোতাকে স্বাগত। এই সমঝোতা কি অদূর ভবিষ্যতে আমাদেরকে বড় কোনো সুসংবাদের দিকে নিয়ে যাবে?

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে আল-কায়েদার ৫ সদস্য নিহত
  • ‘ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ৬ ব্যক্তি
  • নারী সেজে ভিডিও বানাতেন চিকিৎসক স্বামী, কেন এমন অভিযোগ করছেন স্ত্রী
  • কলেজশিক্ষক নাদিরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির
  • বুমরা কেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক নন, শামি কেন দলে নেই
  • নির্বাচনকালীন সভাপতি বুলবুল!   
  • একটি ছোট সিদ্ধান্ত হতে পারে পরিবারের স্বস্তির কারণ!
  • মুন্সীগঞ্জে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা বঞ্চিত রোগী
  • একদিনে প্রায় ৮০০ বন্দিকে মুক্তি দিলো দুই দেশ